১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট । বিজয় দিবস নিয়ে ক্যাপশন

আমরা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মধ্য দিয়ে সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি। পেয়েছি স্বাধীন দেশ। পেয়েছি নিজ মাতৃভূমিকে নিজেদের মতো করে। আর এর পুরোটাই নিশ্চিত হয় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মাধ্যমে। তাই আজকে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট দেওয়ার জন্য কিছু ক্যাপশন এবং বানী জানবো।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পোস্ট কিংবা ক্যাপশন দেওয়ার জন্য মনের ভিতরে দেশ প্রেমই যথেষ্ট। আপনি যদি মন থেকে দেশকে ভালবাসেন, যদি মনে বিজয়ের ইতিহাস ধারণ করতে পারেন তবেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট কিংবা ক্যাপশন নিজ থেকেইদিতে পারবেন।

আজকের পোষ্টে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট বা ক্যাপশন দেওয়ার মতো কিছু অত্যন্ত গভীর বানী বা বাক্য বা ক্যাপশন দেখবো। জানবো ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কত তম বিজয় দিবস। এবং কিছু বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা উক্তি সম্পর্কে জানবো।

বিজয় দিবস নিয়ে বানী

বিজয় দিবস নিয়ে ৫ টি ইউনিক এবং গভীর অর্থপূর্ণ বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ম্যাসাজ দেখে নেওয়া যাক। এই শুভেচ্ছা ক্যাপশন বা মেসেজগুলো চাইলে কপি করে সবার সাহে শেয়ার করে পারেন।

আরও পড়ুনঃ বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা

আপনার মাঝেই সপ্নের শুরু আর আপনার মাঝেই শেষ। ভালোলাগা ভালোবাসায় শুধুই আপনি, আমার প্রিয় বাংলাদেশ।

ডিসেম্বর ১৬ তুমি বাংলার অহংকার, স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর তুমি তুমি তুমি মোদের বিজয় নিশান।

 বিধবা মায়ের বন্দী শ্বাসের শান্তির নিঃশ্বাস তুমি, তুমি মহা বিজয়ের উৎসব। তুমি আনন্দের ১৬ ডিসেম্বর।

আমার প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, আমার পুরোটাই বাংলাদেশ।

সব জানালা খুলে দাও, আমি গাইবো, গাইবো বিজয়ের গান।

বিজয় দিবসের পোস্ট নিয়ে কিছু কথা

মূলত দেশের একটি বড় অংশ মানুষ বিজয় দিবসে মানুষকে দেখাতে নিজের বিভিন্ন সোশ্যাল প্রোফাইলে পোস্ট দেওয়ার জন্য গুগলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট লিখে সার্চ করে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ ১৬ ই ডিসেম্বরের বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা সহ)

প্রকৃত অর্থে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মহান বিজয় দিবস এর পিছনের গল্পটা জানলে আপনার ভিতর থেকেই আসবে দেশ এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা।

বিজয় দিবসে করণীয় কি

দেশের নাগরিক এবং মুসলিম হিসেবে বিজয় দিবসে অবশ্যই কিছু করণীয় এবং দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের আছে। আমরা অনেকেই জানি না যে আমাদের বিজয় দিবসে করণীয় কি। বিজয় দিবসে করণীয় হচ্ছে আত রাকাত নফল নামাজ পড়া।

নামাজ পড়ার কারণ, মুহাম্মদ (সাঃ) বিজয়ের দিনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। (তথ্য সুত্রঃ  জাদুল মা’আদ, আল্লামা ইবনুল কাইয়িম জাওজি।)

আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা  । বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

এছাড়াও বিজয়ের দিনে আরও কিছু করণীয় আছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহা গ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, “যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে, তখন আপনি দলে দলে মানুষকে আল্লাহর দিনে প্রবেশ করতে দেখবেন। আপনি নিজে তখন আপনার পালন কর্তার বর্ণনা করুন।

আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট বক্তব্য

একই সাথে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চান। আল্লাহ নিঃসন্দেহে ক্ষমাকারী।”

এছাড়াও যুদ্ধের সময়ে জানা অজানা যত পাপ হয়েছে তার জন্য মাফ চাওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কবে ? কারা বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করেছিল ?

অন্যদিকে দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করা উচিত। এবং দেশের জন্য নিজের সব বিসর্জনের জন্য সংকল্প করা উচিত।

বিজয় দিবস নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর । FAQS

১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ কততম বিজয় দিবস?

১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস।

কত সালে কি বার বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে?

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট নিয়ে সর্বশেষ কিছু কথা

আজকের পোষ্টে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পোস্ট অর্থাৎ বিজয় দিবস নিয়ে ক্যাপশন জেনেছি। এবং মহান বিজয় দিবস সম্পর্কে জেনেছি।

আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস রচনা । মহান বিজয় দিবস রচনা লেখার নিয়ম

জেনেছি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল। এছাড়াও জেনেছি ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কত তম বিজয় দিবস।

আশা করছি, আজকের পোস্ট থেকে বিজয় দিবসে করণীয় এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা বক্তব্য সহ)

এছাড়া আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গ কিলোমিটার ?

আমাদের সকল আর্টিকেল পড়ার জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।