হারিয়ে ফেলছেন না-তো আপনার ভালোবাসাকে!

ভালোবাসা -কে থাকতে মূল্য দিন

পূর্ণতা পাক পৃথিবীর সব ভালোবাসা

ভালোবাসা অন্যতম একটি সংবেদনশীল বিষয় যা প্রজাপতির মতো। শক্ত করে ধরলে মারা যাবে, মুক্ত রাখলে হারিয়ে যাবে।

একটুতেই হতে পারে তিলে তিলে গড়ে তোলা ভালোবাসার সমাপ্তি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে শুরু করে একঘেয়েমির মত সামান্য কারণেই হতে পারে গভীর সম্পর্কের শেষ পরিণতি।

যার আঘাত শতকরা ৭০% মানুষ-ই নিতে পারেন না। যার ফল হিসেবে জীবনের কালো অধ্যায় শুরু হয় শতকরা ৭০ জন মানুষের।

বাকিরা হয়তো মানিয়ে নেয় তবুও তা কখনোই মুছে ফেলতে পারে না্।

কেউ কেউ তো আবার সৃষ্টিকর্তার সেরা উপহার নিজের জীবনকেও শেষ করে দিতে দ্বিধা করে না।

আর তার জন্য, সবকিছুর মতো ভালোবাসার সম্পর্ককেও যত্ন করতে হয়, করতে হয় পরিচর্যা। প্রয়োজন পরে জীবনের মতোই সম্পর্ক- কে নতুনত্ব দিয়ে ভরিয়ে রাখা।

জসীমউদ্দিন এর “কবর” কবিতায় মানুষ মরে গেলেও স্মৃতিতে থেকে যায় তার অন্যতম উদাহরণ।
একটি ইলেকট্রনিকস যন্ত্রের ন্যায়  ভালোবাসা পরিচর্যায় না রাখলে এমন একদিন আসবে আপনি আছেন ঠিকই- বেঁচে নেই আপনার ভালোবাসা।

একটি গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি দেওয়ার মতোই দরকার ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যা, নিয়মিত যথেষ্ট সময় দেওয়া।

বাস্তবতার সঙ্গে সবাই হঠাৎ মানিয়ে নিতে পারে নাহ্। আর জীবনের পথে সময় বাড়ার সাথে সাথেই বাস্তবতা, কর্ম ব্যস্ততা বাড়বে এটা চরম সত্যের একটি্।

কিন্তু, সবকিছুর মাঝেও নিয়মিত প্রিয় মানুষটার জন্য কিছটা সময় রাখা অন্যতম জরুরি। প্রতিটা সম্পর্কে দরকার একটু কেয়ারিং একটু সময় দেওয়া।

সম্পর্কের বেলায় প্রেমিকা- প্রেমিক, স্বামী স্ত্রী প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেকের দরকার শ্রদ্ধা থাকা। এতে করে ভালোবাসা আরও বাড়তেই থাকে্।

আপনার সাথে কি নিচের কোনো বিষয়গুলো মিলে যাচ্ছে??

মিলে গেলে বুঝে নিবেন কমে যাচ্ছে আপনার ভালোবাসা।


কোনো কারণ ছারা-ই প্রিয় মানুষটির সাথে কথা কাটাকাটি বা ঝগড়ার সৃষ্টি করা। অপমান করে কথা বলা। অন্যের সামনে আপনাকে কথার ছলে অপমান করা।

ভালোবাসার একটা সময় সঙ্গীর জন্য কিছু কেনার জন্য মন সবসময় উতলা থাকতো। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে তা নিজের কাছে ফর্মালিটি ছারা কিছুই মনে হয় নাহ্। বরং বিরক্ত লাগে ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবতে।

প্রিয় মানুষের সাথে ঘোরাঘুরি করার সময়টা ভালোবাসার মধ্যে অন্যতম সময়ের একটি।

যদি সেখানে আপনার বা আপনার প্রিয়টার মন উদাসীন বা মন অন্যদিকে তাহলে সম্পর্কে ফাটল ধরছে তা বুঝতে পারার একটি কারণ।

পরিস্থিতি বা বিষয় যেমন-ই হোক না কেন প্রিয় মানুষকে শাস্তি দেওয়া একদম উচিত নয়। শারীরিক নিপিড়ন বা অন্য কোনো শাস্তু দিলে বুঝে নিন কমে যাচ্ছে আপনার ভালোবাসা।

সামান্য কোনো বিষয়েও আপনার কঠোরতা ভালোবাসার হ্রাস পাওয়াকেই বোঝায়।  ভালোবাসায় কখনো কঠোরতা থাকেনা। থাকে সহানুভূতি, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা।

ভালোবাসার মানুষটিকে আপনার ইচ্ছে পূরণের জন্য কিছুতে জোর করা লাগছে? তাহলে শতভাগ নিশ্চিত থাকুন। আপনার ভালোবাসায় কোথাও ফাটল ধরছে।
কারণ ভালোবাসার মানুষের ইচ্ছে পূরণের জন্য সঙ্গীকে কিছু বলতে হয় না। সে বুঝে নিতে পারে্। এটাই ভালোবাসা। সেখানো জোর করার প্রশ্ন-ই আসে না্।

ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে জোর করে নিয়ন্ত্রণ এর চেষ্টা করছে? তাহলে বুঝে নিন, তার ভালোবাসা রীতিমতো অনেক বেশি কমে গেছে। যা প্রায় শুন্যের কাছাকাছি।

ভালোবাসাএমনই এক বিষয় যা প্রজাপতির মতো। জোর করে ধরবেন মরে যাবে, ছেড়ে দিবেন উড়ে যাবে। তাই ব্যালেন্স করে চলতে হবে।

আপনার মানুষটি আপনাকে সবকিছুতে জোর করছে? তাহলে ধরে নিন তার দিক থেকে ভালোবাসা হ্রাস পাচ্ছে।

ভালোবাসা শুকিয়ে যাচ্ছে তার অন্যতম লক্ষ্যণ প্রিয় মানুষের প্রতি অবিশ্বাস জন্মানো।

ভালোবাসা তখনই খুব বেশি কমে আসে, যখন দুজনের প্রতি দুজনেরই অভিযোগের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

ভালোবাসার মানুষকে সময় দিচ্ছেন। তখন যদি কোনো ভাবেই মনে হয় যে, সময়গুলো অযথা নষ্ট করছেন।

তাহলে ভালোবাসায় ঘাটতি আছে এবং তা পরিচর্যা করা দরকার।

অন্য কারোর সঙ্গে তুলনা করার কথা মনের অজান্তে মনে হলেই বুঝবেন ভালোবাসার নিম্নগতি। পরিচর্যা তখন একান্ত দরকার।

এর যেকোনো একটিও যদি আপনার জীবনের সাথে মিলে যায় তাহলে ধরে নিন, আপনার ভালোবাসায় অনেক করণীয় এসে হাজির। আপনাকে নিজেকে রিস্টার্ট করতে হবে।

অর্থাৎ, আপনার প্রেম/ ভালোবাসার প্রথম অনুভুতি, প্রথম বলতে না পারা ভাষা, সবকিছু জাগিয়ে তুলতে হবে ভালোবাসার উষ্ণতা দিয়ে।

ভালোবাসার প্রথম অনুভুতিগুলা নিঃসন্দেহে যেকেউকে মানসিকভাবে ভালোবাসায় উন্মাদ করে তোলে।

ভালোবাসা জাগিয়ে তুলুন। ভালোবাসা থেকে একঘেয়েমি দূর করুন। ভালোবাসায় নতুনত্ব দিন। যেভাবে ভালোবাসাকে সুন্দর করবেন।

রাগ কখনো সমাধানের কারণ হতে পারে না।  প্রিয় মানুষের সাথে মতের অমিল হলে বুঝিয়ে বলেন। নিশ্চই সুন্দর সমাধান পাওয়া যাবেহ্।

সঙ্গীনির চায় তা বলার আগে বুঝতে চেষ্টা করুন।

বিশ্বাস করেন বা নাই করেন, এতে মানুষটি কত খুশী হবে তা আপনি বুঝতেই পারবেন নাহ্।

প্রিয় মানুষটিকে যথেষ্ট সময় দিন, তবে বিরক্ত না হতে হয় কারোরই। সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ছোট ছোট ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন।

আপনার অর্ধাঙ্গিনীকে একটু অন্যরকম সময় দিতে প্লান পরিকল্পনা লাগে না। লাগে না পকেট ভর্তি টাকা। হঠাৎ বিকেলে কফি হাতে হাটতে আমন্ত্রণ জানান চিরচেনা নদীর ঘাটে।

রাগারাগি কে ভালোবাসার মধ্যে স্থায়ী জায়গা দিবেন নাহ্। মিল অমিল নিয়ে সরাসরি শেয়ার করুন। এতে সে আপনাকে বুঝতে পারবে।

মানুষের মানসিক তৃপ্তির পাশাপাশি শারীরিক চাহিদাও অনেক সময় সম্পর্ক ভাঙার বড় কারণ হয়।

তাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ সম্পর্কে এই বিষয়টিও নজরে আনুন।

হঠাৎ বকুল ফুলে মালা কিংবা গোলাপ ফুলের প্রপোজ করেও মান অভিমানকে বিদায় করা যায়।

How to start earning by Dropshipping Business in 2021

একভুল একবারই ক্ষমার যোগ্য। বারবার ভুল নয় বরং নিজেকে শুধরে নিন। সতর্ক থাকুন আপনার কর্মকান্ডে। আপনার কর্মে কষ্ট পেতে না হয় প্রিয় মানুষটিকে।

জীবনে চলার পথে, সঙ্গী মানে একজন আরএকজন এর পরিপূরক। কখনো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা নামক ধংস টেনে আনবেন নাহ্।

–  ভালোবাসার মানুষটি দিন শেষে আপনার-ই ভালোবাসা। তাই দোষগুলি শুধরে নিন আপনি নিজ দায়িত্বে, কখনো বদনাম/ অবহেলা নয়।