Last Updated on 2 months by Shaikh Mainul Islam
অনলাইনে সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ব্লগিং করা, যার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায়। তবে ব্লগিং সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারা অনেকেই নিশ্চিত ভাবে জানতে চান যে, আসলেই কি ব্লগিং করে আয় করা যায়? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ?
এই মুহূর্তে দেশে হাজার হাজার তরুণ নিজেদের অবসর সময়ে ব্লগিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। আপনার মনে হতে পারে যে, আপনাকে মন গড়া কথা বলছি।
যদি তাই মনে হয় তবুও লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন। ব্লগিং বা লেখালেখি সম্পর্কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা দিবো।
এবং পোস্টে আমরা জানবো, ব্লগিং কি ও কেন করবেন, কিভাবে শুরু করবেন, কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন, ব্লগিং করতে কি কি লাগবে, ব্লগিং এর শুরু থেকে ইনকামের টাকা হাতে আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আজকের পোষ্টে আরও জানবো, আসলেই কি ব্লগিং করে আয় করা যায় ? জানবো, যদি ব্লগিং করে আয় করা যায়, তাহলে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ? আর আজকের পোস্টের সকল বিষয়ে আপনাদের জানাব আমাদের দীর্ঘ ২ বছর ব্লগিং করার অভিজ্ঞতা থেকে।
আরও পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় । গুগল এডসেন্স একাউন্ট
আগেই বলে রাখি, আজকের ব্লগটি একটু বড় হবে। ব্লগিং করার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ধৈর্য।
আর এই ধৈর্য ধরে আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ব্লগিং আপনার জন্য কি না।
তাহলে চলুন, শুরু করা যাক, আসলেই কি ব্লগিং করে আয় করা যায়? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ? এবার আসুন, কেন করবেন ব্লগিং এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
ব্লগিং কি ? কেন করবেন ব্লগিং
আপনি এখন এই পোস্টটি পড়ছেন। এই পোস্টটি একটি ব্লগ পোস্ট। এটি আপনি গুগল থেকে পড়ছেন। ব্লগ বলতে সাধারণত বোঝায় কোনও বিষয়ে লেখার মাধ্যমে অন্যকে জানানো।
মনে করেন, আপনি লেখালেখি করতে ভালবাসেন। আপনি যেকোনো একটি বা একাধিক বা যেকোনো বিষয়ে লেখার জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করেন। এবার কোথায় লিখলে আপনার জন্য লেখালেখির পাশাপাশি বেনিফিট আসবে?
আপনি লেখালেখি করার জন্য গুগলে একটি ওয়েবসাইট নিলেন। এবং ওয়েবসাইট সেটআপের পর নিয়মিত লেখালেখি শুরু করলেন।
এবার গুগলে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আসে। আপনি যে বিষয়ে ব্লগ লিখছেন সেই বিষয়ে যখন মানুষ গুগলে সার্চ দিবেন তখন আপনার লেখাটি তাদের সামনে আসবে।
সেই লেখাটি ওপেন করে পড়বেন এবং উপকৃত হবেন। এটাই মূলত ব্লগিং।
একটা সময়ে ব্লগিং ছিলও শুধু মাত্র শখের বসে লেখালেখি করার জন্য। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে মানুষ বর্তমানে ব্লগিং করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এটাই সত্য।
আপনি যদি অন্য কোনও কাজ বা পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করতে চান সেক্ষেত্রে ব্লগিং হতে পারে আপনার প্রথম অপশন।
এছাড়া আপনি যদি চান ব্লগিং কে এই মুহূর্তে আপনার ব্যবসায় রুপান্তর করতে পারবেন। এমন শত শত কোম্পানি আছে সারা বিশ্বব্যাপী।
বাংলা অথবা ইংরেজি, যে ভাষায় আপনার সাবলিভাবে লেখার যোগ্যতা আছে সেই ভাষায় লিখলেন।
এবং এভাবে লেখালেখি শুরু করার পর নির্দিষ্ট একটা সময় পড়ে আপনি আপনার ব্লগে আয় করা শুরু করতে পারবেন।
ব্লগিং করার একমাত্র লাভ টাকা ইনকাম করা না। ব্লগিং করলে অর্থাৎ ব্লগ লেখালেখি করলে আরও অনেক অনেক লাভ রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন লাভের জন্য কেন করবেন ব্লগিং।
