Last Updated on 2 months by Shaikh Mainul Islam
জীবনে টাকা পয়সা সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে ব্যাংক ডিপোজিট অনেকের অন্যতম ভরসা। সেই জায়গা থেকে জনতা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম জানা প্রয়োজন।
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “জনতা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম । janata bank dps scheme” এ।
আজকের পোষ্টে আমরা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম কি, জনতা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম কয় প্রকার ও কি কি এবং জনতা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম নিয়ে বিস্তারিত জানবো।
ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম কি
নির্দিষ্ট সময় ধরে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখার পরে সময় শেষ হওয়ার পরে ব্যাংকের চুক্তি অনুযায়ী মুনাফা সহ আসল টাকা পাওয়াকেই ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম বলে।
আরও সহজ ভাবে বললে, মনে করেন আপনি ৩ বছর বা ৫ বছর মেয়াদে ব্যাংকের একটি ডিপোজিট স্কিম গ্রহন করলেন যেখানে মাসে মাসে আপনাকে ৫ হাজার টাকা জমা রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ তফসিলি ব্যাংক কি
এবং নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ৩ বছর বা ৫ বছর পর্যন্ত আপনি ৫ হাজার করে টাকা রাখার পরে আসল টাকার পরিমাণ অনুযায়ী ব্যাংক নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ হতে পারে ৫% বা ৬% হারে মুনাফা সহ আসল টাকা আপনাকে ফেরত দিবে।
সাধারণত ব্যাংক ডিপোজিট করা হয় একটি নির্দিষ্ট সময় পরে কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আগে থেকেই সেভ করে রাখার জন্য।
ধরেন আপনি ৫ বছর পরে একটি বাড়ি নির্মাণ করবেন, তাই এখন থেকেই আপনি টাকা গোছানো শুরু করছেন । তার অংশ হিসেবে আপনি একটি ব্যাক ডিপোজিট স্কিম করে রাখতে পারেন।
janata ব্যাংক ডিপোজিট স্কিমের প্রকারভেদ
অন্যান্য ব্যাংকের মতো জনতা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিমে এই মুহূর্তে ৬ ধরনের ব্যাংক স্কিম চালু রয়েছে। জনতা ব্যাংকের ৬ ধরনের ব্যাংক স্কিম হচ্ছেঃ
আরও পড়ুনঃ জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সহ বিস্তারিত
- অনিবাসী পেনশন স্কিম – Non Resident Pension Scheme (NRPS)
- জনতা হজ্ব ডিপোজিট স্কিম – Janata Hajj Deposit Scheme
- জনতা ডিপোজিট স্কিম – Janata Deposit Scheme (JDS)
- জনতা ব্যাংক নারী কল্যাণ সঞ্চয় প্রকল্প – Janata Bank Women Welfare Saving Scheme
- জনতা মিলিয়নিয়ার ডিপোজিট স্কীম – Janata Millionaire Deposit Scheme (JMDS)
- জেবি আমার সঞ্চয় আমার মুনাফা স্কীম – JB My Savings My Profit Scheme
অনিবাসী পেনশন স্কিম
অনিবাসী স্কিম বলতে প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম বোঝায়। অর্থাৎ, জনতা ব্যাংকের অনিবাসি পেনশন স্কিমের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
জনতা ব্যাংকের অনিবাসি পেনশন স্কিমে ডিপোজিট করতে চাইলে নিচে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী অনিবাসী পেনশন স্কিম ডিপোজিট করতে পারবেনঃ
আরও পড়ুনঃ জীবন বীমা কি কত প্রকার ও কি কি
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিক অনিবাসী পেনশন স্কিম ডিপোজিট করতে পারবেন।
- হিসাব খোলার ফর্মে এবং নমুনা স্বাক্ষর কার্ডে গ্রাহকের স্বাক্ষর, তিন কপি ছবি, পাসপোর্টের ১ম সাত পাতার ফটোকপি সত্যায়িত করে প্রেরণ করতে হবে।
- হিসাব খোলার ফরম, নমুনা স্বাক্ষর কার্ড এবং পাসপোর্টের স্বাক্ষর একই হতে হবে।
- গ্রাহক কর্তৃক মনোনীত নমিনীর ২ কপি সত্যায়িত ছবি প্রয়োজন হবে।
