Last Updated on 6 months by Shaikh Mainul Islam
সরকারী ভাবে দেশে উচ্চ শিক্ষার আসন সীমিত থাকায় প্রতি বছর লাখ লাখ মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেয়। আর তখন অনেকেই সিটি ইউনিভার্সিটি খরচ জানতে চান।
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “সিটি ইউনিভার্সিটি খরচ । সিটি ইউনিভার্সিটি কেমন (বিস্তারিত জেনে নিন)” এ।
আজকে আমরা দেশের স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য সিটি ইউনিভার্সিটি কেমন, সিটি ইউনিভার্সিটি কোথায় অবস্থিত, সিটি ইউনিভার্সিটির সাবজেক্ট সমূহ এবং সিটি ইউনিভার্সিটি খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
সিটি ইউনিভার্সিটি কোথায় অবস্থিত
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম নিজস্ব মালিকানা জায়গায় পরিচালিত হয়ে থাকে।
অর্থাৎ সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি ঢাকার অদূরে সাভারের খাগান, বিরুলিয়া তে ১০০ একর জমির উপরে পার্মানেন্ট ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে।
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগানে সিটি ইউনিভার্সিটি তাদের সু বিশাল পার্মানেন্ট ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।
উত্তরা মেট্রোরেল স্ট্যান্ড থেকে তুরাগ নদীর পার হয়ে বিরুলিয়া ব্রিজ হয়ে ক্যাম্পাসে জাতায়াত খুব সহজ। এক্ষেত্রে বাস, অটো রিকশা, ব্যাটারি চালিত অন্যান্য পরিবহন ব্যবহার করতে হবে।
আবার মিরপুর ১ থেকে মাজার রোড হয়েও বিরুলিয়া ব্রিজ হয়ে চলে আসতে পারবেন খুব সহজে।
এক্ষেত্রেও বাস কিংবা লেগুনায় করে আসতে পারবেন ক্যাম্পাসে। বাসে আসলে বিরুলিয়া ব্রিজে এসে অটো নিতে হবে।
এছাড়াও সাভার বা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র ১০-১৫ মিনিট অটো পথের দূরত্বে অবস্থিত দেশের অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সিটি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
সবুজের সমারোহ ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় সিটি ইউনিভার্সিটি তাদের পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসকে একটি গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলেছে।
এত সবুজের সমারোহ যা পড়াশোনার পরিবেশকে বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুন বেশি।
সিটি ইউনিভার্সিটি কেমন
সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পড়াশোনা মানেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ব্যয়।
সেই ধারণা থেকে বের হয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতেই সিটি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে এর পথ চলা।
২০০২ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি তাদের যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১১ সালে পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়।
যেখানে সু বিধাল একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর জন্য যথেষ্ট ডিজিটাল ক্লাস রুম, ল্যাব সুবিধা, লাইব্রেরি এবং নামাজের স্থান রয়েছে। এর সবকিছুই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
এছাড়াও ছোট ও বড় ২ টি খেলার মাঠ, ক্যান্টিন সুবিধা(প্রস্তাবিত), ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক ৪ টি বৃহৎ হল সহ পরিবহন সুবিধা(কার্যক্রম চলমান) সুবিধা দিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
এত এত ফ্যাসিলিটি কিংবা সুবিধা দিয়েও দেশের অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম টিউশন ফি নিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, দেশে যখন নব্য প্রতিস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিএসই এর জন্য চার বছরে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়ে থাকে সেখানে সিটি ইউনিভার্সিটি মাত্র ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে থাকে।
কিন্তু কম টাকায় হলেও পড়াশোনার মান কিংবা পরীক্ষা অথবা একাডেমিক এর কিছুতেই বিন্দু মাত্র ঘাটতি নাই।
অর্থাৎ, কম খরচে সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি হচ্ছে সিটি ইউনিভার্সিটি। এখানে অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন এত কম খরচে কিভাবে পড়ায় সিটি?