- নিজের জানা যেকোনো বিষয় অন্যকে জানানো।
- অন্যকে জানানোর মাধ্যমে নিজের জানার পরিধি বৃদ্ধি করা।
- লাইফ টাইম টাকা ইনকাম করার উপায় তৈরি করা।
- নিজের ব্যবসা, প্রোডাক্ট, সার্ভিস মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
- নিজেকে সারা দেশ কিংবা সারা বিশ্বে পরিচিতি করানো।
- সম্মানের পেশা হিসেবে ব্লগিং করা।
এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে যার জন্য ব্লগিং করা উচিত। এবার অন্তত বুঝতে পারছেন যে আপনি কেন ব্লগিং করবেন।
ব্লগিং করার জন্য কি কি দরকার । ব্লগিং করে টাকা ইনকাম
আপনি কি কখনো টাকা কাউকে আপনাআপনি টাকা পয়সা ইনকাম করতে দেখছেন বা শুনছেন ? অবশ্যই না। শুধু ব্লগিং না, বরং অনলাইন প্লাটফর্মের যেকোনও কাজ করে টাকা আয় করতে স্কিল দরকার।
আরও সহজভাবে বললে, আপনি যে কাজটি করার নিয়ম জানেন না। জানেন না শুরু শেষ তা থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন ? আপনার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি একা নন বরং ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে কোটি কোটি ব্যক্তি ব্লগিং করছে।
তবে হ্যাঁ, ব্লগিং শুরু করার মতো অনলাইন থেকে কাজ করার অন্য কোনও কাজ নাই যা এত সহজ। তবে আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ঠিক এতটাও সহজ নয়।
আপনি যদি ব্লগিং করে ব্লগিং থেকে যত ভাবে লাভবান হওয়া যায় তার যেকোনো একটিও অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বেশ কিছু বিষয় এবং জিনিস লাগবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগিং করার জন্য কি কি দরকার।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো । ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিস্তারিত
- ধৈর্য।
- স্কিল।
- ধারাবাহিকতা।
- রিসার্চ করার মানসিকতা।
- প্রচুর ব্লগ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
- ডিভাইস।
- আপনি যে ভাষায় ব্লগিং করতে চান সেই বিষয়ে মোটামুটি টাইপিং।
- ইন্টারনেট সংযোগ।
- টাকা আয় শুরু করার জন্য অন্তত ১ বছর সময় রাখা।
উপরের প্রত্যেকটি বিষয় আপনার মধ্যে থাকতে হবে। তবেই আপনি শুরু থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে এক বছরের জন্য একটি ওয়েবসাইট নিয়ে সেটআপ করে শুরু করে দিতে পারেন ব্লগিং।
কিন্তু ব্লগিং করার জন্য প্রত্যেকটি বিষয় শুধু থাকলেই হবে নাহ। আপনার মধ্যে এর প্রত্যেকটি খুব ভালোভাবে উপস্থিত থাকতে হবে।
তবেই আপনি শুরু করার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হবেন।
ব্লগিং করতে ধৈর্য যেভাবে দরকার
দেখুন, ব্লগিং এমন একটা সেক্টর যেখানে আপনি পূর্ণ স্কিল নিয়েও কাজ শুরু করার পরেও আপনার আয় শুরু হতে অন্তত ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগবে।
এরপর প্রথম টাকা হাতে পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে, আপনি ব্লগিং শুরু করার পড়ে প্রথম দিকে দিনের পর দিন আপনার ব্লগে সবকিছু ঠিক থাকার পরেও ভিজিটর পাবেন নাহ।
এখানেই শতকরা প্রায় ৬০ থেকে ৮৫ ভাগ নতুন ব্লগাররা ব্লগিং সেক্টর থেকে ছিটকে পরে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন । কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
আমাদের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ব্লগিং এ ধৈর্য ধরে কাজ করতে পাড়া লোকদের প্রায় শতভাগই আজ এক একজন সফল ব্লগার।
তাই ধৈর্য আপনার থাকতেই হবে ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার আগে থেকেই।
ব্লগিং করার জন্য যেসব স্কিল দরকার
দেখুন, একটি জবের জন্য অনেক গুলি ক্লাস পড়াশোনা করতে হয়। এবং প্রত্যেকটি ক্লাসে বিভিন্ন বিষয়ের সাবজেক্ট থাকে।
