কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি কেমন ?

আমাদের অনেকেরই জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কাজে ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়। কিন্তু সব ধরনের ব্যাংক থেকেই লোন নিতে জামানত রাখতে হয়, যা কর্মসংস্থান ব্যাংকে লাগে না। তাই আজকে আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি কেমন সে সম্পর্কে জানবো।

কর্মসংস্থান ব্যাংক মূলত সামান্য কয়েকটি শর্তে যুবক যুবতীদের জামানত বিহীন লোন প্রদান করে থাকে। এর অন্যতম কারণ দেশের বেকার যুবক যুবতীদের স্বাবলম্বী করা এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য।

আজকের পোষ্টে আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি কেমন, কি কি যোগ্যতা লাগে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য, জামানত বিহীন লোণ নিতে কি কি শর্ত মানতে হয় তা জানবো। এবং সর্বশেষে জানবো কর্মসংস্থান ব্যাংক কত টাকা পর্যন্ত লোণ দিয়ে থাকে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোণ পাওয়ার যোগ্যতা

দেশের মুল ধারার ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিতে করতে হয় তাদের বিভিন্ন শর্ত পূরণ।

যেখানে লোন ধারীর হতে হয় চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী কিংবা বাড়িওয়ালা। যা বেকার যুবক যুবতীদের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব না।

এরপরে নিজের জমি, কিংবা এমন কোনো স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থাকতে হবে।

তার ডকুমেন্ট ব্যাংককে দিয়ে তবেই সাধারণত সব ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায়।

মুল ধারার ব্যাংকগুলো যখন বেকার যুবক যুবতীদের ঋণ বা লোণ দিতে ব্যর্থ, সেখানে জামানত বিহীন বা বিনা জামানতে লোণ দিচ্ছে কর্মসংস্থান ব্যাংক।

আরও পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে খুব সহজ শর্তে যেকোনো প্রাপ্ত বয়স্ক যুবক যুবতী ২০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার যোগ্যতা / শর্তগুলোঃ

১) ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশোনা করার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

২) ১৮ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে।

৩) সরকারি অনুমোদিত যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে যুব প্রশিক্ষণ এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

৪) কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে দেওয়া ফর্ম সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। এবং তাদের যাবতীয় অন্যান্য শর্ত মানতে হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংকের অন্যান্য শর্তগুলো এতটাই সহজ থাকে যে যেকোনো যুবক যুবতীদের তা পূরণ করা একদম সহজ।

উপরের এই সকল বিষয়ে আপনি পারফেক্ট হলে তবেই কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি কেমন সেই অনুযায়ী লোন নিতে পারবেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোণ সম্পরকে আর কিছু তথ্য

আপনি লোন সহজেই পাবেন। এবং আপনার নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকেই পাবেন।

তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, লোন নেওয়ার পরের মাস থেকেই আপনাকে ৫ থেকে ৭ পারসেন্ট হারে সুদ দিতে হবে।

তাই সব টাকা ব্যবসায়ে না খাটিয়ে কয়েক মাসের টাকা রেখে দিন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আকারে জানুন। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত বিহীন লোন নেওয়ার জন্য আর বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কিত সর্বশেষ

আজকে আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি কেমন তা জেনেছি।

জেনেছি কয় টাকা পর্যন্ত জামানত বিহীন লোণ নেওয়া যায় এই ব্যাংক থেকে।

জেনেছি কিভাবে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায় সেই বিষয়ে। আশা করছি আজকের পোস্ট সম্পরকে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ  ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি

এই সম্পর্কে আর কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।

লোন সম্পর্কিত সকল পোস্ট পড়তে আমাদের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।

নিয়মিত আমাদের অয়েবসাইত ভিজিত করুন। চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ DAinikkantha এ।

1 thought on “কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি কেমন ?”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.