Last Updated on 9 months by Shaikh Mainul Islam
নিশ্চিন্তে ডিপিএস করার জন্য ব্যাংক হিসেবে অগ্রণী ব্যাংক অন্যতম। তাই অনেকেই অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট ২০২৪ জানতে চান।
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট ২০২৪ । Agrani Bank DPS Chart 2024” এ।
আরও পড়ুনঃ চেক লেখার নিয়ম
আজকে আমরা ডিপিএস কি, অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট এবং অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম সহ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।
ডিপিএস কি
ডিপিএস অর্থ হচ্ছে ডিপোজিট পেনশন স্কিম। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করলে নির্দিষ্ট সময় পরে লাভ সহ আসল টাকা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ জীবন বীমা কি কত প্রকার ও কি কি
একজন সরকারি চাকরিজীবী চাকরীর শেষে যেভাবে পেনশন পেয়ে থাকে কোনো ব্যক্তি যেকোনো ব্যাংকে ডিপিএস করলে নির্দিষ্ট সময় শেষে সেভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন।
ব্যাংক ছারাও বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন অনুমোদন প্রতিষ্ঠান ডিপিএস স্কিম চালু রাখে।
তবে সরকারি বা বেসরকারি হোক, বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাভুক্ত ব্যাংকে ডিপিএস করা সব থেকে নিরাপদ।
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট সমূহ
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট বলতে বুঝায়, কত বছর মেয়াদি ডিপিএস করলে কত পারসেন্ট ইন্টারেস্ট দিবে, মাসিক কত টাকা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
একই সাথে এই মুহূর্তে ব্যাংকটির কত কত বছরের ডিপিএস স্কিম চালু আছে তা তালিকা আকারে বোঝায়।
তবে অগ্রণী ব্যাংক ইন্টারেস্টের পরিমাণ পরিবর্তন করতে সক্ষমতা রাখে এই মর্মে আপনাকে জানানো হবে।
তবে সাধারণত আপনাকে বলা ইন্টারেস্টের কম দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুনঃ সঞ্চয়পত্র কোন কোন ব্যাংকে করা যায়
এবার দেখে নেওয়া যাক অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্টে কোন কোন স্কিম চালু আছে এবং কয় বছর মেয়াদি এবং মাসিক কত টাকা করে জমা দিতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।
অগ্রণী ব্যাংক এই মুহূর্তে তিনটি মেয়াদে তাদের ডিপিএস স্কিম চালু রেখেছে।
- ৫ বছর
- ৭ বছর
- ১০ বছর
এই তিন মেয়াদের যেকোনো একটি মেয়াদে আপনিও অগ্রণী ব্যাংকে ডিপিএস করতে পারবেন।
নিচে অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএসের মেয়াদ, বার্ষিক মুনাফার হার এবং মাসিক কিস্তির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছেঃ
মেয়াদ | বার্ষিক সুদের হার | মাসিক কিস্তি |
---|---|---|
৫ বছর | ৫.০৬% | ১৪,৯০০ টাকা |
৭ বছর | ৫.২৮% | ১০,১০০ টাকা |
১০ বছর | ৫.৪৮% | ৬৫২০ টাকা |
এই চার্টটি (আজ ২৮ মার্চ ২০২৪) অগ্রণী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা।
ব্যাংক চাইলে নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে এর যেকোনো একটির পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাদের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে।
উপরের চার্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আপনি এর যেকোনো একটি ডিপিএস করতে পারবেন আপনার নিকটস্থ যেকোনো অগ্রণী ব্যাংকের শাখায়।
অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম
সকল ব্যাংকের মতো অগ্রণী ব্যাংকেও ডিপিএস করতে চাইলে ব্যাংকের দেওয়া কিছু নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে ডিপিএস করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত
চলুন অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট ডিপিএস করার নিয়মাবলী জেনে নেওয়া যাকঃ