ঠিক তেমনই ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনার কয়েকটি স্কিল অর্জন করতে হবেহ।
এই সেক্টরে টিকে থাকতে হলে অনেক বেশী স্কিল অর্জন করতে হবে একের পর এক।
তবে ব্লগিং এর শুরুতে আপনাকে কয়েকটি স্কিল শিখে ব্লগিং শুরু করতে হবে।
যেমনঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ করা শিখতে হবে। আপনার পোস্ট তখনই মানুষের সামনে যাবে যখন আপনি পোস্টটিকে এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট হিসেবে লিখতে পারবেন।
এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কোনও বিকল্প নেই। টুলস ব্যবহার করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রি এবং প্রো, দুই ভাবেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়।
তবে প্রথম ১ কিংবা ২ বছর কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রি টুলস থেকেও কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ব্লগিং করা যায়।
ফটোশপ থেকে ব্লগ পোস্টের জন্য ছবি এডিট করে মাপ মতো ছবি তৈরি করা জানতে হবে। অর্থাৎ বেসিক ফটোশপ জানতে হবে।
গুগল ডকস এ লেখার সুবিধা অনেক বেশী। তাই গুগ ডকস ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
এরপর আপনি যে কন্টেন্টটি লিখবেন সেটি কপি হচ্ছে কি না, অর্থাৎ ইতিমধ্যে হুবহু এমন লেখা গুগলে আছে কি না তা চেক করার জন্য duplichecker টুলস ব্যবহার জানতে হবেহ।
Off page SEO অবশ্যই শিখতে হবে। অফ পেজ এসিও যদি আপনি না শিখে ব্লগিং শুরু করেন তা করার থেকে না করাই বেশী ভালো হবেহ
পোস্ট র্যাঙ্ক এর জন্য অনেক বিষয় কাজ করলেও অন্যতম হচ্ছে অফ পেজ এসিও।
এছাড়াও, সহজ ভাষায় লিখতে জানতে হবে। হোক সেটি বাংলা কিংবা ইংরেজি ভাষার ব্লগ। মোট কথা এই যে, আপনার পোস্টটি সব ধরনের ভিজিটর রা পড়বেন। তাই যত সহজ ভাবে সম্ভব লেখার চেষ্টা করতে হবে।
এই স্কিল গুলো অর্জন করেই আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। তবে, এর সবগুলো স্কিল আপনি প্রথমেই সম্পূর্ণ আয়ত্ত করতে পারবেন না।
তবে ব্লগিং শুরুর পরে খুব কম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ শিখে নিতে হবে নিজ ইচ্ছায়।
ব্লগিং করে টাকা আয় করতে কাজের ধারাবাহিকতা
দেখুন, ব্লগিং সেক্টর একটি মারাত্মক প্রতিযোগিতার ময়দান। এখানে যে যত বেশী ধারাবাহিক সে তত বেশী সফল হবে।
আর ব্লগিং করতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ধৈর্য, সময় এবং একের পর এক স্কিল অর্জনের কোনও বিকল্প নেই।
তাই অবশ্যই ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে যা যা করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুরু থেকে ব্লগিং এ ধারাবাহিকতা থাকতে হবেহ।
আরও পড়ুনঃ ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় । কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়
অন্যান্য সব কাজে যেমন ভালো কিছু করতে হলে ধারাবাহিকতা থাকতে হয় তেমনই ব্লগিং এ ধারবাহিকতা থাকলে যতই ব্লগ ওয়েবসাইট বৃদ্ধি পাক তাতে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে কোনও সমস্যা তৈরি হবে নাহ।
এছাড়াও ব্লগিং এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে গুগল খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি একটি সু নজর দেওয়া শুরু করে।
এতে করে আপনি একটা সময়ে প্রচুর অরগানিক ট্রাফিক পাবেন আপনার ব্লগে।
ব্লগিং করে আয় করতে রিসার্চ করার মানসিকতা
শিক্ষক হওয়ার জন্য অবশ্যই আগে লেখাপড়া করে শিখতে হয়। এর কারণ, আপনি নিজে যদি না জানেন অন্যকে কিভাবে জানাবেন।
ঠিক তেমনই আপনি ব্লগিং করবেন অর্থাৎ, আপনার ব্লগ লাখ লাখ মানুষ পড়বে। কিন্তু আপনার ব্লগ পড়ে ওই বিষয়ে যদি তাদের ধারণা ক্লিয়ার না হয় তাহলে এমন ব্লগ লেখার কোনও মানে হয় ?
