বজ্রপাতে করণীয় । Things to do with lightning

একটি বজ্রপাত একটি পরিবারের সারা জীবনের  কান্নার কারণ হতে পারে। বজ্রপাত পৃথিবীতে মানুষের জন্য অভিশাপ বা হুমকি সরূপ বলা চলে। কিন্তু কেন? বজ্রপাত কি ? কেন বজ্রপাত হয়? বজ্রপাতের লক্ষণ সমূহ কি। বজ্রপাতে করণীয় কি? 

আজকে আমরা বজ্রপাত সম্প্রকে জানবো, বজ্রপাতের কারণে দেশে প্রতি বছর বেশ কিছু মানুষ মারা যায়। এরপরেও কেন জানি আমরা সচেতন হই না। আমরা বজ্রপাতকে ওভাবে প্রাধান্য দিয়ে কখনো চিন্তাই করি নাহ। আসলে প্রকৃত পক্ষে আমাদের বজ্রপাত সম্পর্কে জানা এবং  প্র্যজনিও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। 

আজকে আমরা জানবো, বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে এবং  বজ্রপাতে করণীয় কি কেন হয় কিভাবে হয় কিভাবে বুঝতে পারা যায় এবং বজ্রপাত বন্ধের জন্য করণীয় কি সেই সব বিষয়ে।

চলুন শুরু করা যায় বজ্রপাতে করণীয় এবং কমানোর উপায় সম্প্রকে বিস্তারিত আলোচনা। 

বজ্রপাত কি

বজ্রপাত বলতে মূলত আকাশের আলোর ঝলানিকেই বোঝায়। আলোর ঝলকানির সময়ে বাতাসের প্রসারণ এবং সংকোচনের ফলে বেশ জোরেই এই শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।

ইংরেজি Lightning শব্দ থেকে বজ্রপাত এসেছে। 

এই রকমের বৈদ্যুতিক আধানের নির্গমন দু মেঘের মধ্যে বা মেঘ এবং ভুমির মধ্যেও হয়ে থাকে।

বজ্রপাতের ফলে ডিসি কারেন্ট উতপন্ন হয়।

বজ্রপাত কেন হয়

বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে (দক্ষিন ) আসা গরম এবং অন্য প্রান্ত থেকে আসা (উত্তর) ঠাণ্ডা বাতাসে অস্থিতিশীল আবহাওয়ায় বজ্র মেঘ তৈরি হয়।

এমনভাবে অসংখ্য বজ্র মেঘ তৈরি হয় যা পরবর্তীতে খোলা আকাশে একটির সাথে আরেকটি ঘর্ষণ হয়।

আর এই মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলেই বজ্রপাত তৈরি হয়। 

যখন বজ্রপাত উতপন্ন হয় তখন, বজ্রপাত থেকে উৎপন্ন উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ মাটিতে চলে আসে। মাটিতে আসার পথে সবচেয়ে কাছে বস্তু বা ব্যক্তিকে আঘাত করে যার ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি না বজ্রপাত কেন হয়। কিন্তু আমাদের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জানা একান্ত দরকার বজ্রপাত কেন হয়। বজ্রপাত কেন হয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া বিদগণ জানান, “আমাদের (বাংলাদেশে) বজ্রপাতের আসল কারণ ভেীগোলিক অবস্থান। আমাদের দেশের একদিকে বঙ্গোপসাগর এরপর আবার ভারত মহাসাগর। 

বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর থেকে গরম আর আদ্র বাতাস গিয়ে জমা হয়। অন্যদিকে উত্তরে পাহারি অঞ্চল তার একটু দুরেই হিমালয় পর্বত।

যার ফলে দেশের উত্তর থেকে বয়ে আসে ঠাণ্ডা বাতাস।

উত্তর এবং দক্ষিন এই জায়গা থেকে বাতাসের সংমিশ্রণ বজ্রপাতের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। 

গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে ৫০ % বজ্রপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এদের মতে, বছরে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সবথেকে বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আজও জানি না বজ্রপাত কেন হয়।

কিন্তু আমাদের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জানা একান্ত দরকার বজ্রপাত কেন হয়।

আজকে এই আর্টিকেল পড়ার পরে নিশ্চয়ই জেনে গেছি বজ্রপাত কেন হয়। বজ্রপাতে করণীয়  

বজ্রপাতের আগে লক্ষণীয়

এমন একটা খোলা জায়গায় আছেন যেখানে বিদ্যুৎ চমকিয়ে বজ্রপাতে করণীয় বলতে কিছু করার কোনো উপায় থাকে নাহ। তখন মনে হয় বজ্রপাতের আগে লক্ষণ যদি বুঝতে পারতাম যে বজ্রপাত হবে তাহলে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতাম। আসলে কি বজ্রপাতের আগে লক্ষণীয় কোনো উপায় আছে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে বজ্রপাত হবে এই অঞ্চলে? 

