ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল । ঢাবিয়ান হতে করনীয়

দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের দ্বাদশ শ্রেণি শেষ করার পরেই টার্গেট থাকে দেশ সেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার উপায় জানতে চেয়ে থাকেন। ৮ টি কৌশল একজন ছাত্রকে সহজেই ঢাবিয়ান করতে পারে।

প্রিয় শিক্ষার্থী, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের ব্লগ “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার উপায়” এ।

আজকের পোষ্টে আমরা জানবো একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার আগে যেসব কৌশল অবলম্বন করলে খুব সহজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে, এছাড়া আরও জানবো সহজেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার উপায় সহ এই বিষয়ে বিস্তারিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে জরুরি বিষয় সমূহ

প্রিয় শিক্ষার্থী, দীর্ঘ ১২ টি বছর শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি হয় ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার মাধ্যমেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।

কিন্তু এডমিশন শেষে তুমি যদি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেখতে চাও তাহলে ভর্তি পরীক্ষার পূর্ববর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ কম পড়াশোনা করেও ভালো ফলাফলের কার্যকরী উপায়

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসএসি এবং এইচএসসির রেজাল্ট অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করতে হয়

সর্বপ্রথম এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেই তুমিও ঢাবিয়ান হতে পারবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী, চলো তাহলে ঢাবিতে চান্স পাওয়ার উপায় এবং ৮ কৌশল জেনে নেওয়া যাকঃ

১) পড়া যেভাবে শুরু করতে হবে 

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য সর্বপ্রথম দরকার সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রস্তুতি নেওয়ার মানসিকতা। মহা পণ্ডিতদের কথ্য অনুযায়ীঃ

 “যুদ্ধের আগে ময়দান সম্পর্কে জানা থাকলে যুদ্ধ শুরুর আগেই অর্ধেক বিজয় হয়ে যায়”। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হলে অবশ্যই ঢাবির বিগত সকল প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানতে হবে।

ভর্তি প্রস্তুতি শুরু করতে হবে প্রথমে প্রশ্ন-ব্যাংক বিশ্লেষণ এবং সমাধান করে।

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব প্যাটার্নে প্রশ্ন করে। তাই ঢাবির প্রশ্ন ব্যাংক থেকে পূর্বে যে ধরনের প্রশ্ন আসছে সে সম্পর্কে নিজেকে সুস্পষ্ট ধারনা দিতে হবে। 

পরবর্তীতে সেইম টাইপের প্রশ্নকে প্রাধান্য দিয়ে পড়তে হবে।

ঢাবিতে চান্স পেতে হেল্পফুল কিছু বই

তোমাদের মধ্যে অনেকেই ঢাবিতে চান্স পেতে মরিয়া হয়ে থাকো। কিন্তু, কন বইগুলি তোমাকে সবথেকে বেশি হেল্প করবে একজন ঢাবিয়ান হতে সর্বোচ্চ হেল্প করবে। একবার হলেও দেখে নাও তোমার ইউনিটের জন্য সঠিক বইগুলিঃ

বেশিরভাগ ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যায় ঢাবি সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিগত বেশ কয়েক বছরের প্রশ্ন থেকে হুবহু কিছু প্রশ্ন উঠিয়ে দেয়।

সুতরাং, সেভাবে বুঝে মনে রাখার মতো পড়তে হবে। 

অনেক শিক্ষার্থী সঠিক গাইডের অভাবে প্রশ্ন কমন পাওয়ার আশায় প্রশ্ন-ব্যাংক হুবহু মুখস্ত করে ফেলে।

যেটা একদমই ভুল সিদ্ধান্ত। এতে শিক্ষার্থীর ভালোর পরিবর্তে খারাপ হবে। কখনোই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর মুখস্ত করা যাবে না। 

২) মূল বই নাকি সিট ?

