Last Updated on 2 years by Shaikh Mainul Islam
প্রিয় পাঠক, স্বাগত “২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এবং ২৬ শে মার্চ নিয়ে কিছু কথা” শিরোনামের আজকের পোষ্টে।
আপনি যদি একজন দেশ প্রেমিক হয়ে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি জানার জন্য হলেও আপনার সম্পূর্ণ পড়া উচিত।
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনেকের বিভিন্ন ষ্টেজে বক্তব্য দিতে হয়। এজন্য আবার ২৬ শে মার্চ নিয়ে কিছু কথা নিজের মধ্যে আয়ত্ত করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি কি দিবস । ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা
তাই, আজকের পোষ্টে আমরা ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার কিছু টেকনিক জানবো।
জানবো ২৬ শে মার্চ নিয়ে কিছু কথা যা শুধু বক্তব্য দেওয়ার জন্যই নয়, বরং সবক্ষেত্রে দরকার।
চলুন তাহলে পোষ্টে মূল অংশে চলে যাওয়া যাক।
২৬ মার্চ এর উৎপত্তি । ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস
ঘটনা শুরু ভারত বর্ষ ভাগ হওয়ার পর থেকে। পাকিস্তান যখন দুইত ভাগে হয়ে গেলো একটি পশ্চিম পাকিস্তান অন্যটি পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের দুইটি অংশেরই সকল ক্ষমতা ছিলও পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে দিয়ে হুকুম করে সবকিছু উৎপাদন করিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার তার দেশে নিয়ে যেতে শুরু করে।
চাকরি থেকে শুরু করে ভাষা, সুযোগ সুবিধা, পড়াশোনা এবং উন্নয়ন সহ সব ধরনের কাজে পাকিস্তান সরকার তথা পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থান রত সরকার পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের সাথে বৈষম্য গড়ে তোলে।
এসব অন্যায় অত্ত্যাচার সহ্য করতে করতে গোটা পূর্ব বাংলার জনগন যখন দুর্বিষহ অবস্থায় পরে যায় তখন সাল ১৯৫২।
মাতৃভাষা উর্দু হবে এমন কথার ঘোর প্রতিবাদ করেন পূর্ব বাংলার ছাত্ররা।
এরপর ১৯৬৬ এর ৬ দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লিগের নিরিঙ্কুশ বিজয়ের পরেও পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের ক্ষমতা হস্তানান্তর না করা।
যখন ক্ষমতা দিতে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার টালবাহনা শুরু করেন তখন গোপনে তারা পূর্ব পাকিস্তানের উপর হামলার ষড়যন্ত্র করেন।
আরও পড়ুনঃ ৭ মার্চ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা বক্তব্য সহ)
এই ষড়যন্ত্র টের পায় বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিব সহ তার নেতারা।
যখন মনে হলও যে যেকোনো সময়ে পশ্চিম পাকিস্তান বাঙ্গালীদের উপর হামলা চালাতে পারেন তখন বঙ্গবন্ধু পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি সিস্টেমেটিক ভাবে বাংলার জনগণকে এক হয়ে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন।
এজন্য তিনি বাঙ্গালীদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের অন্যায়, শোষণ, নির্যাতন এবং বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন।
একই সাথে তিনি বলেন যে, তিনি হুকুম দেওয়ার না পারলেও পরিস্থিতি বুঝে যুদ্ধ শুরুর আদেশ দিয়ে সেদিনের বক্তব্য শেষ করেন।
এরপর ২৫ মার্চ কালও রাতের অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি ঘুমন্ত বাঙ্গালির উপর নির্মম ভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে তখন রেডিও যোগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
সেই ২৬ মার্চ থেকেই দেশ স্বাধীনের যুদ্ধ শুরু হয়।
এজন্য ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। এবং এভাবেই ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এসেছে।
২৬ মার্চ এর বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, ২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। বরাবরের মতো এবারও (২৬ মার্চ ২০২৩) দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সহ সবজায়গায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে।
কোরআন তেলাওয়াত, উপস্থিত বক্তৃতা এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
২৬ মার্চে বিভিন্ন জায়াগায় অনুষ্ঠিত এসব আয়োজনে আমাদের অনেকের উপস্থিত বক্তৃতা দিতে হয়।
অনেক সময় বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন ও করা হয়।
তাই এইসব জাতীয় দিবসে আয়োজিত কোনও প্রোগ্রামে বক্তৃতা দেওয়ার আগে অনেকগুলি বিষয়ে জানতে হয়।
জানতে হয় সাজিয়ে গুছিয়ে শুরু থেকে শেষ সংক্ষিপ্ত আকারে সম্পূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরার।
এর কারণ, আপনি জনসম্মুখে কথা বলবেন আপনার বক্তৃতার মাধ্যমে।
কিন্তু, আপনি যে বিষয়ে কথা বলবেন সেই বিষয়কে গুছিয়ে অল্প কথার মধ্যে সবার সামনে সঠিক তথ্য দিয়ে উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে জনগণ আপনার বক্তৃতা শুনবে কেন?