ধারনাটা একদম ভুল ব্যাপারটা এরকম ও না। আবার এমন ও না যে, আপনি লক্ষণ বুঝে শতভাগ সময় পাবেন নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য।  বজ্রপাত হওয়ার আগে সর্বাধিক ১ থেকে ২ মিনিট পেতে পারেন।

এইটুকু সময়ে আবার আপনি বজ্রপাতের লক্ষণ বুঝতে পারবেন এমন ও নাহ।

কারণ বজ্রপাতের লক্ষণগুলো একটু ভিন্নরকমের।

চলুন জেনে নেওয়া বজ্রপাত হওয়ার আগে লক্ষণীয় যা ঘটলে বুঝবেন ১ মিনিটের মধ্যে বজ্রপাত হবেঃ 

  • মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে উতপন্ন বিদ্যুতের প্রভাবে চুল খাড়া হয়ে যাবে। 
  • শরীরের চামড়ায় শিরশির করবে এবং বিদ্যুতের অনুভব হবে। 
  • চারপাশের ধাতব পদার্থ থেমে থেমে কাঁপতে থাকবে। 
  • এসময়ে অনেকে আবার ক্রি ক্রি শব্দ শুনতে পান।
  • এছাড়া আকাশে কিছুক্ষণ পর পর বিদ্যুৎ চমকাতে দেখলেও বোঝা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে বজ্রপাত হতে পারে।

তবে উপরের কোনো লক্ষণই শতভাগ বোঝার উপায় থাকেনা। যা থেকে আপনি বজ্রপাতের আগেই বুঝতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানলে খুবসহজ ভাবেই আপনি বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে পারবেন। বজ্রপাতে করণীয়

এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলা বজ্রপাতের কারণে আপনাকে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হতেহবে নাহ। 

বজ্রপাত হওয়ার আগ মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে কোথায় তা পড়বে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান।

আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে বজ্রপাত হবে এমন প্রস্তুতি নিন।

তবে সত্যি বলতে বজ্রপাতের এসব লক্ষণ অধিকাংশ সময়ই খেয়াল করা সম্ভব না।

তাই সবসময় এর জন্য নিজেকে প্রস্তুতি রাখাই উত্তম। বিশেষ করে বৈরী আবহাওয়ায় সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

বজ্রপাতের লক্ষণ সঠিক ভাবে বুঝতে না পারলেও খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না যদি কেউ বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানে এবং সঠিক সময়ে নিজের জানা বজ্রপাতে করনীয় কে বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারে।

তাই বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় । বজ্রপাতে করণীয়     

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাতের আকর্ষিক ঘটনায় মানুষের জীবন হানির সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না হয়ে দাড়ায়। এতক্ষণ আমরা জানলাম বজ্রপাত কি বজ্রপাত কেন হয় এবং বজ্রপাতের আগে লক্ষণীয় সম্পর্কে।  এখন আমরা জানবো বজ্রপাত চলাকালিন এবং বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে। 

দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বজ্রপাত করণীয় বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলও বজ্রপাত চলাকালিন এবং বজ্রপাত পরবর্তী সময়ে এই দিকনির্দেশনাগুলি মেনে চলতে হবে। এগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলতে পারলে তবেই বজ্রপাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে। 

১) ৩০-৪০ মিনিট স্থায়ী হওয়া বজ্রঝরের সম্পূর্ণ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করতে হবে।

খুব বেশি প্রয়োজন হলে বাহিরে যাওয়ার, অবশ্যই রাবারের জুতা পরিধান করে বাহিরে যেতে হবে।

বজ্রপাত থেকে রবারের জুতা অনেকটা সুরক্ষা দেয়। 

২) আপনি ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে অবস্থান করছেন এমন অবস্থায় বজ্রপাত হলে সাথে সাথে কানে আঙ্গুল দিয়ে এবং পায়ের আঙ্গুলের উপর সম্পূর্ণ ভর দিয়ে নিচু হয়ে বসে পরবেন। 