- কিস্তি বৈদেশিক রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
- প্রতি মাসের কিস্তি ঐ মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে। অগ্রিম জমা করা যাবে তবে অগ্রিম জমার জন্য সুদ আলাদা মুনাফা দেওয়া হবে না।
- অনিবাসী গ্রাহক এর ব্যক্তিগত সঞ্চয়ী হিসাব একই ব্যাংক শাখায় হতে হবে এবং ঐ হিসাবের মাধ্যমে রেমিট্যেন্স দিতে হবে।
- গ্রাহকের অবর্তমানে হিসাবটি বন্ধ করা হলে হিসাবের স্থিতি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে তার মনোনীত নমিনিকে দিতে হবে।
- কোন নাবালক অথবা যুগ্ম নামে এই স্কীমের আওতায় হিসাব খোলা যাবে না।
এবার অনিবাসি পেনশন স্কিম এর নিয়ম জেনে নেওয়া যাকঃ
সময়সীমা | ০৫ বছর |
মাসিক কিস্তি | ৩০০০/ ৫০০০/ ১০০০০/ ১৫০০০/ ২০০০০ টাকা |
মুনাফার হার | বার্ষিক ৮.৫% সরল সুদ হারে (শর্ত অনুযায়ী পরিবর্তনশীল) |
মাসিক কিস্তির সময় | মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত |
জনতা হজ্ব ডিপোজিট স্কিম
জনতা ব্যাংকের জনতা হজ্ব ডিপোজিট স্কিম এর মাধ্যমে ব্যক্তি চাইলে ১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হজ্জ এর টাকা মাসিক কিস্তিতে গোছাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি
অর্থাৎ, কেউ যদি চান হজ্জ করতে যাবেন আর সেজন্য টাকা জমানো দরকার তিনি তখন জনতা ব্যাংকের জনতা হজ্জ ডিপোজিট স্কিম করে টাকা রাখতে পারবেন।
জনতা হজ্জ ডিপোজিট স্কিম একাউন্ত খোলার নিয়মাবলীঃ
- প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন এর সত্যায়িত ফটোকপি।
- সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত করা ছবি।
- হিসাবধারী থেকে সত্যায়িত নমিনির ১ কপি ছবি।
- এই স্কিমে যুগ্ম নামে ও একই নামে একাধিক হিসাব খোলা যাবে।
এবার জনতা হজ্ব ডিপোজিট স্কিম এর নিয়ম জেনে নেওয়া যাকঃ
সময়সীমা | ১ থেকে ২০ বছর |
মাসিক কিস্তি | মেয়াদভেদে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় |
মুনাফার হার | শতভাগ সুদ মুক্ত |
মাসিক কিস্তির সময় | মাসের যে কোনো দিন |
জনতা ডিপোজিট স্কিম
দেশের যেকোনো ব্যক্তি চাইলেই জনতা ডিপোজিট স্কিম করতে পারেন জনতা ব্যাংকে। এই স্কিম চক্রবৃদ্ধি হাঁরে সুদ বা মুনাফা প্রদান করে।
জনতা ডিপোজিট স্কিম একাউন্ট খোলার নিয়মাবলীঃ
- প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক জনতা ডিপোজিট স্কিম করতে পারবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
- সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ইতে হবে।
- হিসাবধারী কর্তৃক সত্যায়িত নমিনির ১ কপি ছবি।
- যুগ্ম নামে ও একই নামে জনতা ডিপোজিট স্কিম এ একাধিক হিসাব খোলা যাবে না।
- নাবালকের নামে অভিভাবক কর্তৃক হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে।
এবার জনতা ডিপোজিট স্কিম এর নিয়ম জেনে নেওয়া যাকঃ
সময়সীমা | ৫ বছর |
মাসিক কিস্তি | ১০০০, ২০০০, ৫০০০, ১০০০০, ১৫০০০, ২০০০০ এবং ২৫০০০ টাকা |
মুনাফার হার | বার্ষিক ৬% চক্রবৃদ্ধি হারে (পরিবর্তনশীল-সুদের হার সংক্রান্ত সর্বশেষ সার্কুলার অনুসারে) |
মাসিক কিস্তির সময় | মাসের ১ হতে ১০ তারিখ পর্যন্ত |
জনতা ব্যাংক এর ডিপোজিট স্কিম নিয়ে সর্বশেষ
প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আমরা জনতা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি।
আশা করছি এই পোস্ট থেকে জনতা ব্যাংকের সকল ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
জনতা ব্যাংক সহ সকল ব্যাংক বীমা সম্পর্কে আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে Finance and Banking Category ভিজিট করুন।
সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
নিপা শীত পেনশন স্কিম কোলে ছাই