Last Updated on 2 months by Shaikh Mainul Islam
এই যুগে এসে একটি ব্যাংক একাউন্ট নাই এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আবার একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান না এমন লোকের সংখ্যাও খুবই কম। আজকে আমরা জানবো ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম এবং চেক লেখার সময় সতর্কতা। অর্থাৎ একটি চেক লেখার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এই বিষয়ে বিস্তারিত।
আজকের পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। একজন ব্যাংক ইউজার হিসেবে প্রত্যেকের এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত জরুরি। পোস্টটি থেকে শিখতে পারবেন ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম, চেক লেখার সময় সতর্কতা সমূহ, চেক লেখার সাধারণ নিয়মাবলী।
এই পোষ্টে চেক লেখার ছারাও ব্যাংক একাউন্ট খোলা, ব্যাংক থেকে সহজে লোন নেওয়ার জন্য করণীয় বিষয়ে লেখা ব্লগের লিংক দেওয়া থাকবে। প্রত্যেকটি ব্লগ যা আপনার একান্ত জানা দরকার, পড়ে নিতে পারেন। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আজকের বিষয় অর্থাৎ ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
ব্যাংক চেক লেখার সাধারণ নিয়ম
প্রায় সব ব্যাংকের চেক একই ধরনের হয়ে থাকে। যেখানে টাকার পরিমাণ লেখার জন্য অংকে এবং কথায় দুই ভাবে জায়গা (ফাঁকা ঘর) থাকে। সেখানে কালো কালির কলম দ্বারা স্পষ্ট করে আপনি যত টাকা উঠাবেন তার সংখ্যা লিখবেন। এর পর লেখা শেষে টাকার সংকেত স্বরূপ দুইটি দাগ দিয়ে একটি ক্রস দাগ দিবেন। এটা দেওয়া হয় মূলত আপনার লেখা টাকার সামনে কেউ বাড়িয়ে লিখতে না পারে।
এরপর যেখানে লেখা থাকবে টাকার পরিমাণ কথায় লিখুন, সেখানে আপনি সংখ্যায় যত টাকা লিখছেন সেই টাকার পরিমাণ কথায় লিখবেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন বানান যেন ভুল না হয়। এছাড়া চেষ্টা করতে হবে হাতের লেখাটা সুন্দর করে স্পষ্ট লেখার। কালো কলম দ্বারা স্পষ্ট লিখতে পারলেই হবে।
এরপর তারিখ লেখার জায়গায় তারিখ লিখবেন। তারিখ লিখবেন আগে দিন তারপর অবলিক দিয়ে মাস। এক্ষেত্রে মাসের আগে ০ দিবেন যদি সিঙ্গেল মাস হয়।
এর পর অবলিক দিয়ে বছর অর্থাৎ সাল লিখবেন।
উদাহরণস্বরূপ ২৭/০৭/২০২২
এতক্ষণে ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম জানলাম। এবার জেনে নেওয়া যাক কাউকে চেক লিখে দিলে চেকের পিছনে কিভাবে সিগনেচার করতে হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
চেকের পিছন পাতায় লেখার নিয়ম
আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টের চেক লিখে প্রথম পেজে আপনার সিগনেচার লাগবে। আবার কাউকে দিয়ে টাকা উঠানোর জন্য দিলে আপনার এবং যে ব্যক্তি টাকা উঠাবে প্রত্যেকের চেকের পিছনে দুইটি করে সিগনেচার লাগবে। তারিখ লিখতে হবে। এবং মূল ব্যাংক একাউন্ট মালিকের সচল মোবাইল নাম্বার লিখে দিতে হবে।
কারণ আপনার একাউন্ট থেকে অন্য কেউ টাকা উঠাতে গেলে তারা আপনার কাছে শিওর হবে। তবে সিগনেচার থাকলে খুব বেশি একটা জটিলতা হয় না।
তবে অনেক বড় অংকের টাকা উঠানোর জন্য অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট মালিকের সাথে কথা বলে নেন ব্যাংক ম্যানেজার।
আরও পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আশা করছি ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন।
এবার ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে অধিক জিজ্ঞেসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর জেনে নেওয়া যাক। মূলত এই প্রশ্নগুলো সাধারণ মানুষ খুব বেশি পরিমাণে জানতে চেয়ে থাকে।
চেক লেখার সময় সতর্কতা অবলম্বন
কখনোই অস্পষ্ট অক্ষরে চেক লেখা যাবে না। স্পষ্ট লেখা ছাড়া কোনো ব্যাংক চেক গ্রহণ করেন না।
ঠাণ্ডা মাত্থায় নির্ভুল ভাবে চেক লিখতে হবে।
কখনো জেল পেন বা মোটা কালি দিয়ে চেক লেখা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ কৃষি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
চেক এ ময়লা লাগানো যাবে না। মুচরে ফেলা যাবে না।
চেক কোনো ভাবেই একাধিক ভাজ করে বহন করা যাবে না।
নিজের চেক যতটা সম্ভব নিজেই লিখে নিজেই টাকা উঠানো সব থেকে ভালো। এছাড়া পারিপার্শ্বিক বিষয়ে সতর্কতা অলম্বন করাই ভালো।
ব্যাংক চেক লেখা সম্পর্কিত FAQS
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। সম্পূর্ণ পোষ্টে খুব সুন্দর করে বোঝানো হয়েছে সম্পূর্ণ বিষয়টি।
জি, হ্যাঁ। সকল ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ এক।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যে খুব সুন্দর করে আর্টিকেল লেখা আছে।
আরও পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি
ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম নিয়ে সর্বশেষ
আশা করছি ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম সম্পর্কে খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এখন আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
এভাবে চেক লিখবেন যেকোনো ব্যাংক চেকই হোক না কেন।
আরও পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত
আরও পড়ুনঃ জীবন বীমা কি কত প্রকার ও কি কি
এছাড়া এই বিষয়ে আর কিছু জানতে চাইলে পোষ্টের নিচে কমেন্ট করুন। আমাদের প্রতিনিধি খুব তারাতারি আপনার কমেন্টের উত্তর দিবেন।
আরও পড়ুনঃ সঞ্চয়পত্র কোন কোন ব্যাংকে করা যায়
চোখ চোখ রাখুন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
10 thoughts on “ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম । সতর্কতা”