Last Updated on 12 months by Shaikh Mainul Islam
পুষ্টিবিদরা গরমে বিভিন্ন ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বেশিরভাগ ফল ও সবজিতে( শসা ) পানির পরিমাণ তুলনামুলক বেশি থাকার কারণে মুলত এগুলো বেশি বেশি খেতে বলেন। ফলমূল সবজি খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়না, আদ্রতা ঠিক থাকে।
ফলমূল ও সব্জির মধ্যে শসা এমন একটি সবজি যার শতকরা ৯৫ ভাগ পানি। বিশেষ করে রোজার সময়ে শসা খেলে বিশেষ উপকারিতা বয়ে আনবে। জেনে নেওয়া যাক শসার বিভিন্ন গুণাবলি যা মানব শরীরের জন্য খুব বেশি প্রয়জনীয়।
আরও পড়ুনঃ রমজানে যেসব কাজ করবেন না
শরীরের পানিশূন্যতা দূরে
রোজার সময় স্বাভাবিক ভাবে বেশিরভাগ মানুষের পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য প্রতিদিনের ইফতারিতে পর্যাপ্ত শসা রাখা উচিত। এটি শরীরের পানির ঘাটতি দূর করে।
সারাদিনের ক্লান্তি অনেক্তা দূর করে।শরীর করে সতেজ ও চনমনে। দূর করে ত্বকের নানান সমস্যাও।
শরীরে তাপ শোষণ করে
মানব শরীরের ভেতর এবং বাহিরের প্রচণ্ড তাপ কমাতে শসা অন্যতম ভুমিকা রাখে। অতিরিক্ত উত্তাপের কারণে জ্বলা- পোড়া হতে পারে, এই জ্বলা – পোড়া দূর করতে এটি খাওয়ার বিকল্প নেই।
শসা খাওয়ার পাশাপাশি কেটে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে।
দূষিত পদার্থ দূর করে শরীরকে করা ফুরফুরা
শসায় থাকা পানি মানব শরীরের ভেতর থেকে দূষিত ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। ফলে নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
নিয়মিত শসা খেলে তবে তা কিডনিতে পাথর জন্মানোয় বাধা দেয়। কিডনিকে রাখে সুস্থ ও সচল।
নিয়মিত খেলে কারও কিডনিতে পাথর সৃষ্ট হলে সেটিও গলে যাবে খুব সহজে।
তবে এটিতে অনেক সময়ের প্রয়জন এবং পাথর হওয়ার প্রথম অবস্থায় বুঝতে হবে।
মানব শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করে
মানব শরীরের জন্য যতগুলো ভিটামিন প্রয়োজন তার বেশিরভাগই রয়েছে এই শসার মধ্যে। এতে উপস্থিত এ, বি এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এছাড়াও গাজর, সবুজ শাক এবং শসার রস মিশিয়ে খেলে শরীরে নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
আরও পড়ুনঃ রমজানে সাহ্রি, ইফতার ও রাতের খাবারে যা থাকা উচিত
মানবদেহে ওজন কমাতে কাজ করে
শসার বেশিরভাগই পানি। এবং এতে থাকা ক্যালোরির সংখ্যা খুবই কম যে কারণে শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে শসার ব্যবহার।
স্যুপ, সালাদ ইত্যাদিতেও এটি খাওয়া যায়। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে। এবং দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
রূপচর্চার জন্য গোল করে কেটে চোখের পাতায় রেখে দেওয়া হয়।
এতে করে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা দূর হয়। এছাড়াও চোখে শসা দিলে বাড়ে দৃষ্টিশক্তিও।
শসায় প্রচুর চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান থাকে। এ কারণে চোখে ছানি পড়ে না। চোখকে দেয় আলাদা শক্তি।
আরও পড়ুনঃ গরমে ঠাণ্ডা পানি খাওয়া উপকার নাকি ক্ষতি
অসাধারণ তথ্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।