কম পড়াশোনা করেও পরীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার উঠাতে সাহায্য করবে আটটি ট্রিকস
![](https://dainikkantha.com/wp-content/uploads/2021/10/20211014_162821-1024x1024.jpg)
৮ টি কৌশল নিয়ে আজকের লেখা, যা পরীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার উঠাতে সাহায্য করবে
ছাত্র জীবন জীবনের সেরা সময় হতো যদি পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকতো। কত মজাই না হতো। কিন্তু পরীক্ষাতো শিক্ষার্থীদের জীবনেরই একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রদের উদ্বেগ/ চিন্তা সবসময় থাকেৎ। এই চিন্তাই পরীক্ষার ফলাফল ভালো করার হাতিয়ার।
পড়াশোনা আছে মানে পরীক্ষা আছে। পরীক্ষা থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।
তবে, শুধু পড়াশোনা করেই পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক করা সম্ভব নয়।
বিশেষ করে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জীবনে করোনা এমন এক প্রভাব ফেলছে যার কারণে সবথেকে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এসএসসি ২০২১ এবং এইচএসসি ২০২১ ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা।
সব শিক্ষার্থী চায় অল্প পড়াশোনা করে ভালো একটা ফলাফল করতে। কিন্তু, এমনটা কি সম্ভব, তুলনামূলক কম পড়েও বছর শেষে চমৎকার একটা ফলাফল করা!!
হ্যা, অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য। এই আটটি ট্রিকস যদি আপনি আপনার ছাত্রকালে ফলো করেন।
অবশ্যই খুব বেশি না পড়েও দিন শেষে ভালো একটা ফলাফল আপনার আসবেই।
এই ৮ টি কৌশল নিয়ে আজকের লেখা, যা পরীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার উঠাতে সাহায্য করবে
[ ১] খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা
[ ২ ] মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা
[ ৩ ] নোট তৈরী করা
[ ৪] ক্লাস লেকচার খেয়াল করা
[ ৫] একত্রে গ্রুপ স্টাডি করা
[ ৬ ] ভুল থেকে শেখা
[৭ ] পড়ে না দেখে লেখার অভ্যাস করা
[ ৮ ] পড়াগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজিয়ে নিজের মতো পড়া
১) পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা-
প্রবাদে আছে, প্রথম দর্শনারধারী তারপরে গুণবিচারী। সবকিছুতেই সৌন্দর্য সবার উর্ধে।
পরীক্ষায় উত্তরপত্রে হাতের লেখা সুন্দর সাবলীল ভাষায় এবং গুছিয়ে উপস্থাপন করার মাধ্যমে শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
এটি একজন পরীক্ষার্থীকে অধিক নাম্বার পেতে সর্বোচ্চ সহায়তা করে। আপনি উত্তর জানেন, কিন্তু সাজিয়ে লিখতে পারছেন না।
তার চেয়ে যে তুলনামূলক কম উত্তর জেনেও গুছিয়ে লিখতে পারে সে বেশি নাম্বার প্রাপ্ত হবে। এজন্য পরীক্ষার হলে সময় ব্যালান্স করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
টেকনিক ফলো করা
২) মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা-
পড়াশোনার মূল বিষয়/বাণী বুঝে পড়া হলেও কিছু বিষয় মুখস্থ রাখতেই হয়। এক্ষেত্রে সহজ টেকনিক ব্যাবহার করতে হবে।
ছন্দ বা গাণের মধ্য দিয়ে বা জীবনের উদাহরণ দিয়ে মুখস্থ করার বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে। যেমন, রসায়নের পর্যায় সারণীর 4A গ্রুপের মৌল গুলো হলো –
C, Si, Ge, Sn, Pb -এগুলোকে মনে রাখতে এভাবে পড়া যায়।
কাঁদলে (C) সাইকেল (Si)
