Last Updated on 7 months by Shaikh Mainul Islam
সুস্থ সরির সুন্দর মন দরকার সবার আগে
সুস্থ শরীর, সুন্দর মন আমাদের বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ বেশি শারীরিক মানসিক শক্তি।
শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ অর্থাৎ ফিটনেস জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
এ বিষয়ে যুগে যুগে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট এর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞগণ অনেক কিছু প্রমাণ করেছেন।
যা করলে একজন মানুষ সহজেই শারীরিক মানসিক ভাবে ফিট থাকতে পারে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
বিশেষ করে, ডায়বেটিস,মেদ, প্রেসার জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক ভাবে ফিট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
999
শরীর ফিট রাখতে সর্বপ্রথম লক্ষণীয় বিষয় হলো উচ্চতা অনুযায়ী (বিএমআই) শরীরের ওজন কম নাকি বেশি।
আবার কন্ট্রোলে রাখতে হবে শরীরের মেদ/ চর্বি।
সাধারণ জীবনযাপনে নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং পুষ্টিকর খাবার। গ্রহণ করলে শরীর নিয়ে খুব বড় রকমের চিন্তায় পরতে হশ না শারীরিক ফিটনেস নিয়ে।
[ ] পানি পান করাঃ যেকোনো চিকিৎসক এর কাছে গেলে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ চিকিৎসক পরামর্শ দিবে বেশি বেশি পানি পান করার। এর অন্যতম কারণ হলো খাবার ছারা ৪০ দিন বাঁচা গেলেও পানি ছারা একদিন বেঁচে থাকা সম্ভব না বলা চলে।
পানির অভাবে শারীরবৃত্তীয় কোনো কাজকর্ম করা সম্ভব না।
প্রচুর পরিমাণ পানি পানের মাধ্যমে শরীরের আদ্রতার ঘাটতি এবং জমাকৃত টক্সিন দূর করে দেয়।
শরীরের স্থিতিস্থাপকতা সাম্যবস্থায় রাখার জন্য ত্বকের আদ্রতা দরকার।
সুতরাং, বয়স ধরে রাখতে বা শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার জন্য পানি পানের কোনো বিকল্প নাই। অর্থাৎ, বয়স হলেও শারীরিক ফিট থাকার জন্য প্রচুর পানি পান অন্যতম উপায়।
[২] ঘুম/ নিদ্রাঃ সুস্থ শরীর ও সুন্দর মন লাভের জন্য শরীরকে দেওয়া দরকার প্রচুর বিশ্রাম/ রেস্ট। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়-সাত ঘন্টা ঘুৃম প্রত্যেক মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু, বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমানো যাবে না। এভাবে ঘুমালে মুখে বলিরেখা পড়ে যায়।
[৩] ব্যায়াম করাঃ শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য ভালো এবং অধিক সচল রাখার জন্যে নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধুলার কোনো বিকল্প নাই।
এর ফলে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে অধিক কমন সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকা যায় খুবই সহজে।
শরীরের বাহির থেকে দেখতে পাওয়া মেদ শরীরের ভিতরে আরও ভয়ানক আকারে বিদ্দমান থাকে। যার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন হয়ে যায় দুর্বিষহ।
শারীরিক ব্যায়ামের কারণে শরীরের রক্ত চলাচল যেমন বাড়ে তেমন পুরো অক্সিজেন পৌছে দেয় শরীরের সব কোষে। যার কারণে শরীর ঝলমল করে। শরীরে রোগ থাকলো কখনোই ত্বক ঝলমল করে না।
[৪] চাপ নেওয়াঃ অতিরিক্ত চাপ হোক তা শারীরিক বা মানসিক তা কখনোই ভালোকিছু দেয় না। বরং স্বাস্থ্যকে করে দুর্বল এমনিক মানসিক শক্তিকেও করে দেয় দুর্বল।
যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো অবস্থায় নিজেকে শারীরিক মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে জানতে হবে। যেন কোনোবাবেই শরীর ও মনের উপর চাপ সৃষ্টি না হয়৷
এতে করে সবকিছু মেনেজ করার যেমন সক্ষমতা থাকে তেমন শারীরিক ও মানসিক ভাবে থাকা যায় শতভাগ শক্তিশালী।
[৫] মনের পরিচর্যা করাঃ সুস্থ শরীর, স্বাভাবিক চিন্তাধারা এবং নিজেকে তরুণ রাখার অন্যতম আরেকটি উপায় হলো নিজের মনকে ভালো রাখা।
আমাদের মানসিক অবস্থা প্রকাশ পায় মুখ ও শরীরে।
যে কাজ সবথেকে বেশি ভালো লাগে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে সে সব কাজের মধ্যে।
কম পড়ে ভালো ফলাফল করবেন যেভাবে
[৬] খাবারঃ প্রতিদিন নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি কোন খাবারগুলি খাবেন আর কোন খাবারগুলি পরিহার করবেন!
গ্রহণকৃত খাবার- বাদাম,সিডস,ডিম, দুধ। শাকসবজি, ফলমূল। মাছ,ডিম, মুরগি।
সঠিক খাবার সঠিক সময়ে
পরিহারকৃত খাবার- ভাজাভুজি,কেক, আইসক্রিম,মিষ্টি বিস্কুট। লাল মাংস।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে বিশেষ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে নজদ দিতে হবে।
যেমনঃ মাঝেমধ্যে বা প্রায়ই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে আমরা ফোণে মেইল চেক করি।
এটা শুধু শরীরের জন্যই নয় বরং জীবনের জন্য হুমকি সরূপ।
মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিতকৃত আলো শরীর এবং তকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এমনকও ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় খুব তারাতারি।
এছাড়াও চলার ক্ষেত্রে সার্বিক দিক খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, শারীরিক সামর্থ্যের তুলনায় কম পরিশ্রম বা কায়িকশ্রম করতে হবে৷
সর্বোপরি, জীবনে চলার জন্য শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই ফিট থাকা অর্থাৎ ফিটনেস দরকার সবার আগে।
এর কোনো একটা ঠিক না থাকলে জীবন হয়ে পরে দুর্বিষহ। বেঁচে থাকাটা হয়ে পরে ভিত্তিহীন।
সবার সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনে শারীরিক মানসিক সুস্থতা কামনা করছে দৈনিক কন্ঠ পরিবার।
নিয়মিত আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও জয়েন হয়ে নিন অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে।
14 thoughts on “শারীরিক- মানসিক ফিটনেস ধরে রাখার কৌশল”