শবে বরাতের রোজা কয়টি । শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত

Last Updated on 2 months by Shaikh Mainul Islam

আরবি শাবান মাসের ১৪ এবং ১৫ তারিখে শবে বরাত পালন করা হয়। শবে বরাত মনে করিয়ে দেয় পবিত্র রমজান মাসের কথা। অনেকেই শবে বরাতের রজা কয়টি তা জানতে চান।

প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “শবে বরাতের রোজা কয়তি । শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত” এ।

আজকের পোষ্টে আমরা শবে বরাত কি, শবে বরাতের রোজা কয়টি, শবে বরাতের ইবাদত সমূহ, শবে বরাতের রোজার নিয়ত সহ শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

শবে বরাত কি

শবে বরাত ফারসি শব্দ বাংলায় যার অর্থ মুক্তির রাত। মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,

“শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে আল্লাহ পৃথিবীর আসমানে নেমে আসেন এবং শুধু মাত্র মুশরিক ও অন্য ভাইদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তি ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা ঘোষণা করেন” – তথ্যঃ (মুসনাদে বাজজার: ৮০, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৬৪৬)

সেই থেকে আরবি সাবান মাসের ১৪ তারিখ রাত তথা ১৪-১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতকে মুক্তির রাত বলা হয়।

হাদিসের তথ্য অনুযায়ী, শবে বরাতের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। কারণ, এই রাতে আল্লাহ দুনিয়ার নিকট তম আসমানে নেমে আসেন।

এবং বলতে থাকেন, “হে আমার বান্দারা তোমাদের কার কি লাগবে, কে কি চাও। আমার কাছে চাও।”

এবং একই সাথে শবে বরাতের ১৫ দিন পরেই শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। অর্থাৎ শবে বরাতের রাত মানুষকে রোজার প্রস্তুতি নিতেও উদ্ভুদ্দ করে।

——-

শবে বরাতের রোজা কয়টি

অনেকের মনে শবে বরাতের রোজা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে। যার মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে শবে বরাতেররোজা কয়টি এই বিষয়ে।

এ বিষয়ে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন,

“তোমরা শাবান মাসের ১৫ আরিখ রাতে বেশি বেশি নফর ইবাদত করো এবংপরদিন রোজা রাখো”।

নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) এর এই কথা দ্বারা স্পষ্ট যে তিনি শবে বরাতের সময় ১৫ শাবানাতে নফল ইবাদত এবং ১৬ শাবান রোজা রাখতে বলেছেন।

অর্থাৎ শবে বরাতের রোজা একটি। আর সেটি হচ্ছে শাবান মাসের ১৬ তারিখে।

হাদিসে এসেছে, নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) অন্য এক জায়গায় বেশি বেশি নফল রোজা আদায় করতে বলেছেন।

নবীজি অন্যান্য সময় বাদে বিশেষ ভাবে প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ রোজা রাখতেন।

অন্যদেরকেও এই দিনগুলোতে রোজা রাখার জন্য উৎসাহ দিতেন।

হাদিসে এসেছে শাবআন মাসের প্রায় সম্পূর্ণ মাসই নবীজি রোজা রাখতেন।  (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)

সেই হিসেবে শবে বরাতেরসময়ে একটি অথবা তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।

এছাড়া বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাহায্য চাইতে হবে।

আরও পড়ুনঃ “সালাতুল হাজত” সালাত আদায়ের উপকার ও নিয়ম

প্রক্রিত অর্থে শবে বরাতের সময়ে সাধ্য মতো ১ টি বা ৩ টি রোজা রাখলেই হবে।

না রাখলে পাপ নাই তবে রাখলে এর সাওয়াব অনেক। আশা করছি শবেবরাতের রোজা কয়টি রাখতে হয় তা বুঝতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম

শবে বরাতের রোজা কয়টি তা জানা হয়েছে। এবার শবে বরাতের রোজার নিয়ত কি এবং বাংলায় শবে বরাতের রোজার নিয়ত কি তা দেখবো।

শবে বরাতের রোজার নিয়ত

(বিস্তারিত আসছে)

আমাদের সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে

7 thoughts on “শবে বরাতের রোজা কয়টি । শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.