ডাবের পানির উপকারিতা । ডাবের পানি খাওয়া সম্পর্কে সতর্কতা

ডাব কে না খায়। শত ক্লান্তির পর এক্তি ডাবের পানি খেলে শরীরে যেন এক অন্নতকম আমজ ফিরে পাওয়া যায়। শুধু তাই ই না। ডাবের পানিকে প্রাকৃতিক স্যালাইন বলা হয়। এছারা ডাবের পানিতে রয়েছে বেশ কিছু উপরকার। তাই আজকে আমরা ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

ডাবের পানি খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ধরনের ভাবনা কাজ করে। যেমন অনেকে মনে করেন ডাবের পানিতে অ্যাসিডিটি অর্থাৎ গ্যাস হয়। প্রকৃত অর্থে ডাবের পানিতে অ্যাসিডিটি কমে।

আজকের পোষ্টে আমরা জানবো, ডাব খাওয়ার উপকারিতা, ডাবের পানি খেলে কি হয়, ডাব খাওয়ার সঠিক নিয়ম, খালি পেটে ডাব খেলে কি হয়, ডাবের জলে কোন ভিটামিন থাকে এবং ডাবের পান কতক্ষণ রাখা যায় সেই বিষয়ে। এছারাও ডাব সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতে চেষ্টা করবো।

ডাব খাওয়ার উপকারিতা

ডাবের পানি খেতে মিস্টি এবং স্বাদ যুক্ত হওয়ায় অনেকে খুব পছন্দ করে। তবে ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং মানুষের শরীরের উপযোগী পুষ্টি উপস্থিত।

ডাবের প্রতি ১০০ গ্রাম পানিতে জলীয় অংশ ৯৫%। খনিজ পদার্থ ০.৩%। আমিষ ২.৩ %। শর্করা ২.৪%। চর্বি ০.১ গ্রাম। ক্যালসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ০.০১ মিলিগ্রাম। আয়রন ০.১ মিলি গ্রাম। ভিটামিন বি১ ০।।১১ মিলিগ্রাম। ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম এবং ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি থাকে।

আরও পড়ুনঃ পেটের গ্যাস কমানোর উপায় । গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ ও প্রতিকার

এত পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানব শরীরে এর উপকারিতা অনেক বেশি। তাহলে চলুন ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের যত্নে ডাবের পানির উপকারিতা

নিচে ডাবের পানিতে শরীরের ত্বকে যেসব ভুমিকা পালন করে তা উল্লেখ করা হলো।

১) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সরাসরি ভুমিকা রাখে ডাবের পানি।

২) ত্বকের রং স্বাভাবিক রাখতে ভুমিকা রাখে।

৩) ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সরাসরি ভুমিকা রাখে।

৪) ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সহযোগিতা করে।

৫) ত্বকে বলি রেখা কমাতে সাহায্য করে। 

৬) শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভুমিকা পালন করে।

৭) কোলাজেন তৈরি করতে ভুমিকা রাখে।

এছাড়াও ত্বকের সু স্বাস্থ্য রক্ষায় ডাবের পানি অত্যন্ত ভুমিকা পালন করে। যার প্রত্যেকটি উপকারিতা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা

গর্ভকালীন সময় মা এবং তা অনাগত সন্তানের জন্য খুবি জরুরি একটি সময়। এই সময়ে সব বিষয়ে জেনে বুঝে হিসেব করে মাকে চলতে হয় নিজের এবং অনাগত সন্তানের জন্য। একজন মা সহ সকলের জানা উচিত গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা কি।

১) ডাবের পানিতে গর্ভবতী মায়ের শরীরের পানির ভারসাম্য রুক্ষা করে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে।

২) গর্ভবতী মায়ের শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষায় ডাবের পানি কাজ করে। কারণ, ডাবের পানিতে আছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

৩) ডাবের পানিতে পটাশিয়াম উপস্থিত থাকার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরাসরি ভুমিকা পালন করে।

এটি শুধু গর্ভবতী মায়ের জন্যই নয়, বরং সবার জন্য কার্যকরী।

আরও পড়ুনঃ সেক্সে রসুনের উপকারিতা । রসুন খেলে কি উপকার হয় যৌন কর্মে

৪) ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে বলে ভ্রুন উৎপন্নে অনেক বেশি ভুমিকা রাখে।

৫) অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে গর্ভবতী মায়েদের ডাবের পানি হতে পারে প্রতহ্ম পছন্দ।

৬) ডাবের পানিতে খেলে ওজন বাড়ে না। তার জন্যেও ডাবের পানি হতে পারে গর্ভবতী মায়েদের প্রথম পছন্দ।

এছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে অনেক অনেক গুণাবলী। যা একটি পোষ্টে লিখে সেশ করা সম্ভব না।

তবে ডাবের পানির কিছু অপকারিতাও আছে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ডাবের পানির অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ডাবের পানির অপকারিতা এবং সতর্কতা

অনেক গুণাবলী আছে ডাবের পানিতে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ ডাবের পানি পান করলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকম শারিরিক সমসস্যা।

আরও পড়ুনঃ গলা জ্বলার কারণ । গলা জ্বলা দূর করার উপায়

তাই পরিমানের বেশি অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়া যাবে না।

ডাবের পানির সাথে লবণ/ চিনি/ গুর জাতীয় কিছুই মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। কচি ডাব বা কম বয়স্ক ডাবের পানি খেতে হবে।

প্রতিদিন ডাবের পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

এছারা ডায়বেটিক কিংবা প্রেশার সমসস্যা থাকলে দাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি সেবন করতে হবে।

ডাবের পানি সম্পর্কিত সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আশা ক্রছি এই বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পেরেছি।

আমাদের স্রবসেশ আপডেট পেটে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

1 thought on “ডাবের পানির উপকারিতা । ডাবের পানি খাওয়া সম্পর্কে সতর্কতা”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.