৭ মার্চের ভাষণ রচনা । ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রচনা

Last Updated on 9 months by Shaikh Mainul Islam

বাঙ্গালী জাতির জীবনে ৭ মার্চের অইতিহাসিক ভাষণ ছিল অত্তন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাষণের গুরুত্ব বোঝাতে প্রত্যেক বছর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে “৭ মার্চের ভাষণ রচনা” লিখতে হয়।

প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “৭ মার্চের ভাষণ রচনা । অইতিহাইস্ক ৭ মার্চ রচনা” এ।

আজকের পোষ্টে আমরা ৭ মার্চের ভাষণ রচনা -এর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবো। দেখবো ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রচনা নিয়ে ধাপে ধাপে সকল বিষয়ে।

আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস রচনা । মহান বিজয় দিবস রচনা লেখার নিয়ম

৭ মার্চের রচনা লেখার নিয়ম

একটি নির্ধারিত বিষয়ে কোনও কিছু লিখতে হলে অই বিষয়ে শুরু থেকে শেষ খুব সুন্দর ভাবে জানতে হয়। এরপরে গুছিয়ে লিখতে হয়।

যেমন, ৭ মার্চের রচনায় আপনাকে আগে ৭ মার্চের ভাষণ কে কখন কোথায় কেন দিয়েছিলেন এমন কিছু বিষয়ে লিখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ pdf । বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ লিখিত

এভাবে ধাপে ধাপে ৭ মার্চে কি হয়েছে না হয়ছে, কি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু সেসব বিষয়ে বিস্তারিত।

প্রিয় শিক্ষার্থী, যেই শিরোনামে বা যেই নামেই রচনা লিখতে বলা হোক, যদি ৭ মার্চ সম্পর্কিত হয় তাহলে শুধু মাত্র রচনার শিরোনাম পরিবরতন করেই আপনি এই রচনাটি লিখে জমা দিতে পারবেন।

অথবা এই রচনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন যা সবাই পাবে না। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আহলে দেখে নিন নিচের রচনাটি।

সূচনা

স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির সামনে একটি ভাষণ দেন। ভাষনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো দেশের জন্য অস্ত্র ধরার আহ্বান।

পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে জিম্মি ছিলও পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ।

আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার নিয়ম

কিন্তু তখন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ একের পর এক বিভিন্ন আন্দোলন এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে পশ্চিমাদের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করতে চেষ্টা করতে থাকলো।

বিস্তারিত

দীর্ঘদিন এমন একের পর এক আন্দোলন, প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির সামনে ১৮ মিনিটের একটি ভাষণ প্রদান করেন।

আরও পড়ুনঃ ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ pdf

যে ভাষণে তিনি দেশের মানুষের সাথে অন্যায়, শোষণ-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি এই ভাষণে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনে যুদ্ধ করে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে বলেন।

আরও পড়ুনঃ শেখ রাসেলের জীবনী রচনা । শেখ রাসেল রচনা

শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণেই বলেছিলন,

“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো – ইনশাআল্লাহ”।

এছারা ১৮ মিনিটের ভাষণে বঙ্গবন্ধু তুলে ধরেন দেশের মানুষের সাথে পশ্চিমা পাকিস্তানিদের করা অন্ন্যান দুর্নীতির কথা।

৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে এই কথাটুকুই বাঙ্গালী জাতিকে যুদ্ধের জন্য অসীম সাহস যোগায়।

আরও পড়ুনঃ  ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমি যদি হুকুম দেওয়ার না ও পারি, তোমরা রাস্তা ঘাট, পথ সব আটকে দেবে।

আমরা বাঙ্গালী, আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো”।

আরও পড়ুনঃ আমার প্রিয় শেখ রাসেল রচনা । শেখ রাসেল সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগিতা

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেদিনের ভাষণে বলেন, “তোমরা বাঙ্গালী, তোমরা আমার ভাই। তোমরা ব্যারাকে থাকো।

আর যদি বুকের উপর গুলি করার চেষ্টা করো, মনে রাখবা সাত কোটি বাঙ্গালীকে দাবায়ে রাখতে পারবা না”।

এভাবেই মূলত ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতিকে একত্রিত করে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তত করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

৭ মার্চ থেকে প্রাপ্তি

সবকিছুর জন্য একটি শুরু খুবই দরকার। ঠিক তেমনই স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ ছিলও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেতে এমন একটি বক্তব্য ই তখনকার সময়ে যথেষ্ট ছিলও।

আজ স্বাধীন বাংলাদেশে মাতৃভাষায় কথা বলছি। এর অনেক বর একটি অবদান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ।

এই ভাষণ সারা বিশ্বে বজ্রকণ্ঠের ভাষণ নামে পরিচিত। ৭ মার্চের ভাষণ থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে অগ্রসর হয় গোটা বাংলাদেশ।

৭ মার্চের ভাষণ এর রচনা উপসংহার

স্বাধীনতা অর্জন যত কঠিন রক্ষা করা তার চেয়েও কঠিন। তাই ৭ মার্চের অনবদ্য বজ্রকন্ঠের ভাষণকে মনে রেখে জাতির জন্য কাজ করতে হবে।

কিভাবে মানুষের মনে জাতির জন্য জাগ্রত করতে হয় তা ৭ মার্চের ভাষণ রচনা থেকে জানা সম্ভব।

আমাদের উচিত ৭ মার্চের ভাষণকে মনে ধারণ করে দেশের মঙ্গল সুচক কাজে নিজেকে জড়িত রাখা।

৭ মার্চ সম্পর্কিত FAQS

1971 সালের 7 মার্চ কি বার ছিল?

ওইদিন ৭ মার্চ, ১৯৭১, রবিবার (বিকেল ৩ টা)য় বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন।

৭ মার্চের ভাষণ রচনা pdf কোথায় পাবো?

এই পোষ্টে লিংক করে আমাদের প্রকাশিত ৭ মার্চের ভাষণ রচনা pdf দেওয়া আছে, সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।

৭ মার্চের ভাষণে কয়টি শব্দ ছিল?

১১০৮ টি শব্দ ছিল ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে।

৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেয় কবে?

২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়

৭ মার্চ ভাষণ নিয়ে সর্বশেষ

আজকের পোস্ট থেকে আমরা ৭ মার্চের ভাষণ রচনা লেখার ব্যাসিক নিয়ম ও নমুনা রচনা দেখেছি। দেখেছি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রচনা নিয়ে বিস্তারিত আরও কিছু তথ্য।

৭ মার্চ সহ অন্যান্য সকল জাতীয় দিবস সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে National Category ভিজিট করুন।

আমাদের সর্বশেষ পোস্ট পড়তে নিয়মিত Dainik kantha ভিজিট করুন।

এছারা আমাদের ফেসবুকে ফলো করতে ভিজিট করুন Dainikkantha এ।