অবশ্যই নাহ। আপনি ধরেন একটি বিষয়ে একটি ব্লগ লিখবেন। সে বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জানাশোনা আছে।
কিন্তু তারপরেও ওই বিষয়ে অন্য ২-৩ টি ব্লগ আপনাকে পড়তে হবে। প্রয়োজন হলে অনান্ন প্লাটফর্মে ভিডিও দেখে জানতে হবে।
দেখুন, লেখার জন্য বেশী সময় দরকার হয় না। কিন্তু যা লিখবেন তা যদি নিজে আগে আয়ত্ত করতে পারেন তাহলেই এটা সম্ভব।
তাই আপনাকে সর্বোচ্চ ভাবে চেষ্টা করতে হবেহ যে, আমাকে অবশ্যই রিসার্চ করতে হবে।
রিসার্চ করার করার অন্যতম একটি লাভ হচ্ছে, ধরেন আপনি একটি বিষয়ে তিনটি ভিন্ন ব্লগ পোস্ট পড়ছেন।
কিন্তু ওই ভিন্ন তিন ব্লগার তো নিশ্চয়ই হুবহু সেম ভাবে ব্লগটি লেখে নাই।
তাহলে আপনি ওই তিনটি ব্লগের মূল যে বিষয়গুলো তা আপনার ব্লগে তুলে ধরতে পারবেন।
এতে আপনার ব্লগটি হবে ওই ব্লগের থেকে অনেক বেশী তথ্য বহুল। আর এজন্যই ওই ব্লগ গুলোকে আপনি পিছনে ফেলতে পারবেন।
ব্লগিং করতে ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্য
এটা অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। আপনি একটি ভালো ডিভাইস ব্যবহার করলে আপনার কাজের সময় কম লাগবে, কাজে স্পৃহা থাকবে।
ধরেন, আপনি চাচ্ছেন মোবাইল থেকে ব্লগিং করবেন। হ্যাঁ সম্ভব। অনেকেও করছে বহুদিন ধরে। কিন্তু এটা অনেক কষ্টসাধ্য এবং প্যারাদায়ক।
কারণ, আপনি যদি ১ থেকে ২ হাজার শব্দের একটি ব্লগ লিখতে চান, সেটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে লিখতে আপনার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় রাখতে পারে।
অন্যদিকে ওই ব্লগ মোবাইল দিয়ে লেখার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ২ দিন বা তারও বেশী।
এছাড়া কিওয়ারদ রিসার্চ, ফটোশপ থেকে আরও কিছু টুলস এবং রিসার্চ করার জন্য কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দরকার।
তবে, প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকায় একটি কম্পিউটার কিনে নিলে তাতেই সুন্দর ভাবে ব্লগিং করতে পারবেন।
একই সাথে ভালো স্পিডের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবেহ। থাকতে হবে কাজ করার একটি ভালো পরিবেশ।
কারণ, আপনি যদি চান জোড় করে অসাস্থকর পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে তাও একটা সময় আপনার কাজের বাধা হয়ে দারাবে।
ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য সময় প্রয়োজন
দেখুন আজ কাজ শুরু করে কাল থেকে টাকা হাতে পাওয়ার মানসিকতা বোকামি ছাড়া কিছুই না। এটাকে বলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া।
কারণ স্থায়ী ভাবে যদি এক্যি হ্যান্ডসাম পরিমাণ টাকা আয় করতে চান অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় অন্তত আপনাকে দিতেই হবেহ।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন
তাই আজ কাজ করেই কাল টাকা পাবেন এমন চিন্তা ভুলেও মাথায় আনা যাবে না। আপনি যদি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করতে পারেন তাহলে ইনকাম শুরুর পর থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে মাসে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
আর আপনি যদি আরও ভালো ভাবে কাজ করেন তাহলে লাখ টাকা আয় করাও কোনও ব্যাপার নাহ।
তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, শুধু মাত্র টাকা আয় করাকে কেন্দ্র করে কাজ করলে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারলেও আপনি অন্যান্য লাভগুলি ধরতে পারবেন না।
এবার চলুন, জেনে নেওয়া যাক আসলেই কি ব্লগিং করে আয় করা যায়? আয় করা গেলে কয় টাকা আয় করা যায় ব্লগিং করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
আসলে ব্লগিং করে আয় করা যায় । কত টাকা আয় করা যায় ?
আপনি এই লেখাটি পড়ছেন। আপনার কি মনে হয় “ব্লগিং করে কতত টাকা আয় করা যায়” এই পোস্টটি আমি শুধু মাত্র আমার লেখালেখির ভালো লাগা থেকে লিখছি?
