সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী । Shakib Life story 

বাংলাদেশের আরও একটি নাম সাকিব আল হাসান বলে মনে করেন বাংলার ক্রিকেট প্রেমিরা। সাকিব যিনি তার ক্রিকেটের নৈপুণ্য দিয়ে সারা বিশ্বে নিজ দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে। সাকিব মানেই বাংলাদেশ। আজ আমরা জানবো এই পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী সম্পর্কে। জানবো সাকিবের উঠে আসার গল্প। 

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটের মাধ্যমে নিজেকে পোস্টার বয় করে তোলেন মাগুরা থেকে উঠে আসা এক তরুণ। তিনি শুধু সাকিব ই নন। তিনি বিশ্ব সেরা সাকিব। ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব। বাংলাদেশের এবং বাহিরের হাজার হাজার তরুনের আইডল এই ছেলেটি।

আজকে সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে জানবো। জানবো বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিবের অবদান এবং ব্যক্তিগত অর্জনকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্রিকেটের এবং বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী নিয়ে বিস্তারিত। 

সাকিব আল হাসান কে

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি শুধু বাংলাদেশেরই নয় বরং পুরো ক্রিকেট বিশ্বের অহংকার, মূল্যবান সম্পদ এই সাকিব। ক্রিকেট বিশ্বকে এমন একজন ক্রিকেটার পেতে হয়তো কয়েকশো বছর অপেক্ষা করা লাগতে পারে। 

দেশের এই পোস্টার বয় বা হাতি ব্যটস্ম্যান। এবং বল হাতে বা হাতি স্পিনার সাকিব মাঠে যেন সবসময় সবার সেরা। বলিং ব্যাটিং ফিল্ডিং এবং লিডিং সব দিক থেকে সাকিব যেন সবার সেরা ক্রিকেটার।

দেশের বাহিরে অন্যান্য বেশ কিছু দেশের মানুষ সাকিব মানেই বাংলাদেশকে বোঝেন। এ যেন দেশের খেলাধুলা জগতের এক নাম্বার সূর্য সন্তান। 

সাকিব আল হাসানের জন্ম

১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ খুলনার বিভাগের মাগুরা জেলায় সাকিব আল হাসান জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম সালের হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে তার বয়স ৩৫ বছরের মতো।

ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান এর ডাক নাম ময়না। সাকিব উচ্চতায় ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা।

সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শুরু

ছোট বেলা থেকেই সাকিব ছিলেন দূরদর্শী শিশু। তার বাবা মাশরুর সাহেব খুলনা বিভাগীয় ফুটবল টিমে খেলতেন বিধায় তার বাবা তাকে ফুটবল খেলায় উৎসাহী করতেন।

তবে অন্য দশজন বাবা মায়ের মতোই সাকিবের বাবা মাও চাইতেন তার সন্তান ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হোক। 

শিশু সাকিবও ফুটবল খেলতেন পুরো দমে। কিন্তু, ১৯৯৭ সালের অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম যখন ক্যানিয়াকে হারান সেই থেকেই সাকিবের দেশের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জেগে যায় কয়েকগুণ। এবং সেই থেকেই ক্রিকেট দ্যান ক্রিকেট জান মনে করে সব বাদ দিয়েই একপ্রকার ক্রিকেটে লেগে পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী। 

মেধাবি সাকিবের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমান কোর্টে খুব বেশি সময় লাগেনি। তিনি প্রথমে একজন প্রেসার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও পরবর্তীতে সাকিব স্পিন বল এবং বা হাতি ব্যাটিং এ নিজেকে প্রকাশ করেন।

এশিয়া কাপ 2022 সময়সূচী জেনে নিন এখনই। আরও জানুন বাংলাদেশ এশিয়া কাপ জিতবে কি না

এরকম চলতে থাকে সাকিবের ক্রিকেট খেলা। এক সময় খুলনা বিভাগের বিভিন্ন ক্লাব থেকে সাকিবকে হায়ার করে নিয়ে যাওয়া হত ক্রিকেট খেলার জন্য। এভাবে খেলতে খেলতে সাকিব ২০০১ সালে একদিন পাড়ার একটি ম্যাচ খেলতে গিয়ে একাই বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং বলিং পারফর্মেন্স করে সত্যি সবাইকে অবাক করেন।

ঠিক তখন সেই ম্যাচের আম্পায়ার সাদ্দাম হোসেন সাকিবের মেধাকে ধরে ফেলেন খুব সহজেই। তখন সাদ্দাম হোসেনের পরামরশে সাকিব মাগুরা জেলার ইসলামপুর পড়া ক্লাবে খেলা শুরু করেন স্পিন বোলিং ক্রিকেটার হিসেবে। 

সাকিবের স্বপ্নের বাস্তবায়ন

ওই বছরই সারা দেশ ব্যাপি ক্রমান্বয়ে বিকেএসপি এর প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে সাকিব তার পাশের জেলা নড়াইল ক্যাম্পে মনোনয়ন পায়।

এসময় তার কোচ সাদ্দাম হোসেন এবং তৎকালীন বিকেএসপির কোচ আশরাফুল হক বাপ্পির পরামর্শ পেয়ে তিনি বিকেএসপিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন।

বিকেএসপিতে ভর্তির সময় সাকিবের পরিবার কোনো বাধা হয়নি। বরং সাকিবকে তারা উৎসাহ দিয়েছেন ভর্তির জন্য। হয়ত তার বাবা মা সন্তানের চোখে আজকের সাকিবকে দেখতে পেয়েছিলেন। 

এরপর আর সাকিবকে থেমে থাকতে হয়নি। ২০০২ সালে বিকেএসপিতে ঢোকার কিছু দিন পরেই অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলে চান্স পান সাকিব আল হাসান।

আরও পড়ুনঃ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কে কতবার নিয়েছে (আপডেট সহ) 

এরপর ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে খুলনা বিভাগের ঘরোয়া লিগে খেলার জন্য ডাক পান এই অদম্য সাহসি ক্রিকেটার। 

২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিজের ব্যক্তিগত ৮৬ বলে তুলে নেন প্রথম সেঞ্চুরি এবং ৩ উইকেট তুলে নেন সাকিব নিজেই। তার এই পারফর্মেন্স দলকে জিতিয়ে দেয় খুব সহজেই। 

২০০৫-২০০৬ এই সময়ে তিনি অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে ১৮ টি ম্যাচ খেলেন। ১৮ ম্যাচে মোট রান করেন ৫৬৩।

গড়ে রান হয় ৩৫ এর উপরে এবং উইকেট নেন ২০ টির অধিক। সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী এভাবে বলতে যেন কম বলা হয়ে যাচ্ছে।

কতটা সাহসি এবং পরিশ্রমী এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বিশ্বসেরা এই ক্রিকেটের পোস্টার বয়। 

অনূর্ধ্ব ১৫। অনূর্ধ্ব ১৭, অনূর্ধ্ব ১৯ এ ধারাবাহিক পারফর্মেন্স এবন অনূর্ধ্ব ১৯ এর ত্রিদেশীয় সিরিজে দল্কে জেতানোর জন্য বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হওয়ায় তখনকার প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এর নজরে আসে সাকিব। এবং অবশেষে সপ্ন জাতীয় টিমে খেলার সুযোগ হয়। ২০০৬ এর বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজের মাধ্যমে নিজেকে জাতীয় দলে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হন সাকিব আল হাসান দ্যা পোস্টার বয়। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পোস্টার বয় সাকিব 

২০০৬ এ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অভিসেক ম্যাচে অসাধারণ পারফর্মেন্স করায় সেই বছরেই বিসিবি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর সাথে চুক্তি বদ্ধ হন সাকিব। এবং ২৮ নভেম্বর ২০০৬ এ খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টি ২০ অভিসেক ম্যাচে খেলেন। 

২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো আইসিসি আয়োজিত বিশ্ব কাপ দলে চান্স পায় সাকিব আল হাসান।

যেখানে হাবিবুল বাসার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেখানে ১৫ সদস্যের দল ছিলেন সাকিব আল হাসান।

সেই বিশ্বকাপে সাকিব ৯ ম্যাচ খেলে ২০২ রান করেন।

যেখানে তার গড় রান ছিল ২৮ এর উপরে।এবং ৭ টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। সেই টুর্নামেন্ট এ সাকিব দুইটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। এছাড়াও তামিম সাকিব, মুশফিকের অরজনে ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয় পরবে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

আরও পড়ুনঃ কে কতবার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েছে

এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেন মোঃ আশরাফুল। তিনি 216 রান করেন। 

এরপর ক্রমান্বয়ে একের পর এক সফলতা আসতে থাকে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। টেস্ট, ওয়ানডে, টি ২০ তিন ফরম্যাটেই সাকিব যেন এক ড্রিম নাম। সাকিবের নামের পাশে সেঞ্ছুরি, উইকেট সহ অন্যান্য অরজনের শেষ নেই তবে সাকিবের সপ্ন বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয় করে তবেই ক্রিকেট ছেরে অবসরে যাবেন এই অলরাউন্ডাড় তারকা ক্রিকেটার। 

সাকিব স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ ক্রিকেট হোক বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট দল। অর্জনের নামের পাশে হোক সব ধরনের ক্রিকেটের পাশে ওয়ালড কাপের নাম। সাকিব মানেই বাংলাদেশ। সাকিব মানেই ক্রিকেটের হাজার বছরের অর্জন।

সাকিব আল হাসানের পরিবার

সাকিবকে তার পরিবারের সবাই ফয়সাল নামেই ডাকে। সাকিবরা দুই ভাই বোন।দুই ভাইবোনের মধ্যে সাকিব বড়। সাকিবের বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং খুলনা বিভাগীয় ফুটবল টীমের খেলোয়াড় ছিলেন।