ভর্তি পরীক্ষার জন্য মূল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। বুঝে বুঝে মেইন বই পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রায় শতভাগ প্রস্তুতি এতেই সম্পন্ন হয়ে যায়।

মূল বইয়ের পাশাপাশি নানান ধরনের শিট বা নোট বই ফলো করতে হবে।

এক বিষয়ের জন্য যেকোনো একটি বই পড়তে হবে। একই বিষয়ের জন্য বিভিন্ন বই পড়া যাবে না। একটি বই ভালভাবে শেষ করতে হবে। আর এর পাশাপাসি শিট বা নোট দেখতে হবে। 

কোনো একটি পড়া পড়ে শেষ করার পর পুরনো পড়া গুলো বেশি বেশি রিভাইজ দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়ার মূল মন্ত্রই হচ্ছে পুরনো পড়া বেশি বেশি রিভাইজ করা।

এর কারণ ভর্তি পরীক্ষায় ছোট খাটো ভুল গুলোই শিক্ষার্থীদের চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ পিছিয়ে রাখে।

তাই এই ছোটখাটো ভুলগুলো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩) ভার্সিটির প্রশ্ন তো অনেক কঠিন, চান্স পাবো কিভাবে… 

পরীক্ষায় দু একটি প্রশ্ন কমন আসে তবে বেশিরভাগ প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসে। যা দেখে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে যায়।

কারণ বেশিরভাগ প্রশ্নগুলো একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসে কিন্তু একই বিষয়ের উপরেই থাকে।

একারণে বুঝে বুঝে প্রশ্নব্যাংক সলভ করতে হবে। যাতে করে প্রশ্ন একটু ঘুড়িয়ে পেঁচিয়ে আসলেও সহজে উত্তর করা সম্ভব। 

শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় এর বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে ঘাবরে যায় হতাশ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীর কাছে প্রশ্ন কঠিন মানে সব শিক্ষার্থীদের কাছেই কঠিন।সহজ প্রশ্নের থেকে কঠিন প্রশ্নে চান্স পাওয়া সহজ।

কারণ, সহজ প্রশ্নে সবাই ভালো করবে সেখানে ছোট একটি ভুলে ছিটকে যেতে হবে ভর্তি যুদ্ধের সাফল্য থেকে অনেক দূরে।

তাই প্রশ্ন সহজ বা কঠিন এই নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বিগত বছরের আদলে সকল প্রশ্ন সলভ করতে হবে।

৪) গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলো যেভাবে পড়তে হবে

গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়েকে গুরুত্ত দিয়ে বারবার পড়তে হবে। এটা ভর্তি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এখন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় গুরুত্বপূর্ণ টপিক এবং অধ্যায় থেকেই তুলনামুলক বেশি প্রশ্ন করা হয়।

অন্যদিকে রিটেনের জন্য ব্যাসিকের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।

অনেক শিক্ষার্থী নৈর্ব্যক্তিক ভালো করলেও শুধুমাত্র দুর্বল ব্যাসিক হওয়ায় রিটেনে গিয়ে ছিটকে যায়।

আর মূল বই বারবার বুঝে বুঝে  রিডিং ভালো করে পড়লে এমসিকিও এবং রিটেন দুটোতেই অনেক ভালো করা সম্ভব।

৫) ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে যেভাবে পড়তে হবে

ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞানের জন্য ভর্তি পরীক্ষার আদলে বাজার থেকে ভালো মানের একটি বই কিনে নিতে হবে। বইটি নিয়ম করে বুঝে বুঝে ভালোভাবে শেষ করতে হবে।এইক্ষেত্রেও একাধিক বই একসাথে পড়া যাবে না।

বইটি ভালোভাবে শেষ করে পাশাপাশি অন্য একটি বই শিট নোট বই মাঝে মাঝে দেখতে হবে। আর ইংরেজির ক্ষেত্রে ভোকাবুলারির উপর বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।


সাধারণ জ্ঞানের বেলায় সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর উপর চোখ রাখতে হবে।প্রতিদিন একটি করে খবরের কাগজ পড়তে হবে।

বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনাবলী জানতে দু একটা নিউজ পোর্টালের আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে চোখ রাখতে হবে।

এছাড়া বাজারে সাম্প্রতিক সময়ের কারেন্ট এফেয়ারস সহ বিভিন্ন নোট বই পাওয়া। এতে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে। কিন্তু তুমি অনেকগুলি নোট বা বই একসাথে কিনে এটা একটু ওটা একটু পড়লে কিছুই পারবে না।

৬) ঢাবিতে চাঞ্চ পেতে প্রতিদিন কতক্ষণ পড়তে হবে? 

বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য কতক্ষণ পড়তে হবে এর কোনো নির্ধারিত উত্তর নাই।

শুধুমাত্র প্রতিদিন টার্গেট পড়া শেষ করতে হবে। সিলেবাস শেষ করার জন্য যতক্ষণ দরকার ততক্ষণ পড়তেই হবে।

তবে, প্রতিদিন মন দিয়ে ৬-৮ ঘণ্টা পড়ার টার্গেট রাখা উচিত।

তবে সবার পড়া ক্যপচার করার শক্তি এক না হয়ায় একেকজনের ভিন্ন ভিন্ন সময় লাগে। তবে সিলেবাসের দিকে চোখ রেখে পড়তে হবে।

তুমি পড়া শুরুর আগে টার্গেট করবে মোট সিলেবাসের এতটুকু আজ শেষ করবো।

ওটুকু শেষ করতে যত সময় লাগে ঠিক প্রতিদিন তুমি তত সময় পড়বে। মনে রাখবে পড়ার ধরন আছে। তাই সময়ে নজর না দিয়ে ধরনে মন দিতে হবে। 

৭) ঢাবিতে  চান্স পাওয়ার জন্য যত মার্ক্স পেতে হবেঃ

ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেতে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে টার্গেট থাকবে ৭০% থেকে ৭৫% নাম্বার পাওয়ার।

এবং এটাই যথেষ্ট মার্কস ভালো সাবজেক্ট পাওয়ার জন্য। তবে এর থেকে ভালো করলে টপ সাবজেক্টে আর কম পেলে একটু রিস্ক থেকেই যায়।

অধিকাংশের ক্ষেত্রে দেখা যায় পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে বলে ৮০ ভাগ মারক্স পাবো। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায় সে ফেল করছে।

তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখে সহজ হোক বা কঠিন প্রশ্ন বুঝে উত্তর করতে হবে।

৮) টাইম ম্যানেজমেন্ট । প্রশ্ন উত্তর

বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়ার জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বাজারে বিভিন্ন মডেল টেস্ট বই কিনতে পাওয়া যায়।

সেগুলো কিনে বাসায় নিজেই ঘড়ি ধরে নিজের কাছে পরীক্ষা দিতে হবে।এভাবে প্রতিদিন অনুশীলন করলে সময় মেইনটেইন করা সহজ হবে।

পরীক্ষায় কঠিন প্রশ্ন গুলো নিয়ে কোনোভাবেই বেশি ভাবা যাবে না। মূলত কঠিন প্রশ্ন দেওয়াই হয় ছাত্রছাত্রীদের সময় নষ্ট এবং বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য।

তাই এসব কঠিন প্রশ্ন প্রথমবারে স্কিপ করতে হবে এবং শেষে সময় পেলে তখন এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।

মনে রাখতে হবে, আগে সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিকভাবে করতে হবে। অনেক সময় ট্রিকড প্রশ্ন থাকে, সে সম্বন্ধে সতর্ক থাকতে হবে।


অন্যদিকে ভুল প্রশ্নের উত্তর দিলে ভর্তি পরীক্ষায় নাম্বার কাটা পরে।

সুতরাং, চান্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দেবার পর আর ১০০ ভাগ শিওর না হয়ে উত্তর করা করা যাবে না।

অতিরিক্ত ভালো করতে যেয়ে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

ছাত্রছাত্রীদের এসব প্রশ্ন দেওয়াই হয় বিভ্রান্তিতে ফেলে নাম্বার কাঁটার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ভেবে চিনতে প্রশ্নের উওর স্মার্টলি দিতে হবে।

অনেক সময় প্রশ্ন কঠিন দেখে শিক্ষার্থী বেশি উওর করতে পারে না।

তখন ভয় পেয়ে নিশ্চিত না হয়েই ইচ্ছা মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকে। ভুলভাল উত্তর করে কখনোই ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া সম্ভব না।

