১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন । ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

বাংলাদেশে সরকারি ভাবে প্রত্যেক বছর ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। এজন্য অনেকেই জানতে চান যে১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন।

প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “১৭ মার্চ জাতীয় শশু দিবস কেন । ১৭ মার্চ বঙ্গবনহুর জন্মদিন” এ।

আজকে আমরা ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন এবং কিভাবে ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা লাভ করে। এবং ১৭ মার্চ করনীয় কি এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

১৭ মার্চ যেভাবে শিশু দিবস হয়েছে

২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সাল, শিশু সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার আয়োজন করা হয়।

উক্ত আয়োজনে দেশের অন্যতম শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিম ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। তখন সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রি শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুনঃ ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস রচনা লেখার নিয়ম (নমুনা রচনা সহ)

তিনি পরবর্তীতে সরকারের আসনে আসার পর ১৯৯৬ সালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যা কার্যকর ভাবে পালন শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে।

এই দিন সাধারণ ছুটি থাকে। তবে সরকারি ছুতির ধারা ‘খ’ অনুযায়ী এই দিন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ভাবে এই দিবস নানান কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালন করতে হয়।

১৭ মার্চ সকল প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এবং সরকার ঘোষিত কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।

কি কি কর্মসূচী পালন করতে হয় ১৭ মার্চ শিশু দিবস উপলক্ষে

আমাদের বাংলাদেশে সকল জাতীয় দিবসে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সেই সেই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। যেই দিবসে সেই দিবস সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বক্তৃতা দেওয়ার নিয়ম (নমুনা বক্তব্য সহ)

এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারীভাবে বেশ কিছু কর্মসূচী আয়োজন করার নির্দেশনা থাকে।

এবার জেনে নেওয়া যাক ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কিংবা প্রায় সকল জাতীয় দিবসে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় তা দেখে নেওয়া যাক।

তার আগে বলে রাখা ভালো যে নিচের সকল কর্মসূচী সব দিবসে পালন করা হয় না।

আর উপরের কয়েকটি কর্মসূচী ছাড়া বাকি প্রায় সকল কর্মসূচী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়।

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এ যেসব কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়

  • কোরআন তেলাওয়াত।
  • বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা।
  • উপস্থিত বক্তৃতা।
  • বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা।
  • শিশু দিবস উপলক্ষে উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য।
  • শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো।
  • শিশু বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কুইজ প্রতিযোগিতা।
  • রচনা প্রতিযোগিতা।
  • চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
  • শিশু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গাণ/ কবিতা।

আরও পড়ুনঃ  ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

এছাড়াও ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসে আরও অনেক ধরনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

তবে বেশিরভাগ কর্মসূচী আয়জন করা হয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এবং সরকারি অর্থায়নে এই সকল প্রতিযোগিতায় বিজয় এবং বীজিতদের প্রকার ভেদে পুরস্কার দেওয়া হয়।

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

জাতীয় শিশু দিবসের পাশাপাশি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সব জায়গায় কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। মিলাদ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ৭ মার্চের ভাষণ কেন বিখ্যাত

এছাড়াও অনেক সংস্থা কিংবা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুস্থ অসহায় মানুষের খাদ্য সহ্য সেবা মূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

এই উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস শিরোনামে বিভিন্ন কর্মসূচী সরকারের থেকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী পালন করা হয়।

১৭ মার্চ সম্পর্কিত FAQS

বঙ্গবন্ধু কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় কেন?

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। সেই কারণেই সরকারিভাবে প্রতিবছর ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।

কত সাল থেকে ১৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?

১৯৯৬ সালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে সরকারিভাবে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যা কার্যকর ভাবে পালন শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে।

দেশে জাতীয়ভাবে ১৭ মার্চ শিশু দিবস পালন করার অন্যতম কারণ কি?

যাতে করে শিশুরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পেরে তার জীবন থেকে দেশপ্রেম ও মানবতার জন্য কাজ করার মানসিকতা অর্জন করতে পারেন।

১৭ মার্চ সম্পর্কে সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা ১৭ মার্চ কি দিবস সে সম্পর্কে জেনেছি। জেনেছি ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন পালন করা হয়।

আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে ১৭ মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন।

মার্চ মাসের সকল দিবস সহ সকল জাতীয় দিবস সম্পর্কে আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে National Category ভিজিট করুন।

নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে Dainik kantha ভিজিট করুন।

সর্বশেষ সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

1 thought on “১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন । ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.