Last Updated on 10 months by Shaikh Mainul Islam
সম্প্রতি আবারো বাংলাদেশ সহ গোটা রাষ্ট্রে কাদিয়ানী কাফেররা মাথা চড়া দিয়ে উঠছে। আর এখনো যারা কাদিয়ানী সম্পর্কে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে আজকে “কাদিয়ানী কাকে বলে ? কাদিয়ানী কাফের কেন” শিরোনামের পোস্ট।
১৯০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে কাদিয়ানী বলে যাদের চেনা যায় তারা ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের এবং অমুসলিম।
কারণ কাদিয়ানীরা মনে করেন শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরেও একজন নবি আছেন। আমাদের মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরে তারা নবি মানেন । গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী (১৮৩৯খ্রিঃ-১৯০৮খ্রিঃ) কে।
আরও পড়ুনঃ যে আমল গুলো সহজে ইমানদারকে জান্নাতে নিয়ে যাবে
অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন,
“মুহাম্মদ (সাঃ) তোমাদের কোনও পুরুষের পিতা ছিলেন না। কিন্তু তিনি আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবি এবং রাসুল। তার পরে আর কোনও নবি আসবেন না”। – সূরা আল আহযাব। আয়াত নংঃ ৪০।
শেষ নবি সম্পর্কে ইবনে কাসীর (তাফসির কারক) সূরা আহযাব এর ৪০ নং আয়াতের তাফসিরে উল্লেখ করেন,
“এই আয়াতের মাধ্যমে সু স্পষ্ট প্রমাণিত যে, মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরে আর কোনও নবি নেই”।
মুহাম্মদ (সাঃ) -ই যে শেষ নবি এ বিষয়ে উল্লেখ করে আল্লাহ পবিত্র কোরআনের আরও অনেক জায়গায় বিভিন্ন আয়াত নাজিল করেন।
যেখানে, নবীজিকে খতামুন নাবিয়ইন বা শেষ নবি বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ করা হয় বিশ্ব শিক্ষক হিসেবে।
মুহাম্মফ (সাঃ) শেষ নবি এই ব্যাপারে নবীজি নিজেও দলিল রেখে গিয়েছেন। হাদিসে এসেছে, নবীজি বলেছেন,
“আমি -ই শেষ নবি। আমার পরে আর আল্লাহর প্রেরিত আর কোনও নবি রাসুল আসবেন না”।
এছাড়াও নবীজি বলেন, আমার পরে যদি আর কোনও নবি হতেন সে হতেন আবু বক্কর (র)।
কাদিয়ানীরা কাফের কেন ? কাদিয়ানী কাকে বলে
যে বা যে গোষ্ঠী এটা মানে না য মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবি এবং এয়াসুল তারা আর মুসলমান থাকলো না।
শুধু এই বিষয়- ই নয়, বরং একজন মানুষকে নবি মানা এবং তার উম্মত হওয়া সম্পূর্ণ বিদআত। এ থেকে স্পষ্ট যে, কাদিয়ানীরা মুসলমান নয় এবং কাদিয়ানীরা কাফের।
তবে মূল সমস্যা এখানে যে, কাদিয়ানীরা বিশ্বব্যাপী নিজেদের মুসলমান হিসেবে দাবী করে।
তাদের ইবাদত করার জন্য আছে তাদের নিজস্ব তৈরি ক্রিত মসজিদ। এছাড়াও তাদের মতে শেষ নবি আহমদ কাদিয়ানীর মতামত অনুসরণ করে জলসা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ ? শবে বরাত পালনের নিয়ম জেনে নিন
মূলত, তারা ত্তাদের ভুল এবং সত্যকে না মানতে পারার জন্যই কাফের হিসেবে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে। তবে তারা মুসলমানদের মান ক্ষুণ্ণ করছে।
দেশ এবং বিশ্বের বড় বড় আলেম ওলামারা কোরআন হাদিসের আলোকে প্রমান করেছেন যে কাদিয়ানীরা কাফের।
চোখ থাকতেও অন্ধ কাদিয়ানীরা বা তাদের সম্প্রদায় তা মানতে নারাজ।
কাদিয়ানীদের নিয়ে মুসলমানদের চাওয়া
প্রিয় পাঠক, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কাদিয়ানীরা নিজেদের তৈরি কোরআন, নিজেদের তৈরি মসজিদে ইসলাম পালন করে বলে তাদের দাবী।
কিন্তু কোরআন তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা থেকে প্রেরিত।
যেখানে একটি অক্ষরও পরিবর্তন করার ক্ষমতা কারোর নেই। এই ক্ষমতা ছিলও না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর।
মুসলমান জাতি চায় রাষ্ট্রীয় ভাবে বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হোক।
তবে তাদের বসবাস নিয়ে মুসলমান জাতি কখনোই বিরোধিতা করে নাই।
বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের বসবাস নিয়ে মুসলমান জাতির যদি বিন্দু মাত্র ক্ষোভ থাকতো তাহলে দেশের ৯০ ভাগের বেশী মুসলমানের দেশে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার যারা কাদিয়ানী তারা এই দেশে থাকতে পারত না।
কাদিয়ানী সমস্যা কি ?
১৯৫৩ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পড় যখন কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করার প্রতিবাদ করা হয় তখন পাকিস্তান সরকার তখনকার আলেম ওলামাদের প্রমাণ করতে বলেন যে এমন কিছু যৌক্তিকতা ব্যাক্ষা দেখাতে যা দ্বারা বোঝা যায় যে কাদিয়ানীরা অমুসলিম।
তখন কোরআন এবং হাদিসের আলোকে মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদুদী (র) একটি বই লেখেন।
যে বইটি ছিলও কাদিয়ানীরা অমুসলিম এই প্রমাণের এক তথ্য ভাণ্ডার।
এই বই বর্তমানে বিশ্বের সকল মুসলমান রাষ্ট্রে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বাংলাতে এই বইয়ের নাম “কাদিয়ানী সমস্যা” নামে।
কাদিয়ানী সমস্যা বই পড়লে কাদিয়ানিদের ইতিহাস, কাদিয়ানীরা কাফের কেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় কেন মুসলমান নয়, কাদিয়ানিদের পরিচয়, কাদিয়ানিদের বর্তমান অবস্থা, কাদিয়ানীরা কেন কাফের এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
কাদিয়ানী কাকে বলে সম্পর্কিত সর্বশেষ
আজকের পোষ্টে আমরা জেনেছি কাদিয়ানী কাকে বলে এবং কাদিয়ানীরা কাফের কেন।
আশা করছি এটুকু বুঝতে পারছেন যে কাদিয়ানীরা কাফের। কাদিয়ানীরা অমুসলিম।
আপনি যদি কাদিয়ানী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে “কাদিয়ানী সমস্যা” বইটি সংগ্রহ করে পড়ুন। কাদিয়ানিদের ইতিহাস সহ সবই জানতে পারবেন।
ইসলাম এবং ধর্ম সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে আমাদের ইসলাম ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।
আমাদের সকল পোস্ট পড়ার জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।