সিটি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাম মকবুল হোসেন দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন সিটি ইউনিভার্সিটি।
এছাড়াও সিটির মালিকানাধিন প্রায় ১০ টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেমনঃ
- মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল,
- কলেজ,
- নার্সিং কলেজ,
- স্কুল,
- মাদ্রাসা
- সিটি ইন্সটিটিউট পলিটেকনিক
সার্বিক দিক মিলিয়ে সিটির বর্তমান চেয়ারম্যান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাম আহসানুল হক টিটু, এমপি এর দিকনির্দেশনায় টিউশন ফি না বাড়িয়েই ভালো সার্ভিস দিতে কাজ করছে ইউনিভার্সিটি।
এক কথায় কম খরচে অনার্স এবং মাস্টার্স এর জন্য দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম একটি।
ঢাকার অদূরে একদম গ্রাম্য পরিবেশে সিটি তাদের পারমানেন্ট ক্যাম্পাস সাজিয়ে তুলছে যা আপনার একাডেমিক এবং বাহ্যিক শিক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা রাখবে।
সিটি ইউনিভার্সিটির সাবজেক্ট সমূহ
সিটি ইউনিভার্সিটি চাহিদা এবং পরবর্তী বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করে সময়োপযোগী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সাবজেক্ট চালু রেখেছে। সিটি থেকে সেসব সাবজেক্টে ৩০/৪০/৫০/৬০ টিরও বেশি ব্যাচ কৃতিত্বের সাথে বের হয়েছে।
চলুন সিটি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সাবজেক্ট সমূহ দেখে নেওয়া যাকঃ
সিটি ইউনিভার্সিটিতে অনার্স প্রোগ্রাম সমুহঃ
- কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং – CSE
- ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং – EEE
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং – CE
- মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং – ME
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং – BSTE
- ফার্মেসী – Pharmacy
- কৃষি – Agriculture
- ইংরেজি – English
- বিবিএ – BBA
- এলএলবি – LLB
সিটি ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম সমূহঃ
- MA in English
- LLM – Ma of Law
- MPH – Master of Public Health
- MBA – Master of Business Administration
উল্লেখ্য যে এই সকল সাবজেক্ট ডে শিফট এবং ইভিনিং শিফট দুই শিফটেই রয়েছে।
এবং ইভিনিং এ শুধু মাত্র পলিটেকনিক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা এডমিশনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এছারা যেসব অনার্স প্রোগ্রাম রয়েছে সেসব বিষয়ে আগামী কয়েক বছরের মধে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করার জন্য সিটি ইউনিভার্সিটি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সিটি ইউনিভার্সিটি খরচ এবং ওয়েভার
আজকের ব্লগের মূল বিষয় হচ্ছে সিটি ইউনিভার্সিটি তে পড়ার খরচ অর্থাৎ সেমিস্টার ফি, টিউশন ফি এবং ওয়েভার সম্পর্কে জানবো।
সিটি ইউনিভার্সিটি এসএসসি এবং এইচএসসিতে GPA 8.5 বা তার উপরে হলে সিটি ইউনিভার্সিটি ওয়েভার পলিসি অনুযায়ী এডমিশন ফিএবং প্রথম সেমিস্টারে ছাড় দিয়ে থাকে।
এছাড়াও কোনও সেমিস্টারে CGPA 3.6 বা তার উপরে ফলাফল করতে পারলে পরবর্তী সেমিস্টারে নিশ্চিত ওয়েভার পাবে শিক্ষার্থী। এছারা কোরআনে হাফেজ এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ ১০০% টিউশন ফি ছাড়।
চলুন এক নজরে সিটি ইউনিভার্সিটি খরচ সমূহ (ডে ব্যাচের জন্য) দেখে নেওয়া যাকঃ
প্রোগ্রাম | মোট ক্রেডিট | ক্রেডিট ফি | ভর্তি ফি | সেমিস্টার ফি | টিউশন ফি | মোট খরচ |
---|---|---|---|---|---|---|
সিএসই | ১৫৭ | ১,৮০০ | ১০,৮০০ | ২৪,০০০ | ২,৮২,৬০০ | ৩,১৭,৪০০ |
