ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি লেখা হয় কেন

Last Updated on 1 month by Shaikh Mainul Islam

সবখানে সব ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি লেখা দেখা যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি লেখা হয় কেন ।

প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “ ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি লেখা হয় কেন । ব্যাংকের নামের শেষে লিমিটেড থাকে কেন” এ।

আজকের পোষ্টে আমরা পিএলসি ও লিমিটেড এর পার্থক্য, ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি কেন এবং পিএলসি এবং লিমিটেড সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

পিএলসি ও লিমিটেড এর পার্থক্য

একদম সহজ কথায় পাবলিক কোম্পানিকে সংক্ষেপে পিএলসি এবং প্রাইভেট কোম্পানিকে লিমিটেড কোম্পানি বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ জীবন বীমা কি কত প্রকার ও কি কি

এই দুই ধরনের কোম্পানির মধ্যে মুল পার্থক্য হচ্ছে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় নিয়ে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার সহজে হস্তান্তর করা যায় না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে ক্রয় বিক্রয় হলেও পাবলিক শার ধারণ করতে পারে না।

আরও পড়ুনঃ তফসিলি ব্যাংক কি 

অন্যদিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার সহজেই ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। সাধারণ মানুষ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।

পূর্বে আমাদের দেশে সকল ব্যাংকের শেষে লিমিটেড শব্দ ব্যবহার হতো। এটি ছিল মালিকানা অর্থে সবথেকে বড় একটি ভুল।

ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি কেন

আমরা খেয়াল করলেই দেখতে পাই প্রত্যেক ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি বা PLC লেখা থাকে। এই PLC এর অর্থ হচ্ছে Public Limited Company – পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি

বাংলাদেশ কোম্পানি আইন অনুযায়ী সকল পাবলিক কোম্পানির নামের শেষে পিএলসি বা “Public Limited Company” যুক্ত করতে হবে।

সেই থেকে দেশের সকল ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি/PLC বা পাবলিক কোম্পানি লেখা হয়ে থাকে।

পিএলসি এবং লিমিটেড কোম্পানি

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে, পিএলসি এবং লিমিটেড কোম্পানি কি। পিএলসি এবং লিমিটেড দিয়ে শুধু মাত্র কোম্পানির মালিকানা অর্থাৎ শেয়ার সম্পর্কে সীমাবদ্ধতা বোঝানো হয়।

মনে করেন, আপনি পিএলসি যুক্ত ব্যাংক বা কোম্পানির শেয়ার কিংবা মালিকানা সহজেই কেনা বেচা বা মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন সহজেই।

আরও পড়ুনঃ সরকারি বীমা কয়টি কি কি

অন্যদিকে এলটিডি বা Limited কোম্পানি চাইলেই তার শেয়ার বা মালিকানা সহজে হস্তান্তর বা বেচাকেনা করতে পারবে নাহ।

বাংলাদেশের সকল ব্যাংক ই পিএলসি অর্থাৎ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আইনগতভাবে পরিচালিত।

বর্তমানে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪৪টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক,১টি ডিজিটাল ব্যাংক (নগদ দিজিতাল পিএলসি) ও ৯টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।

এর মধ্যে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬২টি অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৫টি যার সবকটি ব্যাংক পিএলসি বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত।

ব্যাংক পিএলসি সম্পর্কিত FAQS

পিএলসি এর পূর্ণরূপ কি?

ব্যাংকের ক্ষেত্রে পিএলসি অর্থ হচ্ছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।

ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি কেন?

পিএলসি বলতে বোঝানো হয় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। আর দেশের সকল ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। সেই হিসেবে সকল ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি যোগ করা হয়।

সোনালী ব্যাংক পিএলসি মানে কি?

সোনালী ব্যাংক হচ্ছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (এসবিপিএলসি) যা বাংলাদেশের বৃহত্তম একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক।

অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি মানে কি?

অগ্রণী ব্যাংক হচ্ছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (এবিপিএলসি) যা বাংলাদেশের অন্যতম রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক।

মূলত অগ্রণী ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি মানে হচ্ছে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।

শুধু অগ্রণী ব্যাংক ই না, মূলত দেশের সকল ব্যাংকের নামের শেষে বাংলাদেশ কোম্পানি আইন অনুযায়ী পিএলসি যার অর্থ Public Limited Company লেখা হয়ে থাকে।

পিএলসি সম্পর্কে সর্বশেষ

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আমরা বাংলাদেশের ব্যাংকের নামের শেষে পিএলসি লেখা হয় কেন এবং ব্যাংকের নামের শেষে লিমিটেড থাকে কেন এসব বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি।

আশা করছি সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পরে পিএলসি এবং লিমিটেড কেন এবং কি অর্থে ব্যবহৃত হয় সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ব্যাংক সহ ব্যাংকিং সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে নিয়মিত Finance and Banking Category ভিজিট করুন।

সর্বশেষ আমাদের সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.