Last Updated on 5 months by Shaikh Mainul Islam
মোবাইল ব্যাংকিং এর কথা বলতে গেলে নগদের কথা বলতেই হয়। মাত্র চার বছরের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসছে নগদ। তাই ব্যবসা করার লক্ষে অনেকেই নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন।
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম । nagad agent registration” এ।
আজকের পোষ্টে আমরা nagad agent কি, নগদ এজেন্ট একাউন্ট থেকে ইনকামের উপায়, nagad agent registration করার নিয়ম, nagad agent location, nagad agent commission এবং nagad agent app সম্পর্কে বিস্তারিত।
nagad agent কি
নগদ হচ্ছে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। আর nagad agent হচ্ছে পাড়ায় বা মহল্লায় মানুষকে নগদ গ্রাহকদের নগদের সার্ভিস দিতে নগদ থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
নগদ উদ্যোক্তা কিংবা nagad agent একাউন্ট খুলে অসংখ্য মানুষ বেশ টাকা ইনকাম করছে। আমরা দোকান থেকে নগদে টাকা ক্যাশ ইন কিংবা সেন্ড মানি করি।
বিনিময়ে দোকানদার নগদের থেকে নির্দিষ্ট একটি টাকা কমিশন পায়। এই কমিশন হচ্ছে nagad agent commission.
আমরা যখন টাকা ক্যাশ আউট করি তখন হাজারে যে কয় টাকা নগদ চার্জ কাটে সেখান থেকে nagad agent ব্যক্তি অর্থাৎ যার থেকে ক্যাশ আউট করলাম সে টার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পায়।
একজন দোকানদার বা ব্যবসায়ী নগদ এজেন্ট একাউন্ট নিয়ে nagad agent app ব্যবহার করে নগদের সকল সেবা সাধারণ মানুষ অর্থাৎ নগদ গ্রাহকদের প্রদান করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে।
নগদের এই কার্যক্রম কে নগদ উদ্যোক্তা বা নগদ nagad agent বলা হয়ে থাকে।
নগদ এজেন্ট একাউন্ট থেকে ইনকামের উপায়
আমরা যারা নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করি, আমরা নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠানো কিংবা ক্যাশ আউট করার দরকার হলে আমাদের স্থানীয় যেকোনো নগদ এজেন্ট এর কাছে যাই। নগদ এজেন্ট ধারী আমাদের লেনদেনের কাজটি সম্পন্ন করে দেয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন এখানে নগদ এজেন্ট একাউন্ট ধারীর নিজস্ব লাভ কি?
আরও পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট দেখার কোড
একজন নগদ এজেন্ট ধারী ব্যাক্তি নগদ থেকে বেশ কিছু উপায়ে আয় করে থাকেন। যেমন, টাকা ক্যাশ ইন আবার ক্যাশ আউট। টাকা সেন্ড মানি করে নগদ এজেন্ট ধারী টাকা আয় করে।
অন্যদিকে নগদ এজেন্ট একাউন্ট খুলে নগদ এজেন্ট ধারী ব্যাক্তি অন্য গ্রাহককে একাউন্ট খুলে দিয়ে বোনাস এবং কমিশন পেয়ে থাকেন।
আবার বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে সব ধরনের বিল গ্রহণ করা হয় নগদের মাধ্যমে। এছাড়াও প্রত্যেক নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা লেনদেন করলে এজেন্ট বা উদ্যোক্তা একাউন্ট ধারী পাচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস।
এভাবেই মূলত একজন নগদ এজেন্ট ধাই ব্যক্তি এজেন্ট একাউন্ট থেকে টাকা ইনকাম করে থাকে।
একজন নগদ এজেন্ট বা নগদ উদ্যোক্তার কাজ হচ্ছে নগদের সকল সেবা জনগনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
এর বিনিময়ে নগদ তাকে টাকা দিবে নির্দিষ্ট হিসাব অনুযায়ী।
এবার জেনে নেওয়া যাক নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ম এবং কি কি বিষয়ে যোগ্য হলে নগদ এজেন্ট একাউন্ট বা নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খোলা যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং দরকারি কাজগপত্র সমূহ।
nagad agent একাউন্ট করার নিয়ম
নগদের এজেন্ট একাউন্ট করার জন্য নগদের নিয়ম অনুযায়ী বেশ কিছু কাগজপত্র লাগবে।
অনেকেই জানতে চান নগদ এজেন্ট একাউন্টের জন্য কি কি লাগবে? তাহলে জেনে নিন নগদ উদ্যোক্তা বা নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী যা যা লাগবেঃ
আরও পড়ুনঃ নগদে টাকা দেখার নিয়ম জেনে নিন
১) নগদ এজেন্ট/ উদ্যোক্তা একাউন্ট করতে চাও ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের দুই অপি ছবি।
২) জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। (জন্ম নিবন্ধন/ ড্রাইভিং লাইসেন্স বিকল্প হিসেবে গ্রহণ যোগ্য)।
৩) নগদ একাউন্ট খোলা নাই এমন একটি মোবাইল এবং নাম্বার।
৪) আপনি যে দোকান বা প্রতিষ্ঠানে নগদ এজেন্ট খুলবেন সেই প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এর কপি।
৫) আপনার দোকান কিংবা প্রতিষ্ঠানের নামে সিল। ( যদি না থাকে তৈরি করে নিতে হবে।)
উপরের ৫ টি ডকুমেন্ট নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনার অবশ্যই লাগবে। এী বিসয়গুলির পর আরও কিছু বিষয়ে আপনাকে যোগ্য থাকতে হবে। তবেই সার্বিক দিক বিবেচনা করে নগদ আপনাকে একটি নগদ এজান্ট একাউন্ট ধারী ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচন করবেন। তাহলে কি সেই বিষয়গুলি যা নগদ এজেন্ট একাউন্ট করতে লাগবে।
নগদ এজেন্ট পাওয়ার যোগ্যতা সমূহ
উপরের সম্পূর্ণ লেখাটুকু পড়ার পরে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, ৫ টি ডকুমেন্ট আপনার অবশ্যই লাগবে। এবার জেনে নিন আরও কি বিষয়ে আপনাকে যোগ্য হতে হবে।
সাধারণত নগদ এজেন্ট একাউন্ট দেওয়া হয়ে থাকে বিভিন্ন জনবহুল এলাকার বিভিন্ন দোকানে যেখানে অনেক মানুষ চলাচল করে। তাই আপনি যে দোকান বা ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে বসে নগদ এজেন্ট থেকে টাকা আয় করতে চান সেটি হতে হবে অধিক লোকালয় পূর্ণ স্থানে।
বিশেষ করে, বাজার, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি সহ আরও এমন লোকালয় স্থান যেখানে মানুষ খুব বেশি চলাচল করে এবং লেনদেন করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে নগদ একাউন্ট খুলব ? নগদ একাউন্ট খোলার নিয়মাবলী জেনে নিন
আর একটি পরামর্শ হচ্ছে যে, আপনি যদি মোবাইল এজেন্ট ব্যবসা শুরু করতে চান নগদ থেকে তাহলে পরবর্তীতে মোবাইল রিসারজ থেকে অন্যান্য মোবাইল ব্যাঙ্কিঙ্গের সকল এজান্ট নিবেন।
তবেই আপনি সকল কাস্টমারকে আপনার দিকে আনতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, আপনাকে মোবাইল চালানোর জন্য এবং নগদ অ্যাপ এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যেটুকু দরকার তততুকু বাংলা ইংরেজি জানতে হবে।
আর ট্রেনিং আপনাকে নগদ থেকেই দিয়ে দেওয়া হবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক উপরের সব বিষয়গুলি আপনি যোগ্য থাকার পরে নগদের কাছে কিভাবে কোন প্রসেসে নগদ এজেন্ট একাউন্ট কিংবা নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট পাওয়া যাবে।
নগদ এজেন্ট একাউন্ট পেতে করণীয়
কিভাবে খুলতে হয় নগদ এজেন্ট একাউনট কিংবা কিভাবে খুলতে হয় নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট তা জানতে চান অনেকেই।
চলুন তাদের জন্য নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ করণীয় জেনে নেওয়া যাক।
নগদের এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য উপরে উল্লেখিত সকল ডকুমেন্টস নিয়ে আপনার নিকটস্থ নগদ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে যোগাযোগ করবেন।
আরও পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম । নগদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
সকল জেলার সকল উপজেলার সকল এলাকার নগদ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ঠিকানা এই পোষ্টের শেষ অংশে দেওয়া থাকবে।
১) নগদ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে যেতে হবে।
২) অফিসে গিয়ে সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ( ২ কপি ছবি, আইডি কার্ডের কপি, ট্রেড লাইসেন্স, ইত্যাদি) জমা দিতে হবে।
৩) এবং আপনার দোকান বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মৌখিক বলতে হবে ডিস্ট্রিবিউটর অফিসারকে।
৪) আপনার দেওয়া সকল ডকুমেন্ট যাচাই করে নগদ আপনাকে নগদ এজেন্ট সিম বা নগদ উদ্যোক্তা সিম দিবেন যদি আপনি এটি পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকেন।
৫) তবে এই সম্পূর্ণ কাজতিপ্রসেসিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে নগদ স্রবচ্চ ২৮ দিন সময় নিয়ে থাকে। তবে এর কম সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়।
৬) নগদ আপনার সকল তথ্য যাচাই বা ভেরিফিকেশন করার পর আপনাকে যোগ্য মনে হলে আপনাকে ডাকবে। এবং আপনাকে নগদ উদ্যোক্তা অ্যাপ – Nagad Uddokta App এ আপনার নগদ এজেন্ট নাম্বারটি দিয়ে ব্যসিক বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিবেন।
এই পোষ্টের শেষে Nagad Uddokta বা নগদ Agent App লিংক দেওয়া থাকবে।
ঘরে বসে nagad agent registration
আপনি ঘরে বসে কোনোভাবেই নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন না। কারণ এটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নগদের ডিস্ট্রিবিউটর অফিস কিংবা নগদের হেদ অফিসে যেতেই হবে।
নগদ উদ্যোক্তা বা এজেন্ট নির্বাচনে একাউন্ট করতে চাওয়া ব্যক্তির তথ্য যাচাই বাচাইয়ের জন্য সরাসরি কাজ করে থাকে।
তাই ঘরে বসে নগদ এজেন্ট একাউন্ট কিংবা নগদ উদ্যোক্তা একাউন্ট খুলতে পারবেন না। এটি খোলা যায় না।
বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন যেন প্রতি মুহূর্তেই বেড়েই চলেছে। আর জনপ্রিয়তার দিক থেকে নগদ এখন অঘোষিত সবার উপরে।
তাই প্লেস অনুযায়ী যদি একবার আপনি নগদের ব্যবসা আপনার মূল ব্যবসার সাইড ব্যবসা হিসেবেও করেন মাস শেষে বেশ বড় রকমের একটি টাকা আরনিং বা আয় করতে পারবেন।
এর কারণ নগদ এখন এজেন্ট ধারীদের প্রতি হাজারে অনেক বেশি টাকা পেমেন্ট করে থাকে। এটি হাজারে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা বা তার বেশিও দিয়ে থাকে।
প্রতিদিন ১০ -২৫ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারলেই মাস শেষে বেশ বড় রকমের একটি টাকা আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট নিলে মাস শেষে শুধু মোবাইল ব্যাংকিং থেকেই আপনি আয় করতে পারবেন লাখের উপরে টাকা।
নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে এটি শুধু নিয়ম মতো করতে হবে আপনাকে।
তাই আপনার দোকান কিংবা অন্য ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে আজই নিন নগদ এজেন্ট একাউন্ট আয় করুন সীমাহীন। আর আপনার ডিস্ট্রিবিউটর এর এজেন্টদের মধ্যে বেশি লেনদেন করতে পারলে মাস শেষে আছে বেশ বড় রকমের একটি বোনাস।
তাই দেরি না করে আপনার ব্যবসা বাড়াতে আজই মোবাইল ব্যাংকিং এর সেরা সার্ভিস নগদের এজেন্ট নিয়ে নিন।
নগদ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
নগদ এজেন্ট হয়ে যখন নগদে ইনভেস্ট করার কথা আসছে তখন আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনার নগদে আপনার জত বেশি ইনভেস্ট বা বিনীয়োগ তত বেশি আয় হবে আপনার।
তবে আপনাকে প্রথমে দিক ১০ হাজার বা এর কম বেশি ইনভেস্ট করেই শুরু করতে পারেন নগদ এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা।
nagad agent commission
নগদ এজেন্ট একাউন্টকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে মুনাফা দিয়ে থাকে।
তবে সাধারণ ভাবে nagad agent commission প্রতি হাজারে এজেন্টকে ৪ টাকা ১০ পয়সা দিয়ে থাকে।
আপনার কাছে হাস্যকর মনে হচ্ছে?
