Last Updated on 3 months by Shaikh Mainul Islam
ইতিমধ্যে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং এর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে নতুন এই খাত সম্পর্কে অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন what is digital banking এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে।
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “what is digital banking ? ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সমুহ” এ।
আজকের পোষ্টে আমরা জানবো, what is digital banking – ডিজিটাল ব্যাংকিং কি, ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা সমূহ, ডিজিটাল ব্যাংকিং মানুষ কিভাবে ব্যবহার করবে এইসব বিষয়ে বিস্তারিত।
What is digital banking
ব্যাংক আমরা সবাই ই চিনি। কিন্তু ডিজিটাল ব্যাংক সম্পর্কে সবার সঠিক ধারণা নেই। ডিজিটাল ব্যাংকও হচ্ছে এক ধরনের ব্যাংক।
কিন্তু ডিজিটাল ব্যাংক এর শুধু মাত্র একটি হেড অফিস থাকে। একমাত্র মূল অফিস ছাড়া এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকে না।
ডিজিটাল ব্যাংকের সর্বপ্রকার কার্যক্রম হয়ে থাকে অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে। এই ব্যাংকের সকল সেবা একজন গ্রাহক অ্যাপ বা আধুনিক পদ্ধতিতে নিয়ে থাকেন। এবং ২৪ ঘণ্টা ননস্টপ ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারে। তবে লেনদেন করার জন্য কোনো ধরনের কার্ড সরাসরি দিতে পারে না।
কিন্তু, বিশেষ প্রয়োজনে ডিজিটাল ব্যাংক গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারে।
এছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ধরণের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। বড় এবং মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দিবে না ডিজিটাল ব্যাংক। তবে শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে ডিজিটাল ব্যাংক।
আশা করছি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে what is digital banking অর্থাৎ ডিজিটাল ব্যাংকিং কি তা এতক্ষণে ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন।
এবার চলুন, ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি কি এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং এর অসুবিধা কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা সমূহ
অন্যান্য দেশে ডিজিটাল ব্যাংক এর যেমন ব্যবহার হচ্ছে ঠিক একই রকম ব্যবহার যদি আমাদের দেশে হয় তাহলে অসুবিধার থেকে কয়েক গুণ বেশি সুবিধা পাবে ডিজিটাল ব্যাংক গ্রাহক রা।
আরও পরুনঃ সরকারি বীমা কয়টি কি কি । Life Insurence
খুব অল্পতেই বাংলাদেশে বেশ কিছু Digital Banking চালু হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে অনেককে।
তাই এই মুহূর্তে Digital Bank সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানতে চেয়ে থাকেন।
চলুন, এবার ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
Digital Banking এর সুবিধা সমূহঃ
- সেবা পেতে কোথাও যেতে হবে না। বিধায় সময় বেচে যাবে।
- ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা না থাকায় মেইন্টেনেন্স খরচ কম হবে।
- এতে সাশ্রয়ে সেবা দিতে পারবে ব্যাংকগুলি।
- দেশের যেকোনো প্রান্তে থেকে একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সকল সেবা ২৪ ঘণ্টা নিতে পারবেন সবাই।
- প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন সবসময় যেকোনো মুহূর্তে অ্যাপ থেকে সকল সেবা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ তফসিলি ব্যাংক কি
তবে, আমার মতে Digital Banking এর সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এমণ একটি বিষয় যে আমাদের মানি ব্যাগে টাকা রাখা যেমন ডিজিটাল ব্যাংকেও টাকা রাখা একই রকম। যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
Digital Banking এর অসুবিধা সমূহঃ
ডিজিটাল ব্যাংকিং এর অন্যতম এবং একমাত্র অসুবিধা থাকলে সেটি হচ্ছে ইন্টারনেট কিংবা স্মার্ট মোবাইল ব্যবহার করে না এমন খেটে খাওয়া মানুষদের এই সেবার আওতায় আনা বেশ কঠিন হবে।
এর অন্যতম কারণ, digital bank এর সম্পূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে app বা software নির্ভর। সেখানে যেসব ব্যক্তিরা স্মার্ট মোবাইল ব্যবহার করেন না তারা কিভাবে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ভোগ করবে?
আরও পড়ুনঃ বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক ?
