১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস রচনা লেখার নিয়ম (নমুনা রচনা সহ)

Last Updated on 8 months by Shaikh Mainul Islam

বাংলাদেশে জাতীয় ভাবে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিহু দিবস রচনা লেখার নিয়ম জানতে চান অনেকেই।

প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “১৭ ই মার্চ জাতীয় শিহু দিবস রচনা লেখার নিয়ম (নমুনা রচনা সহ)” এ।

আজকের পোষ্টে আমরা, ১৭ ই মার্চ সম্পর্কে জানবো, ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ রচনা লেখার নিয়ম এবং ক্তি নমুনা রচনা সহ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ

আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতি বছর ২০ নভেম্বর শিশু দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে জাতীয় ভাবে শিশু দিবস পালন করা হয় ১৭ মার্চ।

মূলত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৭ মার্চ ১৯৭০ সালে।

একারণেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুনঃ  ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বক্তৃতা দেওয়ার নিয়ম

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য কর্মসূচির মতোই রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রচনা লেখার নিয়ম ও নমুনা রচনা লেখা খুজে থাকেন।

এদিন “১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস” শিরোনামে বা “শিশু মুজিব” শিরোনামে বা এই সম্পর্কিত অন্য শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে যদি কোনও শিশু দিবস রচনা নাম চেঞ্জ করে আসে তাহলেও এই রচনাটি শুধু নাম চেঞ্জ করে লেখা যাবে।

১৭ মার্চ রচনা লেখার নিয়ম (প্রতিযোগিতায়)

প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় আপনাকে ওই বিষয়ের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কখন, কোথায়, কিভাবে হয়ে আসছে, কেন হচ্ছে, এটি হওয়ার ফলে জাতি কি পেয়েছে এই বিষয়ে সংক্ষেপে তুলে ধরতে হবে।

যেমন ধরেন, আপনি জাতীয় শিশু দিবস অথবা ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস রচনা লিখবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনেক গুলো বিষয়ে তারিখ এবং কারণ সহ উল্লেখ করতে হবে।

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় ?

এটি আপনাকে জানতে হবে।জাতীয় শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য কি এবং এখন পর্যন্ত এই দিবস পালনের মাধ্যমে কতটুকু লক্ষ্য বাস্তব করা সম্ভব হয়েছে এগুলো আপনাকে আপনার লেখা রচনায় ফুটিয়ে তুলতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ৭ মার্চ সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন উত্তর

ভুমিকার পরে ধাপে ধাপে কয়েকটি ভাগে আপনাকে আপনার জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে লেখা রচনাটি শেষ করতে হবেহ।

আর এই সব বিষয়ে জানার জন্য আমাদের জাতীয় ক্যাটাগরিতে ভিজিট করলেই এই বিষয়ে একাধিক পোস্ট পেয়ে যাবেন।

১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস রচনা শিরোনামে নাও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে যেই শিরোনামে আসবে সেই শিরনামকে ভিত্তি করে রচনাটি লিখতে হবে।

১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস রচনা লিখতে রচনায় আপনার যে সকল বিষয়ে থাকতে হবে সেই সব বিষয়ে কিছু হিন্টস দেখে নেওয়া যাক।

এই হিন্টস আপনি নমুনা রচনায় দেখতে পাবেন।

  • ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন পালন করা হয় ?
  • কি কি লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় ?
  • বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনেই কেন জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় সরকারি ভাবে?
  • আমাদের দেশের শিশুদের কি কি দিতে পারে এই শিশু দিবস?
  • শিশুদের জন্য আমরা এই দিনে কি কি করার চিন্তা করে থাকি?
  • আমাদের শিশুদের কেমন হওয়া উচিত?

এই বিষয়ে বিস্তারিত অল্পের মধ্যে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উল্লেখ করে স্পষ্ট হাতের লেখায় লিখতে পারলেই জাতীয় শিশু দিবস রচনা প্রতিযোগিতায় আপনার লেখা বিচারকদের অবশ্যই চোখে পরবে।

জাতীয় শিশু দিবস রচনা লেখার আগে লক্ষণীয়

মন মতো কিংবা সব তথ্য বহুল লেখা কিন্তু কোনও শৃঙ্খলা নেই এমন লেখা কখন অই গ্রহণ যোগ্য নহে।

তাই আপনাকে রচনা লেখার বিষয়ে যথেষ্ট পরিপাটি হয়ে লিখতে হবেহ।

আপনি শুরু থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি রচনা লিখবেন। আপনার হাতের লেখা খুব সুন্দর না হলেও সমস্যা নাই।

তবে আপনাকে অবশ্যই স্পষ্ট ভাষায় লিখতে হবে। এক লাইন লেখা শেষে দ্বিতীয় লাইন লেখা শুরুর আগে পরিমাণ মতো ফাকা রাখতে হবেহ।

আরও পড়ুনঃ  ৭ মার্চ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার নিয়ম (নমুনা বক্তব্য সহ)

এবং এক প্যারা লেখা শেষে অন্য প্যারা লেখার সময় শুরুটা শুন্দর ভাবে করতে হবেহ। অবশ্যই এই রচনা হুবহু আপনি লিখবেন না। কারণ এটি একটি নমুনা রচনা মাত্র।

সবথেকেবর বিষয় হচ্ছে, রচনা আপনি কত বড় লিখলেন তার থেকে হাজ্র গুন লক্ষণীয় হচ্ছে কত বেশি তথ্য বহুল রচনা লিখতে পারলেন। কারণ, প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় রচনা বড় করার থেকে তথ্য বেশি যুক্ত করা ভীষণ জরুরি।

আপনি এর থেকে অনেক বড় করে বিস্তারিত করে তথ্য বহুল লিখে নিবেন। এবার ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নিচের নমুনা রচনাটি দেখে নিন। এতে করে শিশু দিবসে রচনা লেখা নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস

ভুমিকাঃ আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ। তাই আমাদেরকে শুরু থেকেই শিশুর দিকে অন্য ভাবে লক্ষ্য তাখতে হবে।

শিশুদের যত বেশী পরিচর্যা করবেন তত বেশী শিশুরা ভালো মানুষ হবে দেশের জন্য দশের জন্য কিছু করতে পারবেন।

জাতীয় শিশু দিবসে সকল শিশুদের সাথে গল্পে গল্পে জানানো হোক তাদের কি করনীয় বা তারা কি করলে ভালো মানুষ হবেন।

শিশু দিবসঃ ১৯৯৪ সালে বেসরকারি ভাবে এবং ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর সরকারীভাবে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস।

আরও পড়ুনঃ  ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

১৭ মার্চ পালনের কারণ বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহন করেন। সেই হিসেবে এই দিন জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।

প্রতি বছর এই দিনকে কেন্দ্র করে শিশুদের জন্য প্রতিপাদ্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই দিনটি সরকারি ভাবে পালন করা হয়।

এই দিনের মাধ্যমে আজকের শিশুরা শিশু শেখ মুজিব সম্পর্কে জানতে পারেন। শিশুদের মন উৎফুল্ল করতে চঞ্চল করতে এই দিনের ভুমিকা অনেক।

আরও পড়ুনঃ আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

দেশের সূর্য সন্তান বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আজকের শিশুরা এই দিনের মাধ্যমে জানতে পারেন। কিংবদন্তি বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানলে তবেই তার আদর্শ অনুসরণ করতে পারবেন আজকের শিশুরা।

অবিভাভকদের উচিত বেশি বেশি বঙ্গবন্দুর জীবনী তাদের কোমলমতি সন্তানদের জানানোর। এতে করে শিশুরা অনুপ্রানিত হয়ে দেশ প্রেমে এগিয়ে আসতে উৎসাহী হবেন।

শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় এমন হওয়া উচিত যেটা শিশুদের মঙ্কে বড় করতে শিশুদের চিন্তা চেতনাকে বড় করতে সাহায্য করে।

উপসংহারঃ একটি জাতির জন্য শিশু দিবস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি শিশু এই দিবসের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে বুঝতে এবং শিখতে পারে।

এবং শিশুদেরকে পরিচর্যা করার সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা পায় বাবা মায়েরা শিক্ষকরা। আমাদের উচিত সকল শিশুকে শুধু শিশু দিবসেই নয় বরং সব সময়েই মন, চিন্তা বড় রাখতে সাহায্য করা।

আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের বিষয়ে আরও ভালভাবে লক্ষ্য করা উচিত।

শিশু দিবস সম্পর্কিত FAQS

কবে থেকে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়?

১৯৯৪ সালে বেসরকারি ভাবে এবং ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর সরকারীভাবে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস।

১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণার কারণ কি ছিল?

১৭ মার্চ পালনের কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহন করেন।

সেই হিসেবে এই দিন জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ কি বার ছিল?

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বুধবার ছিল।

১৭ মার্চ কি সরকারি ছুটি পালিত হয়?

হ্যা, প্রত্যেক বছর ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্দুর জন্মদিন হিসেবে জাতীয়ভাবে সরকারি ছুটি পালিত হয়।

জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস রচনা লেখার নিয়ম এবং একটি নমুনা রচনা দেখেছি।

আশা করছি ১৭ মার্চে প্রতিযোগিতামূলক রচনা লেখার বিষয়ে আপনি একটি ধারণা পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

মার্চ মাসের সকল দিবস সহ সকল জাতীয় দিবস সম্পর্কে আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে National Category ভিজিট করুন।

নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে Dainik kantha করুন।

চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.