আপনি সারা মাসে আপনার ব্যবসা থেকে যদি ২০ হাজার টাকা আয় করেন।
আর যদি nagad agent থেকে ১০ হাজারের বেশি আয় করতে পারেন প্রতি মাসে।
তাহলে কি দাড়াচ্ছে? ভাই, আপনাকে টাকা কেউ শুধু শুধু দিবে না। আপনি নগদের কাজ করে দিবেন বিনিময়ে একটা অংশ মুনাফা হিসেবে পাবেন।
ভাই, শুধু নগদ এজেন্ট একাউন্ট নিয়ে মাসে লাখের উপরে আয় করছে এমন নগদ এজেন্টের অভাব নেই।
তবে আপনার ব্যবসা সেরকম পর্যায়ে হতে হবে।
নগদ এজেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা
সকল দোকান মালিক বা দোকান ব্যবসায়ীদের মধ্যে নগদ এজন্ট একাউন্ট থেকে আয় করার জনপ্রিয়তা অনেক বাড়ছে।
এতে কারোর লস নেই। কারণ নগদের গ্রাহোক বাড়ছে প্রতি মুহূর্তেই। তাই নগদের কাস্টমার নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।
আপনার দোকানের অন্য ব্যবসার সাথে এটি করা যাবে। এজন্য আপনাকে খুব বেশি কত করতে হবে নাহ। দোকানে ফ্যানের নিচে বসে কোনরকম কাইক শ্রম ছাড়াই যদি মূল ব্যবসার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু টাকা আসে তাতে দোষ কি ?
আমার দেখা একজন ব্যক্তি একটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুধু মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল রিসার্চ এবং পাশাপাশি টি শার্ট ব্যবসা করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করে থাকে।
যা তার জন্য যথেষ্ট এবং একটি সরকারি জবের বেতনের থেকেও অনেক বেশি।
নগদ এজেন্ট একাউন্টের অসুবিধা সমূহ
নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার একটাই অসুবিধা তা হচ্ছে এই একাউন্ট সবাই খুলতে পারবেন না।
অর্থাৎ কোনো দোকান মালিক বা ব্যবসায়ী ছাড়া নগদ এজেন্ট একাউন্ট কেউ খুলতে পারবে না।
এবং নগদ এজেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে আয় করা সকল টাকা প্রতি মাসে ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলতে হবে।
তবে বর্তমানে সব ব্যাংকের টাকা আপনি কার্ড করে নিলে যেকোনো এটিএম বুথ থেকে তুলতে পারবেন রাত দিন ২৪ ঘণ্টা।
আবার বিকাশ থেকেও অনেক ব্যাংকের টাকা অনলাইনের মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট দেখার কোড
তবে এটি কোনো সমস্যার মধ্যে পরে বলে অন্তত আমার মনে হয় নাহ।
তাই একপ্রকার বলা যায় যে nagad agent একাউন্ট এ আয় করতে কোনো অসুবিধা নেই।
যেমন আমাদের তথ্য সন্ধ্যানে বেরিয়ে এসেছে অন্যান্য জায়গার থেকে এইসব অঞ্চলে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নগদ এজেন্ট দ্বারা বেশি আয় করা সম্ভব এবং এসব অঞ্চলের নগদ এজেন্টরা তাই করছে।
দেখে নেওয়া যাক কোন সব অঞ্চলের দোকান বা ব্যবসাই প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ এজেন্ট ধারী ব্যক্তি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে।
নগদ এজেন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা আয়
মূলত যেখানে মানুষের চলাফেরা বেশি হয়ে থাকে সেখানে নগদ এজেন্ট নিয়ে অন্য ব্যবসার পাশাপাশি লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেওয়া যায়। যেমন, বড় কোনো বাজার।
বাজার, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিং মল, সুপার শপ, অফিস আদালতের কাছে নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় হয়ে থাকে।
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে একটা জায়গায় যত বেশি মানুষ ভির করে বা প্রয়োজনে আসে তার মধ্যে তত বেশি থাকবে নগদ ইউজার।
আশা করছি আপনাদের বোঝাতে পারছিতবে আপনি আপনার এলাকায় নগদ এজেন্ট ব্যবসা নিলে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে না পারলেও মাস শেষে আপনার অন্য ব্যবসার সাথে মোটামুটি ১০- ২৫ হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারেন নগদ থেকে।
