একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা লেখার নিয়ম (নমুনা রচনা সহ)

Last Updated on 10 months by Shaikh Mainul Islam

শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত ২১ শে ফেব্রুয়ারি। এই দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা  সহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

যেখানে মিলাদ, দোয়া-মাহফিল, শোক শভা এবং উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

মুলত পরবর্তী প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর জন্য রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এই আয়োজনের কারণে শিক্ষার্থীরা রচনা লেখার মধ্য দিয়ে দেশের ভাষা আন্দোলন এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন।

আজকে আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা লেখার সাধারণ নিয়মাবলী, ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা লেখার জন্য নমুনা রচনা দেখবো।

এছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা ক্লাস ৩, একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা ক্লাস ৪ দেখবো। বলে রাখা ভালো, এই পোষ্টে দেওয়া নমুনা রচনাটিকে আপনি আপনার মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারেন।

একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা লেখার নিয়ম

একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -র জন্য রচনা লেখার সময়ে সবার প্রথমে আপানাকে মনে রাখতে হবে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কেন, কিভাবে, কোথায়, কখন কিসের উপর ভিত্তি করে হয়েছে এবং ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সব বিষয়ে রচনার মধ্যে তুলে ধরতে হবে।

এখানে আপনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন অর্থাৎ একুশে ফেব্রুয়ারি এবং তার আগে পরের সব ঘটনা সুন্দর ভাবে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া ভাষা আন্দোলন-ই যখন দেশের জন্য শেষ সংগ্রাম ছিলও না সেহেতু আপনাকে উপসংহারের আগে স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অল্প কথার মধ্যে লিখতে হবে।

রচনার শুরুতে অবশ্যই ভুমিকায় আপনি যেই বিষয়ে রচনা লিখবেন সেই বিষয়ের মুল বিষয়টুকু লিখবেন।

এরপর অবশ্যই বিস্তারিত পর্ব থেকে শুরু করতে হবে। যেমন আপনি একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে রচনা লিখলেন।

ভুমিকার পরের অংশের নাম দিলেন “ ভাষা আন্দোলনের শুরু” এই শিরোনামে লিখলেন ভাষা আন্দোলনের শুরুর ঘটনা।

এরপর আপনার লিখিত রচনার বিষয় অনুযায়ী একেকটি স্টেপ দিয়ে লিখবেন।

আরও পড়ুনঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি কি দিবস । ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু কথা

যেমন ভাষা আন্দোলনের অর্থাৎ ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা লেখার ক্ষেত্রে আপনি এভাবে কয়েকটি স্টেপ দিতে পারেন।

যেমনঃ ভাষা আন্দোলনের ১৯৪৮, ভাষা আন্দোলনের ১৯৪৯, ভাষা আন্দলনের ১৯৫০, ভাষা আন্দলনের ১৯৫১, ভাষা আন্দোলনের ১৯৫১ এবং ভাষা আন্দোলনের ১৯৫২।

অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যেকটি বছর আলাদা আলাদা স্টেপে লিখতে পারেন।

এতে করে আপনার রচনার খাতা যে বিচারক দেখবেন তিনি আপনার সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারনা পাবেন।

অর্থাৎ তিনি বুঝতে পারবেন ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপনি খুব সুন্দর ভাবে অবগত।

অর্থাৎ, আপনার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেরে যাবে।

আপনি যদি সম্পূর্ণ বিষয়টা একটি রচনার মধ্যে তুলে ধরতে পারেন এভাবে সাজিয়ে তাহলে আপনার খাতার ৬০% থেকে ৭০% মার্কস আপনি পেয়ে যাবেন।

এরপর বাকি মার্কস আপনার হাতের লেখা এবং শুরু ও শেষ করার উপর নির্ভর করে।

একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতায় সতর্কতা

একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -র সময়ই নয় বরং যেকোনো লিখিত প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়।

আপনার রচনা লেখার মান খুব ভালো না হলেও এই বিষয়গুলো যদি আপনার খাতায় আপনি ভালোভাবে তুলে ধরতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি প্রতিযোগিতায় অন্যদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন।

নিচে উল্লেখ করা বিষয়গুলি অবশ্যই একুশে ফেব্রুয়ারি সহ যেকোনো বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আপনার খাতায় উপস্থিত রাখবেন।

চলুন দেখে নেওয়া যাক কি সেই সব বিষয়গুলি যা খাতায় উপস্থিত রাখলে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -য় আপনি এগিয়ে থাকবেন।