মা শিরিন শারমিন একজন গৃহিণী।

সাকিবের বাবার বাড়ি দেশের দক্ষিন অঞ্চল তথা খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলায় অবস্থিত।   

সাকিব আল হাসান শিক্ষাগত যোগ্যতা

ক্রিকেটে প্রফেশনালই প্রবেশ করার পরে মেধাবি সাকিবের পড়াশোনায় খুব একটা আগ্রহ ছিল নাহ। তবে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন শেষ পর্যন্ত।

সাকিব দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (অ্যামেরিকা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। 

সাকিবের মাসিক ইনকাম 

সাকিব একজন এপ্লাস ক্যাটাগরি প্লেয়ার হিসেবে প্রতি মাসে বোর্ড থেকে ৮ লাখ টাকা বেতন পান।

অন্যান্য সব ভাবে তিনি প্রায় ২৩ কোটি টাকা ইনকাম করেন প্রতি মাসে।

এই সংখ্যাটি তার বার্ষিক ইনকামের উপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে।

তার ইনকামের অন্যান্য সোর্স হচ্ছে বিভিন্ন লিগ, বিপিএল, আইপিএল, স্পন্সর ভিডিও, স্পন্সর পোস্ট, স্পন্সর কাল্কেশন। 

এছাড়াও সাকিব বর্তমান সময়ে বেশ কিছু ব্যবসায়ে জড়িত আছেন। তার অন্যতম ব্যবসাইক আয়ের কয়েকটি মাধ্যম হলো সাকিব মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমি, সাকিব এগ্রো ফারম, সাকিব স্বর্ণ বার ইত্যাদি। 

সাকিবের আসল নাম কি? (অফিসিয়াল নাম)

আসল নামঃ সাকিব আল হাসান।

সাকিবের ডাক নাম কি?

ডাক নামঃ ফয়সাল।

ক্রিকেটে সাকিবের ডাক নাম কি?

ময়না। 

সাকিবের জন্ম কত সালের কত তারিখ?

সাকিব আল হাসান এর জন্ম ২৪ মার্চ ১৯৮৭ সাল।

টাইগার সাকিবের জন্ম স্থান কোথায়?

সাকিবের জন্ম মাগুরা জেলা, খুলনা বিভাগ,- বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের একটি জেলা মাগুরা। 

সাকিবের মাতা পিতার নাম কি?

তার মাতা ও পিতার নামঃ মাশরুর রেজা, শিরিন শারমিন।

সাকিব আল হাসান এর স্ত্রী/ বউ/ ওয়াইফ এর নাম কি?

উম্মে হাবিবা শিশির।

সাকিব এর সন্তানদের নাম কি ?

আলাইনা, আরহাম, ইজাহ।টিন সনানের মধ্যে প্রথম দুজন মেয়ে এবং ছোট জন ছেলে ইজাহ।

সাকিব এর পেশা কি কি?

ক্রিকেটার, বিজনেস ম্যান। 

সাকিব আল হাসানের ধর্ম/ অনুসারী কোনটি?

ইসলাম/ মুসলিম/ মুসলমান।

সাকিবের প্রিয় প্রতিষ্ঠান কোনটি?

বিকেএসপি, ক্রিকেটার তৈরির অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবন মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমি। 

সর্বশেষে । সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী 

আজকে আমরা জানতে চেষ্টা করেছি সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী সম্পর্কে। বিশ্বের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ মানেই শুধু সাকিবকে চেনে। সাকিব একজন অত্যন্ত সুদক্ষ ক্রিকেটার। যিনি দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে সারা বিশ্বে।

একজন সাকিব পেয়ে বাংলাদশ যেন কয়েক হাজার বছর ক্রিকেটে এগিয়ে গেছে। 

একজন সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী জানতে চান দেশ বিদেশের বাংলা ভাষাভাষী হাজার তরুণ।

আরও পড়ুনঃ টি ২০ বিশ্বকাপ কে কতবার নিয়েছে?

সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার একদিন শেষ হবে।

তবে একজন সাকিব পেতে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে হয়তো কয়েক হাজার বছর অপেক্ষা করতে হবে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারবেন।

জানতে পারবেন সাকিব আল হাসানের স্বপ্ন পুরনের কথাজান্তে পারবেন তার পরিবারের কথা। 

আশা করছি, সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পরে সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন সবকিছু। 

এই সব তথ্য ছারাও আর কিছু জানতে চাইলে আমাদের এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট করুন।

আমাদের প্রতিনিধি টিম খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার কমেন্টের উত্তর দিবেন।

সব বিষয়ে নিয়মিত আরও লেখা পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

29 thoughts on “সাকিব আল হাসান জীবন কাহিনী । Shakib Life story ”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.