তবে অনেকের ধারণা যে, মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এর মতো Digital Banking কেও আসতে আসতে গ্রহণ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। শুধু মাত্র এজন্য কিছু দিন সময় লাগবে বলেও বিশ্লেষকদের ধারণা।
তাহলে চলুন Digital Banking এর নাম মাত্র কয়েকটি অসুবিধা দেখে নেওয়া যাকঃ
- শতভাগ মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় না থাকায় নির্দিষ্ট একটি জেনারেশন কখনোই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না।
- ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও সঠিক পদ্ধতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারা লোকের সংখ্যা খুবই কম।
- এর ফলে, Digital Banking App ব্যবহার করার লোকের সংখ্যাও কিছুটা কম হবে।
- যেহেতু এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা থাকবে না তাই সাপোর্টের জন্য কিছুটা বিড়ম্বনা হতে পারে।
- দেশের সবজায়গায় এখনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই বিধায় ওইখানের কেউ এই সেবা নিতে পারবে না।
এছাড়াও, digital banking ব্যবহারের সময়ে সতর্কতা অবলম্বন না করলে প্রতারক চক্র আপনার একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে নিতে পারে। তাই এটিও কম অসুবিধা না, তবে আপনি সতর্ক থাকলে এটি সমস্যা হবে না।
আশা করছি, ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি কি এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং এর অসুবিধা কি কি তা জানতে পেরেছেন।
এবার আমরা জানবো ডিজিটাল ব্যাংকিং মানুষ কিভাবে ব্যবহার করবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
ডিজিটাল ব্যাংকিং এর ব্যবহার বিধি
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই Digital banking সেবা চালু থাকলেও আমাদের দেশে কএকদিন আগে মাত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল ব্যাংকিং এর জন্য।
এমন একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কিছুটা সময়ের দরকার। আর যখন নতুন কিছু শুরু হয় তখন সেটি শুরু হওয়ার পরেই জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি?
তবে, এই মুহূর্তে Digital banking এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
আমরা সবাই ই দেশ সেরা মোবাইল ব্যাংকিং Nagad কিংবা Bkash ব্যবহার করি। আর আমরা Nagad App বা Bkash App ব্যবহার করি।
Digital Banking এর মতোই ব্যবহার করতে হবে।
অর্থাৎ, আপনি বিকাশ নগদের মতো মোবাইল অ্যাপ থেকেই ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
শুধু মাত্র নগদ বিকাশ অ্যাপে থাকা ফিচার সমূহের থেকেও বেশ কিছু ফিচার থাকবে ডিজিটাল ব্যাংকিং app এ। যেটা নিঃসন্দেহে ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে।
তবে, দেশের যতগুলি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালু করতে যাচ্ছে সবকয়টি চালু হওয়ার পরেই আমরা জেনে এখগানে আপডেট করে জানাবো।
Digital Banking releted FAQS
দেশে প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকিং এর জন্য একই সাথে ৫২ টি এবং পরবর্তীতে ৪ টি আবেদন জমা হয়েছে।
তবে এসব আবেদনের প্রত্যেক আবেদনে ১০ টি ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান মালিকানা আছে এমনও দেখা গেছে।
ডিজিটাল ব্যাংকিং অত্যাধুনিক আবিষ্কার যা শতভাগ পরিচালিত হয় মোবাইল অ্যাপ বা আধুনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে।
মুলত, খুব স্বাভাবিক ভাবেই নতুন সম্ভাবনাময় কিছু শুরু হলে সেখানে গ্রাহক ধরে রাখা হয় ওই কোম্পনির মূল লক্ষ।
আর এজন্য হলেও গ্রাহক শতভাগ digital banking সেবা পেয়ে থাকবেন। আর এমন একটি স্মার্ট সেবা কখনোই গ্রাহক ভোগান্তির কারণ হয় না।
মাত্র ডিজিটাল ব্যাংকিং এর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অনুমোদন প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান শুরু করলেই জানা যাবে যে কিভাবে ডিজিটাল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা যায়।
আর তখনই আপডেট করে জানিয়ে দেওয়া হবে এখানে।
ডিজিটাল ব্যাংকিং এর অনুমোদন পেতে আবেদনের আগে প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ১২৫ কোটি টাকা থাকতে হবে। এবং অংশগ্রহণ করা ব্যক্তির ৫০ লাখ করে টাকা থাকতে হবে।
এছাড়াও digital banking এর আবেদন যোগ্যতা অর্জন কিংবা শর্ত পূরণ করতে আরও বেশ কিছু নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে সর্বশেষ
প্রিয় পাঠক, Dainik Kantha এর আজকের পোস্টে “what is digital banking ? ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা” সম্পর্কে সব বিষয়ে জেনেছি।
আশা করছি what is ডিজিটাল ব্যাংক পোস্ট থেকে আপনি এই সম্পর্কে সকল বিষয়ে জেনেছেন।
এরপরেও ডিজিটাল ব্যাংকিং সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চাইলে আমাদের Finance and Banking ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।
নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়ার জন্য Dainik Kantha ভিজিট করুন।
সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
1 thought on “what is digital banking । ডিজিটাল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা”