কোরবানির দোয়া । কোরবানি সম্পর্কে হাদিস 

এই পোষ্টে আলোচিত বিষয় সমূহ

আজকের পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন কোরবানির দোয়া কোরবানি সম্পর্কে হাদিস, কোরবানির দোয়া ও নিয়ত, কোরবানির দোয়া বাংলায়। এছাড়াও জানতে পারবেন কোরবানি সম্পর্কে হাদিস, কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত। 

হযরত ইব্রাহিম (আঃ) হতে কোরবানির প্রচলন চলে আসছে আজ পর্যন্ত। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে কোরবানি দেওয়া হয়। আল্লাহর কাছে পৌছায় শুধু তাকওয়া। এসব আমরা জানলেও কোরবানির দোয়া অনেকেই জানি না।আজকে জানবো কোরবানির দোয়া সম্পর্কে।

আমরা অনেকেই কোরবানি দেই। কিন্তু হুজুর ডেকে বা উপস্থিত কাউকে দিয়ে কোরবানি দেই। যেখানে কি না যার কোরবানি তার নিজের দেওয়াই উত্তম। আর নিজের কোরবানি নিজে দেওয়ার জন্য কোরবানির দোয়া জানতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোরবানির দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত। 

কোরবানি দোয়ার সঠিক নিয়ম । কিভাবে কোরবানি করতে হয় 

হজরত ইব্রাহিম (আঃ) হইতে এ পর্যন্ত ইসলামিক বিধি বিধান মেনে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ কোরবানি করে আসছে। কিন্তু কোরবানি করার কিছু নিয়ম এবং বিধি বিধান আছে। কোরবানি অনেকে দিলেও কোরবানির সঠিক নিয়ম জানে না অনেকেই। 

কোরবানি নিয়ে ইসলামে কিছু বিধি নিষেধ আছে। এটিই মূলত কোরবানির নিয়ম হিসেবে পরিচিত। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকলে তার নিচের সকল নিয়ম মেনে কোরবানি করা ওয়াজিব। 

 কোরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহ্‌ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন। যে ব্যক্তি কোরবানি দিবেন তাকে মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহর কাছে কোরবানির রক্ত মাংস কিছুই পৌছায় নাহ। পৌছায় শুধু তাকওয়া। 

আজকের পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ক্রমান্বয়ে কোরবানি নিয়ে সবকিছু জানতে পারবেন।

ব্যক্তি নিজের কোরবানির পশু নিজে জবাই করলে এক দোয়া পড়তে হবে। আবার, মউলোভী বা অন্য কাউকে দিয়ে জবাহ করলে কি দোয়া পড়তে হবে থাকছে আজকের পোষ্টে বিস্তারিত।জেনে নেওয়া যাক এক এক করে সবকিছু।

কোরআন থেকে কোরবানির সকল দোয়া । যে দোয়া পরে কোরবানির পশু জবাই করতে হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ঈদুল আযহা আসলে কোরবানি কোরবানি করে ঘুম পর্যন্ত হারাম করে কিন্তু কোরবানির দোয়া জানে না আবার জানার চেষ্টা করে নাহ। কিভাবে কোরবানির দোয়া পড়তে হয় যারা জানি না তাদের জন্য দোয়াগুলো লিখে রাখা হলো। আপনি চাইলেই যেকোনো সময়ে সার্চ করে পরে নিতে পারেন কোরবানির দোয়া। 

ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কোরবানির জন্য পশু জবাহ করার উদ্দেশ্যে পশুকে শোয়ানোর পর এই দোয়াটি পড়তে হয়।

এক্ষেত্রে অনেকে কোরবানির দোয়া সনদের বিষয়ে মতভেদ পার্থক্য দেখিয়েছেন।

তবে, এই দোয়াটি পড়ে কোরবানি করা অতি উত্তম। 

اَللَّهُمَّ إِنِّي وَجَّهْتُ  وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ عَلَى مِلَّةِ اِبْرَاهِيْمَ حَنِ يفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ – – إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ – لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ  -وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ – بِسْمِ اللهِ اَللهُ اِكِبَر – اَللَّهُمَّ مِنْكَ وَ لَكَ

বাংলা উচ্চারণঃ ইন্নিহ ওয়াঝঝিয়াতুহ ওয়াঝ হিয়া লিল্লাহি ফাতারাস সামাওতি ওয়াল আরদা, আলা মিল্লাতি ইব্রাহিমা হানিফা ওয়া মাআনা মিনাল মুশ্রিকিন। ইন্নাহ সালাতি ওআ নুসুকি ওয়াহ মাহইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রব্বুল আলামিন। লা শারিকালাহু, ওয়া বিজালিকা  উম্রিতু ওয়া আনা মিনাল মুস্লিমিন। বিসমিল্লাহই আল্লাহহু আকবর, আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালিক। 

(বিঃদ্রঃ আরবি পড়ার চেষ্টা করবেন। বাংলা উচ্চারন টাইপিং এর কারণে সামান্য ক্রুটি থাকতে পারে)।

কোরবানির সংক্ষিপ্ত দোয়া । কোরবানিতে সংক্ষেপে কি দোয়া পড়তে হয় 

উপরের দোয়াটি অনেকের কাছে অনেক বড় এবং জটিল মনে হয়। তাহলে আপনি নিচের সংক্ষিপ্ত দোয়া পড়ে কোরবানি দিতে পারবেন। 

 بِسْمِ اللهِ اَللهُ اِكِبَر – اَللَّهُمَّ مِنْكَ وَ لَكَ

বাংলা উচ্চারনঃ বিসমিল্লাহই আল্লাহু আকবর, আল্লাহুম্মা মিঙ্কা ওয়া লাকা। 

কোরবানি দেওয়া ব্যক্তি নিজের পশু নিজে কোরবানি করার দোয়াঃ 

আমাদের মাঝে বেশিরভাগ মানুষ মসজিদের হুজুরদের দিয়ে কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে ব্যক্তি নিজের কোরবানি নিজে দেওয়াই অধিক উত্তম।

এক্ষেত্রে নিজের কোরবানির পশু নিজে কোরবানি দিলে কোরবানি করা ব্যক্তির নিচের দোয়াটি পড়তে হবে। 

اَللهُمَّ تَقَبَّلْ لَهُ مِنِّى كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ مَحَمّدٍ وَّ خَلِيْلِكِ

বাংলা উচ্চারনঃ আল্লাহহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মোহাম্মাদিও ওয়া খলিলিকা ইব্রাহিম। 

অন্যের পশু কোরবানি করে দিলে কি দোয়া পড়তে হয় । অন্যের পশু কোরবানিতে দোয়া

আমাদের মাঝে বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় একটি জায়গায় কয়েকটি কোরবানির পশু কোরবানি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কোনও এক ব্যক্তি একাইই সবকয়টি কোরবানির পশু জবাই দিয়ে থাকে। তখন যে ব্যক্তি কোরবানি দিয়ে থাকেন তিনি নিজে যদি কোরবানি দিয়ে থাকেন তাহলে উপরের যে দোয়াটি পরেছেন অন্যের কোরবানিতে নিচের দোয়াটি পড়তে হবে। 

اَللهُمَّ تَقَبَّلْ لَهُ مِنِكَ-مِنْكُمْ كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ مَحَمّدٍ وَّ خَلِيْلِكِ اِبْرَاهِيْم

বাংলা উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল্লাহু মিঙ্কামিঙ্কুম কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদিও ওয়া খালিলিকা ইব্রাহিম। 

সব ভাবেই কোরবানির দোয়া জানা হয়ে গেল। কিন্তু আরও একভাবে কোরবানির দোয়া জানতে এখনো বাকি। বাংলাতে কোরবানির দোয়া জানতে হবে। অর্থাৎ শুধু যে আরবিতেই কোরবানির দোয়া করা যাবে, একদমই এরকম নাহ।