- অগ্রণী ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।
- অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স এবং বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর যেকোনো একটির ফটোকপি।
- যাকে নমিনি রাখবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ যাবতীয় তথ্য।
- অগ্রণী ব্যাংকের নিয়মিত একাউন্টের সর্বশেষ ট্রানজেকশন এর তথ্য।
- অবশ্যই আপনাকে ব্যাংকের সকল শর্তে (therms and condition) সম্মত হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা করবেন কিভাবে
অগ্রণী ব্যাংক সহ সকল ব্যাংকে ডিপিএস খোলার নিয়ম একই। তাই যেখানেই ডিপিএস একাউন্ট খুলেন উপরের সবকিছু প্রয়োজন হবে।
উপরের ডকুমেন্ট নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের যে শাখায় আপনার একাউন্ট সেই শাখার ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করলে পরবর্তী সকল কাজ তিনি করে দিবেন।
অগ্রণীতে কেন করবেন ডিপিএস
ডিপিএস যেহেতু নিজের পকেটের টাকা লাভের আশায় অন্যের কাছে রাখতে দেওয়া তাই নিরাপত্তার একটি বিষয় থেকেই যায়।
এক্ষেত্রে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন ডিপিএস করবো এবং অগ্রণী ব্যাংকেই ডিপিএস করবো।
আমরা কেউই জানি না আজ থেকে ৫ বছর পর বেঁচে থাকলে কি হবে না হবে। এখন অর্জিত টাকা থেকে একটি অংশ জমা করলে পরবর্তীতে অনেক বড় একটি পরিমাণ টাকা জমা হবে।
যা থেকে তখন খুব ভালো কিছু করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির চাওয়া অনুযায়ী এই টাকা যেকোনো কাজে ব্যবহার করে জীবনকে বদলে দিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ লাইফ ইন্সুরেন্স এর সুবিধা সমূহ
বিশেষ করে অগ্রণী ব্যাংক সহ দেশের সবগুলো সরকারি ব্যাংক ডিপিএস সিস্টেম চালু রেখেছে। দেশের প্রত্নত অঞ্চলেও খেয়াল করলে দেখবেন অগ্রণী ব্যাংকের শাখা আছে।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময় শেষে কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই ডিপিএস এর লাভ সহ আসল টাকা আপনি উঠিয়ে নিতে পারবেন।
অগ্রণীতে ডিপিএস করতে কোনো ঝামেলা নাই। তাই অগ্রণীতে ডিপিএস করলে সেরা সার্ভিস পাওয়া যাবে। আর টাকা হারানোর কোনো ভয়ই তো থাকছে না।
ডিপিএস করার জন্য দেশের শীর্ষ পর্যায়ের সকল ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড।
অগ্রণী ব্যাংক সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
টাকা জমা করার ক্ষেত্রে সেরা একটি উপায় হচ্ছে ডিপিএস। আর অগ্রণীতে ডিপিএস শতভাগ নিরাপদ।
অগ্রণী ব্যাংকটি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সরকারি ব্যাংক। এই ব্যাংক থেকে টাকা হারানোর সম্ভাবনা একদমই নাই।
হ্যা, অগ্রণীতে ডিপিএস একাউন্ট করতে চাইলে আগে অগ্রণী ব্যাংকে একটি নিয়মিত একাউন্ট থাকতে হবে।
ডিপিএস অর্থ হচ্ছে ডিপোজিট পেনশন স্কিম।
এই মুহূর্তে অগ্রণী ব্যাংকে মোট তিন মেয়াদে ডিপিএস করা যায়। তা হছে ৫ বছর, ৭ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদে।
৫ বছরে মেয়াদের ডিপিএস এ বছরে ৫.০৬%,
৭ বছর মেয়াদের ডিপিস এ বছরে ৫.২৮%,
১০ বছর মেয়াদের ডিপিএস এ বছরে ৫.৪৮%
বাৎসরিক ইন্টারেস্ট দিয়ে থাকে।
হ্যাঁ, অগ্রণী ব্যাংকে ডিপিএস করার জন্য ডিপিএস একাউন্ট খুলতে হয়।
তবে তার আগে ওই ব্যাংকে একটি নিয়মিত একাউন্ট থাকতে হবে। না থাকলে খুলে নিতে পারবেন যেকোনো সময়ে।
অগ্রণী ব্যাংকে ডিপিএস করা নিয়ে সর্বশেষ
আজকে অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট এবং ডিপিএস খোলার নিয়ম সম্পর্কে পেরেছি। আশা করছি এই পোষ্টের মধ্যে এই বিষয়ে সব জানতে পেরেছেন।
ডিপিএস সহ ব্যাংকিং সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে Finance and Banking Category ভিজিট করুন।
সর্বশেষ আমাদের সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
2 thoughts on “অগ্রণী ব্যাংক ডিপিএস চার্ট ২০২৪”