Last Updated on 2 months by Shaikh Mainul Islam
১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকলকে হত্যা করা হয়। ওই সময়ে দেশের বাহিরে থাকায় বেঁচে যায় বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার বোন। তাই আজ আমরা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার নিয়ম জানবো।
যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করায় দেশ অভিভাবক শূন্য হয়ে যায়।দেশ শোষকদের কবলে পরে। দেশে খুব বড় রকমের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। মূলত মুজিব পরিবারের হত্যা কাণ্ডকে গভীর শোক এবং শ্রদ্ধার সাথে সরণ করতেই প্রতি বছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা উপলক্ষে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতা, কোরআন তেলাওয়াত, নিরাবতা পালন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, মিলাদ দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আজকে আমরা জানবো ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার নিয়ম এবং উপায় সম্পর্কে।
কিভাবে লিখবেন শোক দিবসের রচনা
জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে অন্যান্য কার্যক্রমের মতো রচনা প্রতিযোগিতা একটি অন্যতম কার্যক্রম। এটি সাধারণত বিভিন্ন পরজায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য রচনা মুখস্ত বা গধাবাধা মুখস্ত করে গিয়ে লিখলেই হবে না। জানতে হবে প্রতিযোগিতামূলক রচনা লেখার কৌশল।
যেকোনো বিষয়ে প্রতিযোগিতামূলক রচনা লেখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে অবশ্যই অবশ্যই মনে রাখতে হবে তার একটি তালিকা দেখে নেওয়া যাক।
১) হাতের লেখা স্পষ্ট হতে হবে। হাতের লেখা ভালো বা মন্দ বিষয় না। মূল বিষয় হলো লেখা স্পষ্ট করে লেখা।
২) তথ্য মুলক লেখা হতে হবে। প্রতিযোগিতা মুলক যেকোনো বিষয়ে সঠিক এবং অধিক থেকে অধিক তথ্য যুক্ত।
৩) সিরিয়াল মেইন্টেইন করে লিখতে হবে। অর্থাৎ যেকোনো বিষয়ে ভুমিকা বা শুরুরপ্যারা লিখে বিস্তারিত লিখতে শুরু থেকে শেষ অব্ধি বিষয়টির সিরিয়াল মেইনটেইন করে লিখতে হবে।
৪) প্রত্যেক প্যারা অনেক বড় করে লেখা যাবে না। প্রত্যেক বাক্য ছোট ছোট রাখতে হবে।
দাড়ি, কমা, সেমিকোলন ঠিক ভাবে লিখতে হবে।
৫) প্রত্যেক শব্দের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে।
৬) সব কথা সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের মতো করে লিখতে হবে।
উপরের এই ছয়টি বিষয় যদি প্রতিযোগিতামূলক রচনায় লেখা যায় তাহলে নিসসন্দেহে বিচারকদের নজরে আসবে এই খাতাটি। এবারে আমরা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার ধরন থাকবে অনেকটা এমন।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা সম্পর্কে।
রচনাঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
ভুমিকাঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন দেশ একটু একটু এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব পরিবারে মেরে ফেলা হয়।
জাতির ইতিহাসে রচিত হয় এক কালো অধ্যায়। যার নেতৃত্বে বাঙ্গালী স্বাধীনতা অর্জন করল তাকেই মেরে ফেলল একদল শাসক হায়নার দল।
আরও পড়ুনঃ ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার উপায়।
বাঙ্গালী জাতি অভিভাবক শূন্য হয়ে পরে। দেশে চরম দুর্নীতি অনিয়ম দেখা দেয়। সবাই জেন নিজ নিজ পদ নিয়ে বেশি ব্যস ছিলেন তখন।
ভাগ্যের অসিম ক্রিপায় শেখ পরিবারের দুই সদস্য বেচে যায়।
আজকের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনে এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
১৫ আগস্ট মুজিব পরিবারকে হত্যার জন্য খুনিদের ঘৃণিত কারণ সমূহ
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হয়। শেখ মুজিব পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পাণ। দায়িত্ব নেন দেশ গঠনের। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গথনে মননিবেশ করছিলেন ঠিক তখন কিছু সেনাবাহিনির উচ্চ পদস্থ চাকুরীজীবীরা মনে করে শুরু করেন যে মুজিব সরকার তাদের কোনো সুযোগ সুবিধা এবং পদোন্নতি দিচ্ছে না।
অনেক পাকিস্তান ফেরত সেনাবাহিনি মনে করে শুরু করেন মুজিব সরকার তাদের প্রতি অবিচার করছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী পন্থি সেনাবাহিনিদের বিশাল সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন।
এতে করে সেনাবাহিনিদের মধ্যে বেশ বড় রকমের ক্ষোভের তৈরি হয়। এক পরজায় ক্ষোবের চিন্তা ন্রিসংশ হত্ত্যহায় পৌছায়। এরি ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনির কিছু উচ্চ পদস্থ লোক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে হত্যা করার জন্য নিল নকশা তৈরি করেন।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সহজ উপায়
নিল নকশাকারি সেনারা মনে করতেন, ক্ষমতাসীন সরকারের দলীয় লােকদের সীমাহীন লােভ এবং দুর্নীতি ঠেকাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কোনো বিকল্প নেই।
ঠিক তখনই মুজিবকে স্ব পরিবারে হত্তার ষড়যন্ত্র করে।
কএকবার গোপন বৈঠক করে সেনা সদস্যরা ষড়যন্ত্র নির্ধারিত প্ল্যান অবশেষে বিপদগামী সেনা অফিসার গণ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
এরপরের হেডিং হতে পারে “বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে মারা হয়”।
এরপরের হেডিং এমন হতে পারে “যাদের হত্যা করা হয় তাদের তালিকা, পরিচয় সহ”।
১৫ আগস্ট সম্পর্কিত FAQS
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়।
মোট ১৭ জনকে হত্যা করা হয়।
শোক দিবসের রচনে নিয়ে সর্বশেষ
মূলত শোক দিবসের রচনা লেখার জন্য ওই বিষয়ে যথেষ্ট জানতে হবে। এর পর সাজিয়ে গুছিয়ে সিরিয়াল অনুযায়ী লিখতে হবে।
শুধু প্রথমে বলে আসা ৬ টি বিষয় মাথায় রেখে রচনা লিখতে পারলেই সেরা রচনা লেখা সম্ভব এভাবে আপনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লিখতে পারবেন।
আশা করছি এখন ১৫ আগস্ট রচনা লিখতে আর কোনো বিষয়ে সমস্যা হবে না।
১৫ আগস্ট সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে আমাদের আগস্ট সম্পর্কিত পূর্ববর্তী পোস্টগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
আপনার সুবিধার্থে নিচে লেখাগুলোর লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
আগস্ট সম্পর্কিত আরও তথ্যঃ আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্যঃ ১৫ আগস্ট বক্তব্য
এছাড়াও আরও কিছু জানতে চাইলে এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট করুন। আমাদের প্রতিনিধি খুব তারাতারি আপনার কমেন্টের উত্তর দিবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ব্লগের ফেসবুক পেজে।
7 thoughts on “১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার নিয়ম”