ট্রিপল ই | ১৫৭ | ১,৬০০ | ১০,৮০০ | ১২,০০০ | ২,৫১,২০০ | ২,৭৪,০০০ |
সিভিল | ১৬৩.৫ | ১,৪০০ | ১০,৮০০ | ৩৬,০০০ | ২,২৮,৯০০ | ২,৭৫,৭০০ |
মেকানিক্যাল | ১৫৫ | ১,৫০০ | ১২,৮০০ | ২৪,০০০ | ২,৩২,৫০০ | ২,৬৯,৩০০ |
টেক্সটাইল | ১৫৬ | ১,৯০০ | ১০,৮০০ | ২৪,০০০ | ২,৯৬,৪০০ | ৩,৩১,২০০ |
ফার্মেসি | ১৭০ | ২,৬০০ | ১০,৮০০ | ৪৮,০০০ | ৪,৪২,০০০ | ৫,০০,৮০০ |
কৃষি | ১৬৮ | ১,৫৪৯ | ১০,৮০০ | ২৪,০০০ | ২,৬০,২৩২ | ২,৯৫,০৩২ |
ইংরেজি | ১৪১ | ১,৬১১ | ১০,৮০০ | ১২,০০০ | ২,২৭,১৫১ | ২,৪৯,৯৫১ |
বিবিএ | ১৪১ | ২,৬৪০ | ১০,৮০০ | ১২,০০০ | ৩,৭২,২৪০ | ৩,৯৫,০৪০ |
এলএলবি | ১৪০ | ২২৬৬ | ১০,৮০০ | ১২,০০০ | ৩,১৭,২৪০ | ৩,৪০,০৪০ |
সিটি ইউনিভার্সিটি খরচ সমূহ (ইভিনিং ব্যাচের জন্য)
প্রোগ্রাম | মোট ক্রেডিট | ক্রেডিট ফি | ভর্তি ফি | সেমিস্টার ফি | টিউশন ফি | মোট খরচ |
---|---|---|---|---|---|---|
সিএসই | ১৩২ | ১,৫০০ | ১০,৮০০ | ১৮,০০০ | ১,৯৮,০০০ | ২,২৬,৮০০ |
ট্রিপল ই | ১৩৯.৭৫ | ১,৬০০ | ১০,৮০০ | ৯,০০০ | ২,২৩,০০০ | ২,৪৩,৪০০ |
সিভিল | ১৩৫ | ১,৬৬০ | ১০,৮০০ | ২৭,০০০ | ২,২৪,০০০ | ২,৬১,৯০০ |
মেকানিক্যাল | ১৪৬ | ১,৪৬২ | ১২,৮০০ | ২৪,০০০ | ২,১৩,০০০ | ২,৫০,২৫২ |
টেক্সটাইল | ১২৭ | ১,৭৪২ | ১০,৮০০ | ১৮,০০০ | ২,২১,২৩৪ | ২,৫০,০৩৪ |
উল্লেখ্যঃ মাস্টার্স প্রোগ্রামের সেমিস্টার ফি সহ যাবতীয় খরচের হিসাব আপডেট করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিঃদ্রঃ একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আপনি যে বিষয়ে ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ের মোট খরচকে ৮ ভাগে ভাগ করে যত টাকা আসবে প্রতি ৬ মাসে আপনার সেই টাকা খরচ হবে।
অর্থাৎ, সেমিস্টার ফি বাদেও প্রতি সেমিস্টারে রেজিস্ট্রেশন বা এডভাইজিং বাবদ সাবজেক্ট অনুযায়ী ফি দিতে হয়।
তবে চার বছরে মোট খরচের বাহিরে এক টাকাও বেশি প্রদান করতে হবে না। অর্থাৎ হিডেন কোনো চার্জ নেই।
ডিস্কাউন্টে ভর্তি হওয়ার উপায়
সিটি ইউনিভার্সিটিতে আপনি চাইলে ডিস্কাউন্টে ভর্তি হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু টাকা কমে ভর্তি হতে পারবেন।
মেইন এডমিশন ফি এর থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কম টাকার পরিমাণ জানতে হলে এবং সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সাবজেক্টে কম এডমিশন ফিতে ভর্তি হতে চাইলে নিম্নোক্ত যেকোনো মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।
সর্বোপরি, অনেকেই ইউনিভার্সিটি সিটি ক্ষেত্রে পড়াশোনার মান নিয়ে দ্বিধাবোধ করেন। প্রকৃত পক্ষে সিটি ইউনিভার্সিটি গত কয়েক বছরে অনেক অনেক ভালো করছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো করার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে খুব কম সময়ের মধ্যে দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পাবে।
সিটি ইউনিভার্সিটি সুবিধা ও অসুবিধা
অনেকে সিটি ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে রিভিউ চান। অনেকে শুধু ভালো দিক বলে। আবার অনেকে শুধু খারাপ দিক বলে।
প্রকৃত অর্থে ভালো এবং মন্দ সব জায়গায় থাকে। তবে তার পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। সিটিতে ভালোর পরিমাণ এবং খারাপের পরিমাণ নিচে দেখে নেওয়া যাকঃ
সিটি ইউনিভার্সিটির ভালো দিক/ সুবিধাঃ
- মানসম্মত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ক্লাসরুম,
- যথেষ্ট পরিমাণ মানসম্মত আধুনিক যন্ত্রাংশ সম্বলিত ল্যাব ফ্যাসিলিটি,
- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সেটআপ সম্বলিত লাইব্রেরি।
- নামাজের জন্য পৃথক পৃথক জায়গা। (ছেলেদের জন্য মসজিদ)
- সু বিশাল সবুজ ক্যাপাস (২ টি অত্যাধুনিক খেলার মাঠ সহ)