আপনি আপনার মাত্রি ভাষায় ও কোরবানির দোয়া করতে পারবেন পশু জবাইয়ের আগে। 

বাংলাতে কোরবানির দোয়া জানলে আপনি সহজেই মনে রাখতে পারবেন এবং অর্থ বুঝতে পারবেন।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাতে কোরবানির দোয়া।

কোরবানির দোয়া বাংলায় । কোরবানিতে বাংলায় কি দোয়া করতে হয় 

বাংলাতে কোরবানির দোয়া ‘আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি আদায় করছি।

তবে কোরবানির সময়ে উচ্চ সরে কোরবানি করার দোয়া পড়ার কোন দরকার নাই। তবে মুখে মুখস্ত দোয়া পর অতি উত্তম। 

কোরবানির পশুর গলা ছুরি চালানর সময় জবাইকারি এবং তাকে সাহায্যকারী দুজনেরই বিসমিল্লাহই আল্লাহু আকবর বলা জরুরি। 

কোরবানির পশু জবাই করার সময় মুখে (উচ্চ স্বরে) নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে এ নিয়ত করা যে, ‘আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি আদায় করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। এরপর বিসমিল্লাহই আল্লাহু আকবর বলে কোরবানি শুরু করা। 

একাকি এবং অন্য কারো কোরবানি দেওয়া দোয়ার মধ্যে পার্থক্য, নিজের কোরবানিতে মিন্নি বলতে হবে।

এছাড়া অন্যের কোরবানিতে মিন বলার পরে কোরবানি আদায়কারি ব্যক্তিদের নাম বলতে হবে। 

কোরবানির সবরকমের দোয়া জানা হয়ে গেল। এবার কোরবানি নিয়ে আরও কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

এবার জেনে নেওয়া যাক, কোরবানির লক্ষ্য কি, কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত, কোরবানি নিয়ে হাদিস এবং কোরবানির গোশত বণ্টনের নিয়ম সম্পর্কে। 

কোরবানির লক্ষ্য । কোরবানি কেন করা হয়, লক্ষ্য কি ? । কোরবানি সম্পর্কে হাদিস

ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা আরবি বছরের নির্দিষ্ট মাসের নির্দিষ্ট দিনে আল্লাহ্‌ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে কোরবানির যোগ্য এবং হালাল পশু জবাই করে থাকি। কোরবানির মূল লক্ষ্য একমাত্র আল্লাহকে খুশী করা। 

আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে বলেন, “আর আল্লাহর কাছে কোরবানির রক্ত, গোশত কিছুই পৌছায় না। পৌছায় শুধু তাকওয়া”। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্‌ তায়ালার এ বানীতে স্পষ্ট যে খুশী মনে কোরবানি দিয়ে আল্লাহকে খুশী করাই কোরবানির মূল লক্ষ্য। 

কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত । কার উপর কোরবানি করা ফরজ 

মুসলিম উম্মাহ এর মধ্যে সবার উপরে কোরবানি ওয়াজিব হয় নাহ। কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার কিছু শর্ত আছে।

এই শর্ত গুলো যার উপর বাস্তবায়ন থাকবে তার উপয়ার কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়। 

ফরজ কোনো বিষয় না কোরবানি। ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়।

আবার দুই ধরনের মানুষের উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়। 

কোরবানি কাদের উপর ওয়াজিব । যে সব ব্যক্তির কোরবানি করা ওয়াজিব 

১) প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের উপর কোরবানি ওয়াজিব। ( নারী পুরুষ উভয়ের উপর, যদি সে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়)।

২) সুস্থ মস্তিস্ক ব্যক্তির উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়। ( অবশ্যই নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে)।  

আরবি বছরের জিলহাজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ওই ব্যক্তির উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়। 

অর্থ, টাকা- পয়সা, স্বর্ণ- রৌপ্য, বা খোরাকির দরকারে লাগে না এমন জমিজমা বা একন অর্থ থাকলেই সেই ব্যক্তির উপর কোরবানি ওয়াজিব হপ্যে যায়।