গেন্জি (Ge) স্যান্ডেল (Sn)
পাবে (Pb)
এই ক্ষেতে এর ছবি এবং ছকও বেশিই কার্যকর।
How to start earning by Dropshipping Business in 2021
রীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার
৩) শুরু থেকে নোট তৈরী করা –
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের অন্যতম আরও একটি উপায় হলো প্রতি বছর নতুন ক্লাসের শুরুতে প্রতি বিষয়ে আলাদা নোট তৈরি করা। ভালো ফলাফল করা একটা বড় অংশ শিক্ষার্থীদের সার্ভে করে দেখা যায় শতকরা পঁচানব্বই এর বেশি শিক্ষার্থী নোট করে পড়াশেনা করে।
নোট করার মধ্য দিয়ে পরীক্ষার আগে সমস্ত বই পড়তে হয় না। এজন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অনেক সহজ হয়ে যায়।
৪) ক্লাস লেকচার মনোযোগ দেওয়া –
স্ব শরীরে ক্লাস করা সময়ের সাথে কমে আসলেও তুলনামূলক নিচের ক্লাসের জন্য ক্লাস সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। প্রতিদিন ক্লাসে যেতে হবে এবং শিক্ষকদের লেকচার ফলো করতে হবে।
পরীক্ষায় প্রশ্ন আসা না আসা সবকিছুর ধারণা শিক্ষকেরা ক্লাসেই দিয়ে দেন।
বিশেষ কিছু বিষয়ে বিশেষ বিশেষ টপিক শিক্ষকদের দ্বারা বুঝলে তা শিক্ষার্থীদের মনে থাকে দীর্ঘদিন।
এসবকিছুর জন্য তাই নিয়মিত ক্লাস লেকচার ফলো করলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সবথেকে সহজ হয়।
৫) বন্ধুরা একত্রে গ্রুপ স্টাডি করা –
গ্রুপ স্টাডি হলো মূলত অনেকজন একসাথে মিলে নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনা করা। ভালো রেজাল্টের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, একসাথে অনেকে পড়লে নিজেকে নিজেই মূল্যায়ন করা সম্ভব।
তাছাড়া, পড়াগুলা সহজেই কাভার করা সম্ভব। এছাড়া আলোচনার মধ্যমে জটিল বিষয়গুলিও সমাধান করা যায় খুব সহজে। একত্রে অনেক জন মিলে পড়ার ফলে শেখার প্রতি আগ্রহও বাড়ে অনেক।
৬) সবকিছুই ভুল থেকে শেখা –
পন্ডিত ব্যাক্তিরা বলেন, ” ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে”।
এজন্য কোথায় ভুল হচ্ছে, কেন ভুল হচ্ছে, কি ভুল হচ্ছে, কী বুঝতে পারছিনা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে পড়াশোনার মাঝেও।
এই প্রশ্নগুলির ডমাধান বের করতে পারা মানেই পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনা দ্বিগুন বেড়ে যাবে।
৭) না দেখে লেখার অভ্যাস করা –
কখনোই পড়ার সম্পুর্ণটুকু মনেরাখা সম্ভব না। যার কারণে, পরীক্ষার খাতায় শতভাগ নির্ভুল লেখা সম্ভব হয় না।
অথচ পরীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা। পরীক্ষায় নির্ভুল লেখার অন্যতম উপায় হচ্ছে, ‘পড়ার পরে না দেখে লেখার অভ্যাস করা’।
পড়ার শেষে তা না দেখে লিখলে ভুল গুলো সহজেই ধরা যায় এবং পরবর্তীতে সেই ভুল হবার সম্ভাবনা রায় শতভাগ-ই কমে যায় বলা চলে।
৮) পড়াগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজিয়ে পড়াশোনা করা –
সবকিছুতে ইতিবাচক মনোভাব দরকার সবার আগে।তাই পড়দ শুরু করার আগেই দরকার ইতিবাচক চিন্তা৷ পরীক্ষাভীতি সম্পুর্ণ ঝেড়ে ফেলতে হবে মন থেকে। সব পড়া নিজের মতো করে সাজািয়ে নিতে হবে।
পরীক্ষার কাছাকাছি সময়ে রুটিন অনুযায়ী কোনদিন কি পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে নিজেকে। এতে পড়তে অনেক সুবিধা হয় এবং পড়া মনেও থাকে দীর্ঘদিন।
29 thoughts on “কম পড়াশোনা করেও ভালো ফলাফলের কার্যকরী উপায়”