আয় করার সকল উপায় নগদ আপনাকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিবে।
নগদ এজেন্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন আপনার দোকান যেন নীরব এলাকায় না হয়।
বা লোকালয় থেকে দূরে না হয়।
আবার মানুষ খুব কো আতায়াত করে এমন জায়গায়ও না হয়।
তবেই আপনি কম বেশি একটি স্ট্যান্ডার্ড পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
নগদ এজেন্ট খুলতে নগদ সম্পর্কিত সকল তথ্য
আপনার অঞ্চলে নগদ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস কোথায় তা আপনার জানা না থাকলে এখান থেকে জেনে নিবেন।
তা ছাড়া নগদের হেড অফিসে যোগাযোগ করার জন্য যাবতীয় তথ্য এখান থেকে পাবেন।
পাবেন নগদ উদ্যোক্তা বা নগদ এজেন্ট অ্যাপ ডাউনলোড লিংক।
নগদ ডিস্ট্রিবিউটর ঠিকানা জানতেঃ নগদ ডিস্ট্রিবিউটর
Nagad Agent বা উদ্যোক্তা অ্যাপ ডাউনলোড লিংকঃ Nagad Agent App Download Link
এছাড়াও নগদ হেদ অফিসের ঠিকানাঃ
ডেল্টা ডালিয়া টাওয়ার (লেভেল ১৩ এবং ১৪), ৩৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ- বনানী, ঢাকা -১২১৩
যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার: 16167 or 096 096 16167।
এছাড়া আপনি যদি নগদ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান।
তাহলে আপনার আশপাশের যেকোনো নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আপনী নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের নাম্বার এনে কথা বলতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি নগদের সাধারণ গ্রাহকদের জন্য দেওয়া হেল্প লাইন নাম্বারে কথা বলে জেনে নিতে পারবেন সকল তথ্য।
আশা করছি নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এতক্ষণে সবই জেনে গিয়েছেন।
নগদ সম্পর্কিত FAQS
Nagad Agent Account করতে প্রথমে আপনাকে দোকান বাব্যস্যার মালিক হতে হবে যা লোকালয় বসে করেন।
আর কিছু কাগজ পত্র ডকুমেন্ট হিসেবে লাগবে।
মাত্র চার বছরে এত এত গ্রাহকের মধ্যে নগদ যেন এখন এক কোথায় অঘোষিত সেরাদের সেরা।
আপনি কয়কটি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট দোকান ভিজিট করলেই তা বুঝতে পারবেন।
নগদ এজেন্ট ব্যবসায় যত বেশি ইনভেস্ট তত বেশি লাভ হবে। তবে প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন।
এই ব্লগে নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম বা নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পূর্ণ বলা হয়েছে।
তাই নগদ এজেন্ট সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
সাধারণত ৪ টাকা ১০ পয়সা করে দেয়। তবে নির্দিষ্ট টাকার থেকে বেশি পরিমাণ লেনদেন করতে পারলে এক্সট্রা বোনাস থাকে।
যত বেশি জনগন চলাচলের জায়গায় নগদ এজেন্ট নিয়ে বসতে পারবেন তত বেশি আয় হবে নগদ থেকে।
নগদ এজেন্ট সম্পর্কিত সর্বশেষ
আজকের পোষ্টে আমরা নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। জেনেছি কিভাবে নগদ থেকে taka income করতে পারবেন সেই বিষয়ে।
জেনেছি কিভাবে নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সহ সবকিছু সেটআপ করা নিয়ে।
আশা করছি “নগদ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম” এই বিষয়ে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। এর পর এই বিষয়ে আরও কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানান।
এবং নগদ সম্পর্কে আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়তে Nagad Category ভিজিট করুন।
নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগ পড়তে Dainik Kantha করুন।এবং সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
01928618142