Last Updated on 1 year by Shaikh Mainul Islam
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাংলার মুক্তিযোদ্ধা আপমর জনতা পাক বাহিনিদের থেকে ছিনিয়ে আনে বিজয়। সেই থেকে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়। দেশের মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় দেশপ্রেম এবং বিজয়ের পিছনের গল্পকে। ওইদিন সবাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানায়।
শুধু মাত্র ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলে জাতি হিসেবে বাংলাদেশ কোনওদিন উন্নতি করতে পারবে না। শুধু ১৬ ডিসেম্বর রকদিন বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানায় অনেকেই। কিন্তু বছরের বাকি ৩৬৪ দিন অনেকে মনেই করে না যে নাগরিক হিসেবে তাদের কোন দায়িত্ব বা করণীয় আছে।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কেমন হওয়া উচিত?
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি। কিন্তু প্রায় শতভাগ মানুষের শুভেচ্ছা বার্তা বা শুভেচ্ছা স্ট্যাটাসে প্রকাশ পায় না বিজয় দিবসের মর্ম। প্রকাশ পায় না বিজয়কে বাঁচিয়ে রাখতে করণীয়।
আমাদের এমন শুভেচ্ছা দেওয়া উচিত যে বার্তার মধ্যে থাকবে অসিম শক্তির দেশপ্রেম। যেখানে থাকতে হবে রক্ত গরম করা এমন বানী যা পড়লেই মানুষ বুঝতে পারবে দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তত থাকে হবে সর্বদা।
আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট । বিজয় দিবস নিয়ে ক্যাপশন
তাই আমাদের উচিত বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা এমন হওয়া উচিত যে শুভেচ্ছা বানীতে দল মত নির্বিশেষে সবার উদ্দেশ্যে উদারথ আহ্বান থাকে দেশকে ভালোবাসার। আহ্বান থাকে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করার।
বিজয় দিবসের স্লোগান কেমন হওয়া উচিত?
আমরা প্রায় সময়ে লক্ষ্য করি যে, আমাদের সকল দলীয় প্রোগ্রামের মতো বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও বিভিন্ন নেতাদের তল দেওয়ার জন্য তাদের নামে স্লোগান দেও হয়। দেওয়া হয় দলীয় স্লোগান।
এটি সরাসরি দেশকে অপমান বা ছোট করার সামিল।
একটি জাতীয় দিবসে একটি দেশের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে কখনোই কোনও দল কিংবা নেতার নামে স্লোগান দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস রচনা । মহান বিজয় দিবস রচনা লেখার নিয়ম
এমন সব অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটি শদব প্রত্যেকটি বাক্য উচ্চারন হওয়া উচিত যার মধ্যে শুধুই দেশপ্রেম শুধুই দেশত্তবোধ শুধুই দেশের জন্য জীবন দেওয়া বীর শহিদদের প্রতি হ্রদ্ধা সালাম প্রকাশ পায়।
বিজয় অর্জন এতটা সহজ ছিল না। ৩০ লক্ষ্য মানুষ প্রান দিয়েছে। ২ লক্ষ্ মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে। তাই এমন একটি দিবসে আপনি আমি আমরা মুখে যা আসলো তাই বলতে পারি না।
আরও পড়ুনঃ ১৬ ই ডিসেম্বরের বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা সহ)
সেটা হোক স্লোগান কিংবা শুভেচ্ছা বক্তব্য। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কিংবা স্লোগান যা হোক মুখে আসা সব কথা বলা যাবে না। দেওয়া যাবে না মন গড়া স্লোগান।
আরও পড়ুনঃ বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের স্লোগান এমন হওয়া উচিত যে প্রত্যেকটি শব্দ প্রত্যেকটি বাক্যের মধ্যে শুধুই দেশ প্রেম দেশের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধের বার্তা প্রকাশ পাবে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বক্তব্য কেমন হওয়া উচিত ?
বিজয় দিবসের স্লোগান যেমন হওয়া উচিত বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সমান হওয়া উচিত।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের স্লোগান ও এমন হওয়া উচিত যেখানের প্রত্যেকটি শব্দ প্রত্যেকটি বাক্যে শুধু দেশপ্রেম এবং দেশের প্রতি সম্মান করণীয় বিষয় সমূহ ফুটে উঠে।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে সর্বশেষ কিছু কথা
আমরা যারা ১৬ ডিসেম্বর বিজ্জয় দিবসের শুভেচ্ছা বক্তব্য কিংবা শুভেচ্ছা স্লোগান দেই তখন আমাদের মুখকে সাবধান রাখা উচিত।
আরও পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে ? কারা বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করেছিল ?
যাতে এমন কিছু বের না হয়ে যায় যার মাধ্যমে দেশ দেশের জন্য শহীদ এবং দেশের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। এই বিষয়গুলো আমাদের সকলের মাথায় রাখা উচিত। আশা করছি সকলে বুঝতে পেরেছি।
আরও পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা বক্তব্য সহ)
বিজয় দিবস সম্পর্কে আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে জাতীয় ক্যাটাগরি ভিজিট করুন। সকল আপডেট পেতে ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ চোখ রাখুন।
7 thoughts on “১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা । বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা”