লাল চা খেলে কি হয় । লাল চায়ের দোষ গুণ

Last Updated on 11 months by Shaikh Mainul Islam

লাল চা শরীরের অনেক বড় উপকার করে আমাদের অজান্তেই। যার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি সুস্থতার সাথে জীবন যাপন করতে পারে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নাই।

বিশেষ করে লাল চা শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। আজ জানবো লাল চা শরীরে যেসব উপকার করে থাকে-

লাল চায়ের মধ্যে থাকে ক্যাফেইন, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, মিনারেল, ফ্লোরাইড, ম্যাঙ্গানিজ ও পলিফেনল। লালচা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
ট্যানিন, গুয়ানিন, এক্সাথিন, পিউরিন ইত্যাদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয়।

করোনা ভাইরাসের আক্রমণে যখন সারা বিশ্ব অসুস্থ, ঝুঁকির মুখে ঠিক তখনই পৃথিবীতে সুস্থ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।

এত এত মানুষের সুস্থতার পিছনে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিজ নিজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অধিকতর থাকা।

হার্টে যে উপকার করে লাল চা । লাল চায়ের উপকারিতা

নিয়মিত লাল চা খেলে কার্ডিওভাসকুলারের সৃস্যা দূর হয়। চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের ক্ষতিকৃত অংশ জারিত হওয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

নিয়মিত লালচা শরীরের বিশেষ করে হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখে।

শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধে

চায়ের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেক্টাল, জরায়ু ক্যানসার, ফুসফুস ও ব্লাড,  স্তন, প্রোস্টেট ক্যানসার, পাকস্থলী ক্যানসারও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে নিয়মিত লাল চা খাওয়া।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

লাল_চা মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন ফ্লু, ঠান্ডা ইনফ্লুয়েঞ্জার আক্রমণ থেকে শরীরকে দেয় নিশ্চিত সুরক্ষা।

প্রতিদিন তিন- চার কাপ লাল চা পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে।

মুখে স্বাস্থ্য যেমন রাখে

অ্যান্টি এক্সিডেন্ট মানব শরীরের অন্যতম অঙ্গ মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। চায়ে থাকা এই উপাদানটি দাঁতের ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।

এবং মুখের মধ্যে থাকা দুর্গন্ধ দূর করে চায়ে থাকা ফ্লোরাইড।

মস্তিস্কে ও স্নায়ুতে উদ্দীপ্ত করে

লাল চা রক্তের পরিবহনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। মস্তিস্ককে শিথিল করার অম্যতম প্রাকৃতিক ঔষধ বলা হয় লাল চা কে।

প্রতিদিন তিন- চার কাপ লাল চা খেলে মানসিক চাপ তুলনামূলক কমে।

হজমে চায়ের ভূমিকা

লাল চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন৷ মানব দেহের পাকস্থলীতে হজম প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে দেয়। গ্যাস্ট্রিক এর মতো ভয়ানক সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে এই হালকা পানীয়।

লাল চা খাওয়ার জন্য যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হয়

সামান্য চা পাতায় এত এত উপকার। তাই বলে শুধু একের পর এক খেলেই সুফলগুলো পািয়া যাবে নাহ্। সবকিছুর মতো এখানেও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

এতে করে এর উপকার কয়েকগুণ বেড়েও যেতে পারে৷ লক্ষণীয় বিষয় গুলো হলোঃ

চা পাতার মান (কোয়ালিটি) ঠিক আছে কি না দেখে ক্রয় করতে হবে। বাজারে মান সম্মত পণ্যের পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের জয়জয়কার।

আপনার ভালোর জন্যই আপনাকে ভালো মাবের চা পাতা ক্রয় করতে হবে।

চা বানানোর নিয়মঅনুযায়ী প্রথমে পানি ফুটাতে হবে। এরপরে চুলা বন্ধ করে পানির মাঝে চা পাতা দিয়ে ২-৫ মিনিট রেখে দিতে হবে৷ পরবর্তীতে কাপে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খেতে হবে।

লাল_চা -য়ের স্বাদ (টেস্ট) বাড়ানোর জন্য চায়ে আদা, লবঙ্গ, লেবু, এলাচ, দারুচিনি, তেজ পাতা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

এতে করে চায়ের স্বাদ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবং আলাদা ভাবে তুলনামূলক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে পাঁচ কাপ চা খাওয়া যেতে পারে৷ চায়ে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক খাওয়া শ্রেয়। তবে, যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। অনেকে লবণ দিয়ে খেতে অভ্যস্ত।

লাল চায়ের পাশাপাশি আর কি খাওয়া যেতে পারে ?

লাল চায়ের পাশাপাশি গ্রিন চা বা সবুজ চাও খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে সকল খাদ্য দ্রব্যে এত এত ভেজালের মধ্যে সুস্থ থাকার জন্য একপ্রকার প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছে৷

এসব ছোট ছোট বিষয়ে আমরা মেনে চললেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব।

আর পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা কমানোর উপায়

আরও পড়ুনঃ মানবদেহে জিরার কারিশমা

আরও পড়ুনঃ শীতকালে যেসব খাবার খেতে হয়

নিত্যনতুন দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয়ে বিজ্ঞান সম্মত লেখা পেতে চোখ রাখুন দৈনিক কন্ঠ ব্লগ এর ফেসবুক পেজ এ। জয়েন হয়ে নিন দৈনিক কন্ঠ ফেসবুক গ্রুপ এ।

লাইফ স্টাইল/ দৈনিক কন্ঠ ব্লগ