প্রিয় পাঠক, আপনি যখন ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য অর্থাৎ ২৬ শে ম আরচ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিবেন তখন নিশ্চয়ই আপনার বাংলাদেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইতিহাস টুকু আগে নিজে জানতে হবে।
কারণ, মুখস্ত করে কোনোদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বা উপস্থিত বক্তব্য দেওয়া যায় না।
যেমন ধরুন, আপনি যদি ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে বক্তব্য দিতে চান, তখন আপনার শুরু করতে হবে ১৯৪৭ সাল থেকে।
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে যত উল্লেখযোগ্য ঘটনা আছে তা ২ থেকে ৩ বা ৪ লাইনের মধ্যে তুলে ধরতে হবে।
এরপর ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ এর পর থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ দেশের বিজয় অর্জন হওয়া পর্যন্ত আরও ১ থেকে ২ লাইনে ঘতনার তারিখ সহ উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে হবে।
২৬ শে মার্চ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার একটি নমুনা বক্তব্য
এবার আপনি বলুন, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য কি মুখস্ত করে দেওয়া সম্ভব?
অবশ্যই না। আপনি যদি জনসম্মুখে উপস্থিত ভাবে খুব সুন্দর একটি ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তাহলে এশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে যথেষ্ট পূর্ব জানাশোনা থাকতে হবে।
তবে স্বাধীনতার এত বছর পরে এসে দেশের স্বাধীনতা ইতিহাস সম্পর্কে সবাই ই অবগত।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩ (নমুনা রচনা সহ)
তাই আপনার দরকার শুধু একটু সাজিয়ে গুছিয়ে ভিত্তি নিয়ে জনসম্মুখে মানুষের সামনে ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়া।
সাজিয়ে গুছিয়ে একটি উপস্থিত বক্তব্য আমাদের প্রকাশ করা আছে।
যেখানে বক্তব্য দেওয়ার আগে কি করনীয় বক্তব্য দেওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয় সমূহ সহ একটি চমৎকার নমুনা বক্তব্য দেওয়া আছে।
২৬ শে মার্চ এর একটি নমুনা বক্তব্য পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
উপরে দেওয়া লিংকে গিয়ে আপনি ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম এবং একটি চমৎকার নমুনা বক্তব্য দেখতে পাবেন।
আপনি মনোযোগ দিয়ে ঐ পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়া আপনার কাছে পানির মতো সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট বক্তব্য
কারণ পোস্টটিতে লেখা আছে বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন। কিভাবে শুরু করবেন।
২৬ শে মার্চ বক্তব্যে কোন কোন পয়েন্ট অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
কিভাবে আসতে আসতে ধির গতিতে স্পষ্ট ভাবে বলতে হবে।
মোট কথা, আপনাকে অবশ্যই সবগুলি নিয়ম মেনে ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য দিতে হবে। এজন্য আমাদের পূর্ববর্তী পোস্টটি পড়ুন।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণে আমরা ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম এবং অন্য একটি পোষ্টের মাধ্যমে নমুনা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জেনেছি।
এবার আমরা ২৬ মার্চ নিয়ে কিছু কথা তথা স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা জানবো।
এই কথাগুলি আমাদের সবার জানা অনেক বেশী জরুরি।
২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। আমাদের তরুণ প্রজন্ম স্বাধীনতা দিবস কবে তা জানলেও অনেকে স্বাধীনতা দিবস কিভাবে হলও তা জানা নেই। এটা সত্যিকারের দুঃখজনক।
১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আপনাকে জানতে হবে। জানতে হবে এই সময়ের নির্ধারিত উল্লেখযোগ্য সব ঐতিহাসিক ঘটনা জানতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার নিয়ম
এই পোষ্টের প্রথম অংশে আপনাকে জানানর চেষ্টা করেছি কিভাবে ২৬ শে মাচ স্বাধীনতা দিবস হলও। কিভাবে ২৬ মার্চ এলও সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
আশা করছি এই বিষয়ে এই পোস্ট এবং আমাদের অন্যান্য পোস্ট থেকে জেনে নিবেন।
২৬ মার্চ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে?
= বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ।
প্রশ্নঃ স্বাধীনতা দিবস এলো কিভাবে?
= স্বাধীনতা দিবস কিভাবে এসেছে তা জানতে এই পোষ্টের উপরের অংশ পড়ুন।
২৬ মার্চ বক্তব্য নিয়ে সর্বশেষ
প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্ট থেকে ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম জেনেছি। জেনেছি ২৬ শে মার্চ নিয়ে কিছু কথা।
আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য তথা ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।
এই সম্পর্কিত আরও পোস্ট পড়তে আমাদের জাতীয় ক্যাটাগরিতে ভিজিট করুন।
নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।