নিসাব বলতে স্বর্ণ হিসাব করলে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ থাকলে বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য থাকে বা এর সমপরিমান অর্থ জমা থাকে তাহলে আপনার উপর কোরবানি ওয়াজিব। 

আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য বা এর সমান পরিমান অর্থ জমা থাকলে তখনই আপনার কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। কোরবানি কোন সওয়াব নাহ। 

কোরবানীর পশু জবাই দেওয়ার নিয়ম । কোরবানির দোয়া পড়ার নিয়ম  

যে ব্যক্তির উপর কোরবানি ফয়াজিব ওই ব্যক্তি নিজ হাতে কোরবানি দিলে আল্লাহ্‌ ত্যালা অত্যন্ত খুশী হন।

এখন বলতে পারেন আপনী জানেন না আপনি কিভাবে পশু কোরবানি দিবেন। এবার আমরা জানবো কিভাবে কোরবানির পশু কোরবানি করতে হয়। 

হাদিস থেকে এসেছে, নবীজি সবসময় নিজের পশু নিজেই কোরবানি করতেন। এতে আল্লাহ্‌ অত্যন্ত খুশী হন। 

তাই আপনার কোরবানির পশু আপনারই কোরবানি করা অতি উত্তম। চলেন কোরবানি সম্পূর্ণ নিয়ম জেনে নেওয়া যাক। 

পশুকে সুবিধামত যতটা সম্ভব কম কষ্ট দিয়ে শোয়াতে হবে। জবাই করার সময় কোরবানির দোয়া সহ বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, একমাত্র আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে কোরবানি দিতে হবে। অন্য কারোর নাম নেওয়া যাবে নাহ। 

পশুর গলায় ছুরি চালানর আগে জানতে হবে গলার কোন কোন নালী কাটতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে পশুর খাদ্যনালী,শ্বাস নালী, এবং গলার দুই পাশে থাকা দুইটি নালী কাটতে হবে। এগুলি কাটা হয়ে গেলে পশু কোরবানি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই পশুর দেহ থেকে গলা আলাদা করা যাবে নাহ।

জবাই করার জন্য আপনার ছুরি খুব ভালোভাবে ধার দিতে হবে। কম ধার সম্পন্ন ছুরি থেকে কোরবানি দেওয়া যাবে নাহ।

এতে পশুর কষ্ট হয়। কোনোভাবেই পশুকে কষ্ট দিয়ে জবাই দেওয়া যাবে নাহ। 

ছুরিতে ধার দেওয়া নিয়ে নবীজি বলেন, “কোরবানির পশু এমনকি অন্যসময়ে পশু জবাই করার আগে ছুরি বা চাকুতে খুব ভালো করে ধার উঠিয়ে নাও”। (-মুসলিম থেকে)। 

কোরবানির পশু জবাইয়ের সময়ে কি করতে হবে । কোরবানিতে লক্ষণীয় 

একটি পশুর সামনে অন একটি পশুকে কোরবানি দেওয়া যাবে না। এতে করে যে পশুতি দেখে ওই পশুটি কষ্ট পায়, যা কোনোভাবেই করা যাবে নাহ। 

পশুকে কোরবানি করার জন্য ছুরি বা অন্যান্য যন্ত্রকে পশুর সামনে ধার করা যাবে নাহ।

এই কাজটিও পশুকে কষ্ট দেওয়ার মধ্যে অন্তর্গত হয়। 

পশুকে বাম কাত করে শুইয়ে জবাই করতে হবে। অর্থাৎ, কোরবানি করার সময় পশুর পা গুলি পসচিম দিকে থাকবে।

কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যকরাই বড় নিয়ত বা দোয়া। তবুও প্রথমে যে দোয়ার কথা বলা আছে সেই দোয়া পড়া উত্তম।

তবে, দোয়াটি মুখস্ত করতে না পারলে শুধুমাত্র বিসমিল্লাহ , বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর বলে পশুর গলায় ছুরি চালাতে পারবেন।

এতক্ষণ আমরা জানলাম কোরবানির দোয়া , কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত, কিভাবে কোরবানি করতে হয়।

এবার আমরা জানবো কোরবানির গোশত ভাগ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। 

আমরা অনেকেই কোরবানির গোশত বণ্টনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানি নাহ। জেনে নেওয়া যাক ইসলামের আলোকে কোরবানির গোশত ভাগ করার সঠিক নিয়ম।  কিভাবে কোরবানির গোশত ভাগ করে?