৩) কোনো ভাবেই বজ্রপাতের সময় উচু ভুমি বা বিল্ডিঙের ছাদে অবস্থান করা যাবে না। বরং, বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে যত তারাতারি সম্ভব বাসা বাড়ি বা কংক্রিটের ছাওনির নিচে অবস্থান নিয়ে আশ্রয় নিতে হবে। 

৪) বজ্রপাত বা বজ্রঝর চলাকালিন সময়ে সব ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশু যুবক সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া সাধ্য মতো চেষ্টা করতে হবে বসবাস করে বা বসবাস যোগ্য বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার।  

বজ্রপাত সম্পর্কে সচেতন করতা হবে

৫) আপনি বজ্রপাতে সময় বাহিরে থাকলে আপনার পাশে উচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ এবং মোবাইলের নেটওয়ার্ক টাওয়ার থাকে তাহলে এসব জিনিস থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হবে মুহূর্তের মধ্যে।

বিশেষ করে কোনো ভাবেই বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে অবস্থান করা যাবে নাহ।  

৬) কোনো ধরনের ঝর চলাকালীন ছাউনিবিহিন নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া উচিত নাহ।

বিশেষ করে বজ্রপাত তো কোনভাবেই নাহ। আগে থেকে নৌকা নিয়ে সাগর বা নদিতে থাকলে মাছ শিকার বন্ধ করে ছাউনিতে আসতে হবে এবং অবস্থা বুঝে পারে আসার চেষ্টা করতে হবে। 

৭) গাড়িতে থাকা ব্যক্তি কোনো ভাবেই গাড়ির ধাতব পার্টসের সাথে শরীরকে স্পর্শ করতে যাবেন না।

এবং গতি বাড়িয়ে গাড়ি চালানো যাবে নাহ। 

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে জেনে গেছেন।

এছাড়াও বজ্রপাতের হাট থেকে মুক্তির জন্য দেশের সকল মানুষদের কথা বিবেচনা করে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি। পদক্ষেপগুলো কি এবং কিভাবে বজ্রপাত নিরোধে কাজ করবে, কিভাবে এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা যায় বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে তা জেনে নেওয়া যাক। 

বজ্রপাতে জরুরি পদক্ষেপ  সমূহ

বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে করণীয় পদক্ষেপের প্রশ্ন উঠতেই প্রথমে যে কথাটি সবার সামনে আসে সেটি হলো বজ্রপাত হওয়ার আগে কি কোনো ভাবেই জানতে পারা সম্ভব না ? হ্যাঁ জানা সম্ভব। এবং তা ব্জ্রপাতের অন্তত ১৫ মিনিট আগে জানতে পারা সম্ভব। তাহলে কিভাবে জানতে পারা যায়? আবহাওয়া অধিদপ্তর বজ্রপাত পড়ার ১৫ মিনিট আগে জানতে পারে কোন এলাকায়  বজ্রপাত হতে চলছে। 

এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগে সাধারণ মানুষ তাহলে বজ্রপাতের খবর ১৫ মিনিট আগে কিভাবে পাবেন। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিয়ে মোবাইলে ক্ষুদ্র এসএমএস ব্যবহার করে অইসব অঞ্চলের সকল মোবাইলে এসএমএস এর দ্বারা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া সম্ভব। তবে দেশে এত মানুষ ব্জজ্রপাতে মারা যাবার পরেও এমন সুন্দর একটি সম্ভাবনাময় সমাধান কেন করা হয় না তা একদমই অজানা। বজ্রপাতে করণীয়

অন্যান্য সকল ঝড় বন্যায় মারা যাওয়ার থেকে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি।

আবার বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘোষণা দিলেও এর জন্য বরাদ্দ খুবই কম দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হবে। 

বিঘা বিঘা ফসলের  মাঠ, হাওর বা ফাঁকা কৃষির জমি এলাকায় নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবে এবং সেখানে বজ্রনিরোধক স্থাপন করতে হবে। এতে করে ওই জায়গার মধ্যে কৃষক শ্রমিক যারা নিয়মিত কাজ করে তারা বজ্রপাতের সময় যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে। 

এছাড়া বজ্র নিরোধক হিসেবে বিদেশ থেকে যেসব ঠাণ্ডার প্রটেকশন সিস্টেম দেশে আনা হয় সেসব পণ্যে শুল্ক মওকুফ করতে হবে।

