দরখাস্ত লেখার নিয়ম (নমুনা দরখাস্ত সহ)

Last Updated on 5 months by Shaikh Mainul Islam

 জীবনে একবারও দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়নি এমন লোকের সংখ্যা একদমই নেই। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় লেখার জন্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে দরখাস্ত লিখতে হয়। তাই আজকে আমরা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানবো।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক, চাকরিজীবী সহ প্রায় প্রত্যেক পেশায় মাঝে মধ্যেই দরখাস্ত লিখতে হয়। যেমন, ছুটির দরখাস্ত, অধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত, চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত, স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত, চাকরির দরখাস্ত সহ আরও অনেক বিষয়ে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়।

আজকের পোষ্টে আমরা প্রথমে দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানবো। এরপর একটি নমুনা দরখাস্ত লেখা দেখবো। অর্থাৎ, দরখাস্ত লেখার একটি ফরম্যাট দেখব।এই দরখাস্তটি দেখে আপনি যেকোনো দরখাস্ত লিখতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে।

দরখাস্ত লেখার সাধারণ নিয়ম

সাধারণত দরখাস্ত সবসময় হাতে লেখাই ভালো। তবে কিছু ক্ষেত্রে কম্পিউটার কম্পোজ করা দরখাস্ত দেওয়া যায়।

দরখাস্ত লেখার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো কোয়ালিটির কাগজ ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ পর্যায় সারণি মনে রাখার কৌশল – ( ছন্দে ছন্দে ১-৩০)

হাতের লেখা স্পষ্ট করে লিখতে হবে। লেখা স্পষ্ট এবং হালকা কালো কালি দিয়ে লিখতে হবে।এক লাইন লেখার পর অন্য লাইন শুরুর আগে দুইটি লাইনের মধ্যে পরিমাণ মতো ফাকা রাখতে হবে। এবং প্রত্যেকটি লাইন একদম সোজা করে লিখতে হবে।

শুরুতে তারিখ লিখতে হবে। তারিখের কয়েকটি ফর্মেট আছে। তবে সবথেকে ভালো হয় (০১/১২/২০২৩) এমন ফর্মেট ব্যবহার করলে।তারিখ লেখার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যেদিন আপনি দরখাস্তটি যার কাছে লিখছেন তার কাছে দিবেন সেইদিনের তারিখ লিখবেন। অনেকে আগের দিন দরখাস্ত লিখে রাখে তারিখও সেদিন লিখে রাখে।

এরপর বিষয় লিখবেন। বিষয় লেখার ক্ষেত্রে খেয়াল রখবেন এক লাইনের মধ্যে শেষ করার।

এজন্য যে বিষয়ে দরখাস্ত লিখবেন সেই বিষয় উল্লেখ করে বিষয়ের শেষে “প্রসঙ্গে” শব্দটি এড করে দিবেন।এতে সংক্ষেপেই আপনি বিষয় লিখতে পারবেন।

এরপর জনাব লিখে কমা দিয়ে পরের লাইনে একটি শব্দ লেখার জায়গা ফাকা রেখে লেখা শুরু করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ কম পড়াশোনা করেও ভালো ফলাফলের কার্যকরী উপায়

এবার আপনার  লেখা দরখাস্তের মুল বিষয় লিকবেন এক প্যারায়। তারপর দ্বিতীয় প্যারায় আপনার বিষয়টি  দেখার জন্য বিনিত অনুরোধ করতে বলতে হবে।

এরপর নিচের তথা শেষ অংশ লিখবেন আপনার পূর্ণ নাম এবং শিক্ষার্থী হলে ক্লাস ও রল লিখতে হবে।

আর চাকরিজীবী হলে আপনার চাকরির পদবি লিখবেন।

একটি নমুনা দরখাস্ত

উপরের লেখা থেকে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে। মূলত সকল দরখাস্তের টাইপ এক হয়।

তাহলে চলুন নিচে দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনুযায়ী একটি নমুনা দরখাস্ত লেখা দেখে নেওয়া যাক।

নিচে নমুনা দরখাস্তটি স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত যা একজন শিক্ষার্থী তার প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়েছে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

২৭/০১/২০২৩

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক,

———————— স্কুল, ঢাকা।

বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটি চেয়ে আবেদন প্রসঙ্গে।

জনাব,

        সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনির একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। গত ২২/১/২৩ তারিখ থেকে ২৬/১/২৩ তারিখ পর্যন্ত প্রচণ্ড পরিমাণ জ্বরে আক্রান্ত থাকার ফলে ৫ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি। ১০২ ডিগ্রি জ্বর হয়ায় দাক্তার আমাকে কয়েকদিন বেড রেস্টে থাকতে বলায় এতদিন ক্লাসে উপস্থিত হতে পারিনি।

অতএব, জনাবের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমার সমস্যার কথা বিবেচনা করে এই ৫ দিন আমার জরিমানা মওকুফ করলে চির কৃতজ্ঞ  থাকবো।

ইতি,

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্রঃ

নামঃ শেখ সিয়াম আহমেদ।  

শ্রেণীঃ ষষ্ঠ।

রোল: ০৯।

দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে আরও কিছু কথা

এতক্ষণে নিশ্চয়ই  দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং একটি নমুনা দরখাস্ত দেখা হয়ে গেছে। আশা করছি এই পোস্টের পর দরখাস্ত লেখার নিয়ম বা নমুনা দরখাস্তের জন্য কোথাও খুজতে হবে না।

আরও পড়ুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়ার সহজ আট কৌশল

দরখাস্তে সবসময় সহজ সাবলীল ভাষা ব্যবহার করতে হবে। বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে লেখা যাবে নাহ। তবেই আপনার দরখাস্তটি শতভাগ ঠিকঠাক হবে।

দরখাস্ত লেখা নিয়ে সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জেনেছি। এছাড়াও আমরা একটি নমুনা দরখাস্ত দেখেছি।

এরপরে দরখাস্ত লেখা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।

এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।

এবং নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এবং চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।

1 thought on “দরখাস্ত লেখার নিয়ম (নমুনা দরখাস্ত সহ)”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.