একদমই নাহ। ব্লগিং অর্থাৎ লেখালেখি যদি আপনার মনের ভিতর থেকে থাকে তাহলে কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
তবে এই কাড়ি কাড়ি টাকা আয় শুরু করার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে। সু স্পষ্ট নির্ধারিত লখ রেখে কাজ করতে হবেহ।
এতক্ষণে শতভাগ নিশ্চিত যে ব্লগিং করে আয় করা যায়। তবে এবার ভালোভাবে জানা উচিত যে প্রকৃত অর্থে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।
জেনে নেওয়া যাক ব্লগিং এর আয় কিসের উপর নির্ভর করে।
- হাই সিপিসি কিওয়ারদে পোস্ট লেখা।
- ব্লগের ভাষা কি তার উপর।
- আপনার ব্লগে কোন দেশের ভিজিটর বেশী আসে তার উপর।
- ব্লগ কন্টেন্ট কেমন কোয়ালিটি সম্পন্ন।
- আপনার ব্লগ কোন নিশে তৈরি তার উপর।
বেশ কিছু কিওয়ারদ আছে যেখানে অনেক হাই সিপিসি কিওয়ারদ পাবেন।
সেই সব কিওয়ারদে পোস্ট লিখলে আপনি প্রত্যেক কিল্কের জন্য ৩ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন বা তারও বেশী।
আপনি যদি একটি বাংলা ব্লগে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে সেই ব্লগ থেকেও আপনি প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয় করা নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে জানতে পারলেন যে, ব্লগিং করে আসলেই আয় করা যায়।
তবে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় তা নির্ভর করবে আপনার ব্লগিং সম্পর্কিত কিছু বিষয়ের উপর।
যে বা যারা আপ[নাকে বলছে ব্লগিং করে তেমন টাকা পয়সা আয় করা যায় না তারা আসলে চান আপনি কখনোই এই সেক্টরে না আসেন।
তাহলে তাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে যার যোগ্যতা তারা রাখে না।
১ ডলার সমান বাংলাদেশী ১০০ টাকার বেশী। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, এবং ধৈর্য ধরতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় শুরু করার পর থেকে মাসে মাসে বাংলাদেশী ২০ হাজার থেকে ১ লাখ কিংবা তারও বেশী টাকা আয় করতে পারবেন আজন্মকাল।
দেখুন, ব্লগিং সম্পর্কে এভাবে লিখে আপনাকে শতভাগ বুঝানো একটু কঠিন।
ইংরেজি যদি হয় আপনার ব্লগের ভাষা হয় আর আপনি ইউরোপ আমেরিকা থেকে ভিজিটর আনতে পারলে আপনি নিশ্চিত থাকেন যে, প্রতিদিন যদি ১০ থেকে ৫০ জন ভিজিটরও আসে তাতেও আপনি মাস শেহসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার আয় করতে পারবেন।
তবে বাংলা ব্লগ র্যাঙ্কিং করানো এখন পর্যন্ত অনেক সহজ। কারণ বাংলাতে কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট এর খুব অভাব গুগলে।
তাই আপনি ব্লগ র্যাঙ্ক করানোর জন্য বাংলা ব্লগ লিখতে পারেন। এবং বাহিরের ভিজিটর আনার জন্য কিছু ইংরেজি পোস্ট করতে পারেন।
তবে এর জন্য আপনার সিপিসি বেশী রাখার জন্য যা যা দরকার লিগ্যাল উপায়ে তাই তাই করতে হবে।
তবুও আশা করছি আমাদের আজকের পোস্টটি থেকে মোটামুটি ব্লগিং সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এই বিষয়ে আরও জানতে আমাদের পোস্টের অনলাইন ইনকাম ক্যাটাগরি ভিজিট করুন। প্রয়োজনে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।
আপনি যদি মনে করেন যে ব্লগিং করে আপনি আয় করতে চান এবং এজন্য একটি সঠিক পরামর্শ দরকার।
তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের নক করতে পারেন। আমরা আপনাকে সকল বিষয়ে সরাসরি বুঝিয়ে দেওয়ার দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ব্লগিং থেকে আয় করা নিয়ে সর্বশেষ
আর কিছু না হোক আজকের পোস্ট “ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং কি কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয় এই বিষয়ে পুরনাঙ্গ একটি ধারণা পেয়েছেন আজকের পোস্ট থেকে এটা অন্তত আমি মনে করছি।
আজকের পোস্ট “ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়” এই প্রশ্নের কিছুটা হলেও উত্তর পেয়েছেন বলে মনে করছি।
খুব শিগ্রহি আমরা একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করতে যাচ্ছি। এবং একটি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল।
যেখানে ব্লগিং সম্পর্কে আমাদের ফ্রি এবং পেইড দুই ধরনের কোর্সই পাবেন আপনারা।
নতুন ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশের পর এই পোষ্টে আপডেট করে জানিয়ে দেওয়া হবেহ।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই বিষয়ে আপনাদের কিছুটা জানাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
7 thoughts on “ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় । বাংলা ব্লগে ইনকাম বৃদ্ধির উপায়”