এবং সরকারিভাবে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে বজ্রনিরোধক স্থাপন করতে হবে।

প্রত্যেকটি বাড়ি বা ভবন নির্মাণের আগে নকশায় থান্দার প্রটেকশন যুক্ত বাধ্যতামূলক করতে হবে।

বজ্রপাতে মৃত্যু হার কমানোর উপায়

দেশে পুরভাবাস জানার প্রযুক্তি আমাদের অনুযায়ী এফেক্টিভ নাহ। এজন্য দরকার শক্তিশালি রাডার নেটওয়ার্ক এবং স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক।

আবহাওয়ার পুরভাবাস সঠিক পেতে হলে রাডার এবং স্যাটেলাইটকে প্রজুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। 

একসময় গ্রাম অঞ্চলে মাঠের ভিতরে গাহ পালা দেখা যেত। এখন সেগুলি কেটে ফেলা হয়েছে। হোক তালগাছ বা অন্য কিছু। এসব গাশ গ্রাম অঞ্চলে ফাঁকা যায়গায় লাগাতে হবে তবেই আবারো বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা অনেক কমে যাবে কমে যাবে বজ্রপাতে মৃতের হার। 

বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমাতে সরকার তালগাছ লাগানো প্রকল্প হাতে নিলেও মাঠের মধ্যের গাছ রাস্তার পাশে লাগাচ্ছে।

এতে কোনো উপকার হচ্ছে নাহ। এসব উচু লম্বা গাছের চারা লাগাতে হবে মাঠ এবং খোলা জায়গায়।

এছাড়াও উপরের করণীয় সথিকভাবে মেনে চললে তবেই দেশে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা অনেক কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বজ্রপাতকে কেন্দ্র করে আজ অনেক কিছু ইতিমধ্যে জানা হয়ে গেল। এতক্ষনের সব কথার প্রেক্ষিতে বলাই যায় যে, বজ্রপাত একটি আতংকের নাম যার কারণে প্রতি বছর শত শত মানুষ প্রান হারায়।

কিন্তু সব জিনিস তো একটি ভালো দিক আছে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক বজ্রপাতের মতো আতংকের পিছনে পরিবেশ এবং মানুষের জন্য কি উপকারিতা লুকিয়ে আছে যা আমরা জানি না।

তাই এবার এই বজ্রপাতের উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাতের উপকারিতা সম্পর্কে। 

বজ্রপাতে উপকারিতা

এ আবার কেমন অলক্ষণে কথা তাই ভাবছেন? আমরাও জানার আগ পর্যন্ত এটা ভাবছিলাম যে আসলেই কি বজ্রপাত দ্বারা মানুষ উপকার পেতে পারে ? হ্যাঁ বিজ্ঞান প্রমান করেছে বজ্রপাতের দ্বারাও আমরা উপকৃত হতে পারি।  

নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বজ্রপাতের সময় তৈরি করে নাইট্রোজেন অক্সাইড।

এই অক্সাইড পানির স্পর্শে পরিণত হয় অতি লঘু নাইট্রিক অ্যাসিড হিসেবে।

রাসানিক ভাবে লাফিং গ্যাস হলো নাইট্রজেনের একটি অক্সাইড মাত্র।

যাকে নাইট্রাস অক্সাইড বলা হয়।

মৃদ্যু এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত বর্ণহীন এই অক্সাইড মানুষ নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে হাসির উদ্রেক ছরিয়ে যায় শরীরে।

এর প্রধান কাজ মূলত ব্যাথা কমানো।

তবে এটি মানুষের মনে চনমনে ভাব তৈরী করে তাই নাম দেওয়া হয়েছে লাফিং গ্যাস। এটিই একমাত্র উপকার বজ্রপাত থেকে।

আজকের পোস্টে আমরা জানতে চেষ্টা করেছি বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে।

আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি বজ্রপাত কি, কেন বজ্রপাত হয়, বজ্রপাতের লক্ষণ সমূহ কি, বজ্রপাতে করণীয় কি আশা করছি বজ্রপাত নিয়ে আর কোনো ভ্রান্ত ধারণা বা অজ্ঞতা থাকবেনা।

সব বিষয়ে নিয়মিত আর্টিকেল পেতে এবং নিত্য নতুন পোস্ট পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।

চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ব্লগ বেসবুক পেজে।  

5 thoughts on “বজ্রপাতে করণীয় । Things to do with lightning”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.