Last Updated on 12 months by Shaikh Mainul Islam
রান্নার কাজে জিরা র গুণাগুন নতুন করে জানার নেই। তবে শুধু রান্নার খাবারকেই সুস্বাদু ও সুগন্ধি করে জিরার কাজ শেষ নয়।
রান্নার কাজে ব্যাবহার বাদেও জিরার বেশ কিছু গুন আছে যা মানব শরীরে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম।
এর মধ্যে বিশপষ গুন হলো, জিরা পানি বা জিরা চা, যা ওজন কমাতপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
প্রাকৃতিক ভাবে ওজন কমানোর জন্য জি রা- পানি সর্বশ্রেষ্ঠ উপাদানের একটি।
স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, শরীরের অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমিয়ে ওজন কমাতে জিরা- পানির কোনো তুলনা হয় না
হজমের ক্ষেত্রে জিরার ভূমিকা
থাইমল সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তৈল যা আমাদের লালাগ্রহন্থিকেউদ্দীপ্ত করে খাদ্য পরিপাক করে ফেলে খুব কম সময়ে।
আর জিরায় আছে এই থাইমল সহ এসকল গুরুত্বপূর্ণ তেল।
যাদের হজম প্রক্রিয়া একদমই দূর্বল তারা নিয়মিত জিরা-পানি খেতে পারেন। অন্যদিকে কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং কলা এবং জিরা দুটিই শরীরের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য তেমন হজম প্রকৃয়ায় তত শক্তিশালি।
মানবদেহের ওজন হ্রাস করতে জিরা-পানি
জিরা-পানি বানানোর জন্য মূলত কিছু নিয়ম ফলো করতে হয়।
এক চামচ জিরা এক গ্লাস পানির ভিতরে দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে
। পানি ফহটে বাদামি রং ধারন করার পর পাত্রটও ঢেকে রাখতে হবে। এরপর ব্যাবহার যোগ্য অনুযায়ী ঠাডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ভালো হজম থেকে শুরু করে হালকা পেট ব্যথা সবকিছুর জন্যই প্রাথমিক চিকিৎসার অন্যতম ঔষধ জিরা-পানি।
এসব রোগে দৈনিক তিন থেকে চার বার জিরা পানির চা খেতে পারেন।
আর যাদের হালকা চা খাওয়ায় অভ্যস্ত তারা গরম পানিতে জিরা মিশিয়ে ঢেকে রেখে খানিক সময় পর চা হিসেবে খেতে পারেন।
অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রেখে সকালে জি রা-পানি খেতে পারেন।
শরীরের চামড়া ঠিক রাখায় জিরার ভূমিকা
প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ মতো জি রা খেলে মানব দেহের ত্বক একদম উজ্জ্বল থাকে।
বয়সের কোনো ছাপ পরেনা শরীরে। চামড়া থাকে তেলের মতো চকচকে।
খাবারের সাথে জি রা-পানি
অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাতে চাইলে খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়ানের কোনো বিকল্প নেই।
এছাড়াও দইয়ের মধ্যে জি রা অথবা মধুর সাথে জি রা মিশিয়ে ভক্ষণ করলেই অস্বাস্থ্যকর চর্বী শরীর থেকে দূর হয়ে যাবে।
রসুন আর লেবুর রসের মাধ্যমে ওজন কমানোর ফর্মূলা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু এর থেকেও যদি একটু বেশি ফল পাওয়া যা-?
গাজর সিদ্ধ ও অন্যান্য সবজি সিদ্ধ টর মাঝে রসুন বেটে লেবুর রস সহ দিন এবং এর উপরে হালকা জিরার গুঁড় ছরিয়ে দিন।
এমন ভাবে তৈরি করে নিয়মিত রাতে খেলে কৃবে শরীরের ওজন।
মানবদেহে ক্যানসার প্রতিরোধে জিরার ভূমিকা
স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মতে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেটাবলিজম বাড়ায় এবং পেটের চর্বি কমায় যা জিরায় বিদ্দমান।
যুক্তরাষ্ট্রের এক রিসার্চ ল্যাবের তথ্যমতে, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপাদান আছে জিরায়।
এছাড়াও এতে কুমিন অ্যালডিহাইড নামক উপাদান বিদ্দমান যা মানবদেহে টিউমার বৃদ্ধি ঠেকায় সরাসরিভাবে।
ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কন্ট্রোলে রাখতে সাহায্য করে জিরা।
জি রা পানি দিয়ে গোসল
মানব শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা চুলকানি দেখা দিলে জি রা পানিতে সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে ওই পানি থেকে গোসল করলে একদমই কমে যায় অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা চুলকানি।
তাপমাত্রা বা চুলকানির পরিমাণ বেশি হলে পরপর কয়েকদিন করতে হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার কৌশল
আরও পড়ুনঃ পিরিয়ডে পেট ব্যথা দূর করতে করণীয়
শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বা চুলকানি মনে হলে জি রা দিয়ে পানি সেদ্ধ করে তা ঠান্ডা করুন।
এরপর সেই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।
10 thoughts on “মানবদেহে জিরার কারিশমা”