১) রচনার বিষয়কে রচনার ভুমিকায় খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে হবে।

২) ভুমিকার পরে বিষয়টিকে সাল ভিত্তিক বা ঘটনা ভিত্তিক সাজিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ লিখতে হবে।

৩)  হাতের লেখার লাইন যতটা সম্ভব সোজা এবং স্পষ্ট রাখতে হবে। এবং খাতার মার্জিন পরিমাণ জায়গা ফাকা রাখতে হবে।

৪)খুব বড় করে লিখতে গিয় শেষ করতে না পারাটা বোকামি।

কম করে হলেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখা শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

৫) একটি স্টেপের পরে আরেকটি স্টেপ শুরু করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাঁকা রাখে হবে।

৬) মনে রাখবেন, আপনি প্রতিযোগিতার মহান একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা লিখছেন।

তাই তথ্যগত লেখা থাকতে হবে অনেক বেশি। মনগড়া লিখলেই হবে নাহ।

উপরের বিষয়গুলি আপনি আপনার রচনার মধ্যে উপস্থিত রাখতে পারলে আপনি রচনা প্রতিযোগিতায় সেরা হবেন।সেরা আপনাকে করতে বাধ্য হবে বিচারকগণ।

এতক্ষণে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -য় রচনা লেখার নিয়ম জানলেন। এই নিওমগুলি মেনে রচনা লিখতে পারলেই আপনি শতভাগ মার্কস পাবেন।

তাহলে চলুন এবার একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -য় লেখার মতো একটি নমুনা রচনা দেখে নেওয়া যাক।

বলে রাখা ভালো যে, নিচে লেখা রচনাটি একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -য় লেখার মতো একটি নমুনা রচনা।

এখানে নাম সহ বিভিন্ন বিষয়ে এডিট করে লিখতে পারেন।

Dainikkantha তাদের ভিজিটরদের সেই রাইট দিয়েছে। তাহলে শুরু করা যাক একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -ই লেখার মতো একটি নমুনা লেখা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতায় একটি নমুনা রচনা

                “অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারি”

ভুমিকাঃ আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, জব্বার বরকত সহ নাম জানা অজানা অনেকে। বাংলার ইতিয়াসে সেদিন লেখা হয়েছিল আরও একটি কালো অধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি বক্তৃতা দেওয়ার নিয়ম (নমুনা বক্তব্য সহ)

মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সরাসরি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়সীমা ছিলও ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত।

সেই থেকে প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি গোটা বাঙ্গালী জাতি গভি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়ে গেছেন তাদের।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতি সংঘ থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

আর পড়ুনঃ ৭ মার্চের ভাষণ রচনা । ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রচনা

সেই থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালী অবাঙ্গালী সহ গোটা পৃথিবী এই দিনকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। মাতৃভাষার জন্য বাঙ্গালী জাতির এমন জীবন দেওয়া ঘটনা বিশ্বব্যাপি বিরল এক ঘটনার জন্ম দেয়।

ভাষা আন্দোলনের শুরু

মুলত ভারত পাকিস্তান আলাদা হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের দুইটি অংশেই রাজত্ব করতে চেয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সাল থেকেই দেশে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়।

পাকিস্তানের তৎকালীন  গভর্নর মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ এবং ২৪ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষণা দেন, “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা” তখন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা চরম বিরক্তি প্রকাশ করে।

এসময়ে একদল শিক্ষার্থী না না বলে সমস্বরে প্রতিবাদ জানায়। একদল শিক্ষার্থী প্রতিবাদ সরূপ মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ এর বক্তব্যের মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। এসময়ে তারা স্টেজ ভাংচুর করেও প্রতিবাদ জানান।

এভাবে একপ্রকার তোপের মুখে পরে অস্পষ্ট ভাবেই মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ বক্তৃতার মঞ্চ ছেড়ে যান।

আরও পড়ুনঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস রচনা । মহান বিজয় দিবস রচনা লেখার নিয়ম

এরপর অনেক দিন কেটে যায়। বাঙ্গালী জাতি নিজের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যান।

এরপর ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় এসে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ এর কথার পুনরাবৃত্তি করেন।

এবার শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হোল, চত্বরে মিটিং সভা করতে থাকে। এদিকে বিষয়টি ততকালিন পাকিস্তান সরকার টের পেয়ে যান। তখন তিনি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আগামী এক মাস ১৪৪ ধারা জারি করেন।