অনেককে আবার দেখা যায় যে, সারাদিন ব্যাচ আর কোচিং করতে করতে নিজে একটুও পড়তে পারে না। এর থেকে বোকামি আর নাই।

বাহিরে বেশি হলে একটি ব্যাচ তুমি করতে পারো। সবথেকে ভালো হয় শুধু পরীক্ষা দেওর জন্য এক্তা ব্যাচে ভর্তি হলে।

এখন জানতে চাইতে পারো যে তাহলে দিকনির্দেশনা পাবা কই? ভাই, অনলাইনের যুগে তুমি বই ভর্তি ব্যাগ নিয়ে না দৌড়িয়ে ঘরে বসে স্বল্প মূল্যে সেরা সেরা ভাইয়া আপুদের কোর্স করো।

এতে তোমার সময় বাঁচবে, অর্থ বাঁচবে, নিজে পড়ার প্রচুর সময় পাবে, দেশ সেরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইয়া আপুদের কাছে পড়ার সুযোগ পাবা।

এমন কিছু কোর্স নাম মাত্র মূল্যে পেতে Learn from Everything ভিজিট করো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আবেদনে যোগ্যতা

দেখো, তোমার এসএসসি এইচএসসিতে যদি নিম্নোলিখিত পয়েন্ট থাকে তাহলেই তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।

তুমি চাইলে এখানে ভিজিট করেও বুয়েট কুয়েট, ঢাবি, রাবি সহ দেশের সকল সেরা প্রতিষ্ঠানের ভাইয়া আপুদের ক্লাস গুলি করতে পারবে।

ক- ইউনিটে অংশগ্রহণের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসিতে ন্যূনতম মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে এবং পৃথকভাবে দুটিতে জিপিএ ৩.৫০ করে থাকতে হবে।


খ- ইউনিটে এসএসসি এবং এইচএসসিতে মোট জিপিএ ৭.০০ এবং পৃথকভাবে দুটি পরীক্ষায় ৩.০০ অবশ্যই থাকতে হবে।


গ- ইউনিটে এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৭.৫০ এবং পৃথকভাবে দুটি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ করে থাকতেই হবে।


ঘ- ইউনিটে মানবিক গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৭.০০ বিজ্ঞানের

পরীক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ ৮.০০ ও ব্যবসায় শিক্ষা পরীক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ ৭.৫০থাকতেই হবে। এর নিচে হলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।


চ- ইউনিটে এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৬.৫০ এবং পৃথকভাবে দুটি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ করে থাকতে হবে।

এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে চতুর্থ বিষয়সহ জিপিএ হিসেব করা হবে। এটা সব ইউনিটের জন্যই চতুর্থ বিষয় সহ।

কম পয়েন্ট নিয়ে ঢাবিতে চান্স


অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী যারা মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষায় ভালো করতে পারেনা। কোনো কারনে GPA খারাপ হতেই পারে। তবে নার্ভাস না হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

এমন অনেকেই আছে যাদের জিপিএ ৭.৫ তবে অ্যাডমিশন পরিক্ষায় অনেক ভাল করার জন্য তারা ঢাবিতে চান্স পেয়ে যায়। আসলে তার পিছনে কিছু কারণ থাকে।

কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষার সময়টুকু ১০০ ভাগ কাজে লাগায়।

আবার অনেকে ভালো স্টুডেন্ট, যারা অনেক কিছু জানে কিন্তু ভর্তি পরিক্ষা চলা কালীন অবস্থায় নার্ভাস হয়ে ঠিক মত লিখতে পারে না। ফলে ভাল রেজাল্ট থাকতেও চান্স পায় না।

স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাওয়ার জন্য দরকার কঠোর আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, মানসিক সাহসিকতা। তবে সর্বশেষ মনে রাখতে হবে,

“জীবনে থেমে যাওয়ার আগে থামতে নেই। হারানোর কিছু নেই তবে পাওয়ার আছে অনেক কিছু”।

এগিয়ে যাও নিজস্ব গতিতে। মনে রাখবে হারানোর কিছু নাই, পাওয়ার আছে অনেক কিছু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার উপায় নিয়ে কিছু কথা