 কোরবানির গোশত ভাগের সঠিক নিয়ম কি । কয় ভাগে ভাগ হয় কোরবানির গোশত । কোরবানি সম্পর্কে হাদিস

আমাদের মুসলিম উম্মাহ এর কোরবানি করার মূল কারণ আলাহকে খুশী করা। যার জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হয় যা আমরা জেনেছি। এজন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা গরু, মহিষ, ছাগল, উট ইত্যাদি কোরবানি দিয়ে থাকি। 

কিন্তু, এসব পশুর গোশত কয় ভাগে ভাগ করতে হবে নাকি কি করতে হবে অনেকের জানা নেই। তাদের জন্য বলতে চাই, আমাদের নবীজি কোরবানির গোশত থেকে একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়ার জন্য রাখতেন।

একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন।

অন্য ভাগ গরিব এতিম মিসকিনদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন।

এ বিষয়ে আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে বলেন, “এরপর তোমরা এটি থেকে আহার করো। এবং অভাব, দুস্থ, গরিব্দের মাঝে বিলিয়ে দাও”। 

অন্যদিকে হাদিসে এসেছে, টিন ভাগে ভাগ করে একভাগ নিজ পরিবারের জন্য রাখে হবে।

একভাগ আত্মীয়দের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হবে। অন্যভাগ পারা প্রতিবেশি এবং গরিব দুখিদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হয়।

আল্লাহর রাসুল আমাদের নবীজি কোরবানি দিয়ে প্রমাইন মতো গোশত পরবারকে নিয়ে দিতেন। বাকি সব সবার মাঝে প্রয়োজন মতো বিলিয়ে দিতেন।

অনেক সময় দেখা যায় খুব কম পরিমাণ ভাগে পায় অনেকে। সেখেতে আত্মীয়দের দাওয়াত দিয়ে রান্না করে খাওয়ায়ে দিতে পারেন।

কোরবানি সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর

কোরবানি করার সময় কি দোয়া পড়তেই হবে?

না, না পরে শুধু বিসমিল্লাহ বলে কোরবানি করলেও হবে। তবে দোয়া পড়া অতি উত্তম।

কোরবানির দোয়া কি উচ্চ স্বরে পড়তে হবে নাকি মনে মনে পড়তে হবে?

আসতে আসতে পড়তে হবে। উচ্চ স্বরে কোরবানির দোয়া পড়া যাবে নাহ।

আল্লাহর কাছে কোরবানির কি পৌছায়?

আল্লাহর কাছে কোরবানির শুধু তাকওয়া পৌছায়।

কোরবানি কার নামে দিতে হয়?

কোরবানি আল্লাহর নামে দিতে হয়।

পশু কোরবানির সময়ে মুখে কি বলতে হয়?

বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবর বলতে হয়।

কোরবানি দেওয়ার সময়ে পশুর মাথা কোনদিকে ফিরানো রাখতে হয়?

বাম দিকে ফিরায়ে রাখতে হয়।

কোরবানি নিয়ে সর্বশেষ

আজকের আমরা কোরবানির দোয়া কোরবানি করা নিয়ম কোরবানির লক্ষ্য, কোরবানি কাদের উপর ওয়াজিব সব জানলাম।

আশা করছি এরপরে কোরবানি নিয়ে আর কিছু জানার থাকবে না।

এরপরেও কোনো বিষয়ে জানার থাকলে এই পোষ্টের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।

24 thoughts on “কোরবানির দোয়া । কোরবানি সম্পর্কে হাদিস ”

  1. অসাধারণ তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

    Reply

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.