যার ফলে শিক্ষার্থীরা কোনভাবেই রাস্তায় নামতে না পারে। এভাবে ১৯,২০  ফেব্রুয়ারির দিকে ছাত্ররা তাদের সমন্বিট সিদ্ধান্তে পৌঁছান এই যে, তারা ১৪৪ ধারা জারি বঙ্গ করে আন্দোলন মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামবেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২

২১ তারিখ সকালে সকল শিক্ষার্থীদের পুলিশ দারা হল এবং  চত্বর বন্দি করেন। এরসময়ে পুলিশ ছাত্রদের উপর ক্যাদানে গ্যাস এবং গরম পানি পর্যন্ত নিক্ষেপ করেন।

পরবর্তীতে উপস্থিত পরামর্শদাতা শিক্ষকদের পরামর্শে শিক্ষার্থীরা ছত ভঙ্গ হয়ে যে যার হল, ছাত্রাবাসে ফিরতে শুরু করেন।

ঠিক তখনই পুলিশ উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর গুলিবর্ষণ করে। জায়গায় মারা যায় রফিক জব্বার এবং ৭ বছরের একটি বাচ্চা সহ অনেকে।

মুহূর্তের মধ্যে ছাত্র হত্যার খবর ছড়িয়ে পরলে মুহূর্তের মধ্যে ছাত্র আন্দোলন জনগনের গণ আন্দোলনের রুপ নেয়।

স্থানীয় শপাশ সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র, শিক্ষক, সহ সরকারি চাকরিজীবী সহ সকল স্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে আসেন।

সেখানে পুলিশ বাধা দিতে চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনগণ সকল বাধাপেরিয়ে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান।

আরও পড়ুনঃ আমা প্রিয় শেখ রাসেল রচনা । শেখ রাসেল সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগিতা

সে সময়ে পুলিশের গুলিতে অনেকের মৃত্যু হলেও উপস্থিত সকলের দাবী ছিলও সরকার সব লাশ নিয়ে লুকিয়ে ফেলে। যার কারণে আজ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে শহীদদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

তবে একটি হিসাবে জানা যায় ২৬ জন নিহত এবং  ৪০০ জনের মত গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

তবে তখনকার সময়ে স্থানীয়দের মতে এর ৪ থেকে ৫ গুন বেশি হত্যা করা হয়েছিল।

২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলনে নামার কারণে পাকিস্তান সরকারের পুলিশের গুলিতে রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত সহ না জানা অজানা অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন।

তাদের স্মরণে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস পালন করা হয়।

তবে তখনো চূড়ান্ত হয়নি যে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ভাষা।

এভাব একেকের পর এক গণ আন্দোলন গণ অভ্যুত্থান হতে থাকে।

নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরেও নানা বাহানায় পূর্ব পাকিসানের হাতে  ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।

আরও পড়ুনঃ ১৬ ই ডিসেম্বরের বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা সহ)

এভাবে একের পর এক অন্যায় অত্যাচারের সীমা পার করে ফেলে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার।

এরপর বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ।

এভাবে একই সাথে রাষ্ট্রভাষা বাংলা এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়।

একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি

দেশ স্বাধীনের ২৮ বছর পরে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ বাংলাদেশের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এর কারণ এর আগে কোনো জাতি নিজ মাতৃ ভাষার জন্য জীবন দেননি।

আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রচনা লেখার নিয়ম

বাঙ্গালী জাতি নিজ মাতৃভাষা নিজ স্বাধীনতার জন্য যে পরিমাণ রক্ত এবং জীবন দিয়েছে টা ইতিহসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

উপসংহার । একুশে ফেব্রুয়ারি

বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। আমরা গর্বিত আমাদের সোনার ছেলেদের নিয়ে। আপনাদের এমন আত্মত্যাগ জাতিসহ সাড়া বিশ্ব আজীবন মনে রাখবেন। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি,

“স্বাধীনতা রক্ষা এবং মাতৃভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সর্বদা জীবন পর্যন্ত দিতে সদা প্রস্তত আছি”।

একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা নিয়ে সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা -য় রচনা লেখার নিয়ম দেখেছি।

এবং একটি নমুনা রচনা দেখেছি। আশা করছি রচনাটি এডিট করে আরও সুন্দর করে আপনি আপনার প্রতিযোগিতার খাতায় লিখতে পারবেন।

এছাড়া বিভিন্ন দিবসে রচনা প্রতিযোগিতা, বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আমাদের জাতীয় ক্যাতাগরিভিজিত করুন।

আমাদের সকল আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এবং চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

3 thoughts on “একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা প্রতিযোগিতা লেখার নিয়ম (নমুনা রচনা সহ)”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.