দেখো, তুমি নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে তোমার সেরা চেষ্টা করবে। নিজ নিজ ধর্ম অনুসরন করে সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইবে।

কিন্তু দিন শেষে তোমাকে বাস্তবতা মানতেই হবে। তাই মনে রাখবে হারানোর কিছু নেই। যারা পারে না তাদের জীবন থেমে যায় না। আশা রাখা ভালো।

তবে দিন শেষে তোমাকে সত্য মেনে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাবিতে পড়তে না পারলেই জীবন শেষ ব্যাপারটা এমন নাহ।

মনে রাখবে অসম্ভব কিছুই না। একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ার থেকেও জরুরি তুমি নিজেকে কিভাবে তৈরি করতে চাও। এগিয়ে যাও আপন গতিতে।

নিজের প্রতি আস্থা রেখে এগিয়ে যাও, ইনশা আল্লাহ তুমিও পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া নিয়ে FAQS

ঢাবিতে আবেদনের যোগ্যতা সমূহ কি?

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ইউনিট অনুসারে প্রাথমিক যোগ্যতাঃ

ক ইউনিটে এসএসসি + এইচএসসি তে মোট জিপিএ ৮ লাগবে।
খ ইউনিটে এসএসসি + এইচএসসি তে মোট জিপিএ ৭.০০ লাগব্র।
গ ইউনিটে এসএসসি + এইচএসসি তে মোট জিপিএ ৭.৫০ লাগবে।
ঘ ইউনিটে – ইউনিটে মানবিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৭.০০ বিজ্ঞানের
পরীক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ ৮.০০ ও ব্যবসায় শিক্ষা পরীক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ ৭.৫০ থাকতেই হবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখিত আছে এই পোষ্টে। বিস্তারিত জেনে নিন মেইন পোষ্ট থেকে।

ঢাবিতে চান্স পেতে কত নম্বর লাগে?

দেখুন, ঢাবিতে মোট ১২০ মার্ক্স এর পরীক্ষা হয়। আর ৮০ মার্ক্স থাকে আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি রেজাল্ট এর উপর।

১২০ মার্ক্স এর মধ্যে যদি আপনি ৬০ থেকে ৭০ বা এর উপরে পান আর ঐদিকে ৮০ মার্ক্স এর মধ্যে মোটামুটি ৬০ এর উপরে থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি ঢাবিতে ভালো সাবজেক্ট পাবেন।

তবে, এর সবকিছু নির্ভর করে সকলের পরীক্ষা কেমন হয়েছে তার উপর। প্রশ্ন বেশি সহজ হলে বেশি মার্ক্স পেয়েও চান্স পাওয়া একটু কঠিন। আর একটু কঠিন প্রশ্ন হলে চান্স পাওয়া একটু সহজ।

চান্স পাওয়ার পরে ঢাবিতে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে?

আপনি কন সাবজেক্টে চান্স পেয়েছেন তার উপর নির্ভর করে ভর্তির সময় ভর্তি ফি সহ যাবতীয় ফি দরকার হয়। তবে মোটামুটি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে থাকে।

এবং একবার ভর্তির পরে আর বলার মতো কোনো খরচ নেই বললেই চলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল নিয়ে সর্বশেষ

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের পোষ্টে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি।

জেনেছি, কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল মেনে পড়াশোনা করলে সহজেই ঢাবিতে চান্স পাওয়া যায়।

আশা করছি একজন ভর্তি পরীক্ষার্থী হিসেবে তোমার জন্য এই ব্লগটি অনেক বেশি হেল্পফুল হয়েছে। কমেন্ট করে জানিয়ে দিবে।

এছারাও শিক্ষা বিষয়ক আমাদের অন্যান্য সকল পোষ্ট পড়তে Education Category ভিজিট করতে পারো।

নিয়মিত আমাদের সকল পোষ্ট পড়তে Dainik kantha ভিজিট করতে পারো। এবং সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখো আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

12 thoughts on “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ৮ কৌশল । ঢাবিয়ান হতে করনীয়”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.