- ছেলে মেয়েদের পৃথক ৪ টি হল ব্যবস্থা। (নাম মাত্র মূল্যে)
- রেজাল্টের উপর সেমিস্টার অয়েভার।
- হাফেজ এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের জন্য অবিশ্বাস্য ডিস্কউন্ট।
সিটি ইউনিভার্সিটির খারাপ দিক/ অসুবিধাঃ
- হলে ক্যানটিন ব্যবস্থা চালু নাই। (কার্যক্রম চলমান)
- ক্যাম্পাসের ভিতরে মানসম্মত ক্যানটিন নাই। (কার্যক্রম চলমান)
- ট্রান্সপোর্ট ফ্যাসিলিটি চালু নাই। (কার্যক্রম চলমান, শিগগিরি চালু হবে)
এছাড়া পড়াশোনা কিংবা ক্লাস বা পরীক্ষা কোনো বেলাতেই বিন্দুমাত্র ত্রুটি নাই। ইউজিসি থেকে স্থায়ী স্বীকৃত প্রাপ্ত ক্যাম্পাসেই পরিচালিত সিটি ইউনিভার্সিটির কর্মকাণ্ড।
এছাড়াও বর্তমান সময়ে সরকারী নিতি অনুযায়ী দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিল রেখে সিটি ইউনিভার্সিটিও একই কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের পাঠ ডান করছে।
সিটি ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে সর্বশেষ
এতক্ষণে খুব কম কথার মধ্যে সিটি ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে ভালো মন্দ কিংবা সুবিধা অসুবিধা, পড়াশোনার মান, city university tuition fees bangladesh সহ সকল বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি।
সব কথার এক কথা যে, কম বাজেটের মধ্যে সেরা সার্ভিস দিচ্ছে সিটি ইউনিভার্সিটি। তাই কোনোরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে সিটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারেন।
এক্ষেত্রে অন্য ১০ টা সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যা যেভাবে পড়াবে সিটি ও তাই ই পড়াবে। তবে মনে রাখবেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পড়াশোনা সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীর উপর নির্ভর করে।
শিক্ষক কিংবা ইউনিভার্সিটি শুধু মাত্র একটু রোড ম্যাপ দেখিয়ে দেয়। তাই, কম বাজেট হলে এখনই ভর্তি হয়ে যান আপনার পছন্দের সাবজেক্টে সিটি ইউনিভার্সিটি তে।
বছরে ২ টি করে সেমিস্টার, (জানুয়ারি টু জুন, জুন টু ডিসেম্বর) এ ভর্তি হতে এবং সিটি ইউনিভার্সিটি ভর্তি যোগ্যতা সহ ভর্তি সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে জানতে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন Contact us.
কম খরচে এত মানসম্মত পড়াশোনা আদৌ অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে কি না সেটা ভেবে দেখার বিষয়।
সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে কম খরচে হলেও সিটি ইউনিভার্সিটি পড়াশোনা কিংবা কোয়ালিটি তে কম্প্রোমাইজ করে না।
আশা করছি সিটি ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে সকল বিষয়ে মোটামুটি হলেও একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। এবং এটুকু বুঝতে পারছেন যে কম বাজেটে সিটি কেন এবং কতটুকু সেরা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিঃদ্রঃ এই লেখা নিয়ে আপনার কোনো আপত্তি বা প্রশ্ন থাকলে অতি শিগগিরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
“একজন সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্বিত। সিটি ইউনিভার্সিটির সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি”
সিটি ইউনিভার্সিটি সহ শিক্ষা সম্পর্কিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে Education Category ভিজিট করুন।
নিয়মিত আমাদের সকল আপডেট পেতে ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ চোখ রাখুন।
লেখাঃ শেখ মাইনুল ইসলাম,
শিক্ষার্থীঃ সিটি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
ডিপার্টমেন্টঃ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৬৩ ব্যাচ)