Last Updated on 5 months by Shaikh Mainul Islam
এক হিসেবে জীবনের জন্য জীবন বীমা করা জরুরি। কিন্তু অনেকেই জীবন বিমা কি, জীবন বিমা কত প্রকার ও কি কি সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেন না। অথচ বীমা করার আগে জীবন বীমা করা জরুরি।
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “জীবন বীমা কি । বীমা কত প্রকার ও কি কি” পোস্ট এ। গোটা পোস্ট জুড়ে থাকছে বীমা সংক্রান্ত আলোচনা।
আজকের পোষ্টে আমরা জীবন বীমা কি, বীমা কত প্রকার ও কি কি, বীমার প্রকারভেদ, জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা ও সাধারণ বীমা কেন করা হয় এবং বীমার প্রিমিয়াম বলতে কি বোঝায় সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।
জীবন বীমা কি
life insurance বা জীবন বীমা হচ্ছে “ব্যক্তি যেকোনো স্বীকৃত ইনস্যুরেন্স কোম্পানিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টাকা দিয়ে যাবেন। একটি নির্দিষ্ট সময় পর ওই প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিকে তার মোট জমাকৃত অর্থের থেকে বেশি পরিমাণ টাকা দিবেন।”
এখানে অতিরিক্ত অর্থ যা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তি মারা গেলেও তার পরিবার এই টাকাটা পাবেন।
আরও পড়ুনঃ সঞ্চয়পত্র কোন কোন ব্যাংকে করা যায়
অর্থাৎ, ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্ঘটনায় life insurance এর মাধ্যমে জমানো টাকা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। বীমার প্রকারভেদ রয়েছে।
বীমা সাধারণত দুই প্রকারঃ
- জীবন বীমা ( life insurance)
- সাধারণ বীমা ( General Insurance)
জীবন বীমা বা life insurance ব্যতিত সকল বীমা সাধারণ বীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সেখানে হতে পারে আপনার স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance), দুর্ঘটনা বীমা (Accidental Insurance), ভ্রমণ বীমা (Travel Insurance), ঘরের ইন্সুরেন্স (Building insurance), অগ্নি বীমা (Fire Insurance), সম্পত্তি বীমা (Property Insurance) সহ অন্য যেকোনো বীমা।
সাধারণ বীমার মধ্যে কি কি বীমা অন্তর্গত
জীবন বীমা ব্যতীত সকল বীমাই মুলত সাধারণ বীমার মধ্যে ধরা হয়। সেই হিসেবে সাধারণ বীমার আওতাভুক্ত বীমা সমূহ হলোঃ
১) সাধারণ বীমা( General Insurance)
২) স্বাস্থ্য বীমা (Health insurance)
৩) দুর্ঘটনা বীমা (Accidental Insurance).
৪) ভ্রমণ বীমা (Travel Insurance).
৫) ঘরের ইন্সুরেন্স (Building insurance).
৬) অগ্নি বীমা (Fire Insurance).
৭) সম্পত্তি বীমা (Property Insurance).
জীবন বীমা কেন করা হয়
কথাটা কষ্টের হলেও এটাই সত্য যে প্রত্যেককে একদিন মরে যেতে হবে। কিন্তু মরে যাওয়ার পরও যদি পরিবারের আর্থিক সাহায্যের জন্য কিছু করা যায় কেমন হয় বিষয়টা?
আরও পড়ুনঃ অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত
পরিবারের জন্য ভালো কে না চায়। আপনি সারা জীবনে একটি জীবন বীমা করে রেখে গেলেন। যেখানে বাৎসরিক বা মাসিক একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখলেন। আর আপনি মারা যাওয়ার পর ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আপনার জমা টাকা সহ ক্ষতিপূরণ বাবদ আপনার পরিবারকে বেশ বড় পরিমাণের টাকা দিবে। এটাই মূলত জীবন বীমা।
স্বাস্থ্য বীমা কেন করা হয়
সুস্থতা আল্লাহর মহান নেয়ামত। কিন্তু অসুস্থ হলে আমরা ডাক্তার হসপিটালের শরণাপন্ন হই। কেমন হয় যদি স্বাস্থ্য বীমা করে সেখনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা রাখা হয়?
স্বাস্থ্য বীমা হলো এমন একটি বীমা যে আপনি এই বীমার আওতায় থাকলে এবং আপনি অসুস্থ হলে আপনার সুস্থতার জন্য হসপিটাল থেকে ডাক্তার সবকিছুর নির্দিষ্ট একটি অংশ এই ইনস্যুরেন্স কোম্পানি বহন করবে। স্বাস্থ্য বীমা সাধারণ বীমার আওতাভুক্ত। এক্ষেত্রে আমার এক পরিচিত ব্যক্তি স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থাকায় তার অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য মোট এক লক্ষ ২২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলো ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। স্বাস্থ্য বীমাও এক ধরনের সাধারণ বীমার মধ্যে পরে।
আরও পড়ুনঃ আইডি কার্ড দিয়ে সিম চেক
অনেক সময় দেখা যায় হঠাত অনেক বড় কোনো শারীরিক সমস্যা হয়ে গেল। অথচ এই চিকিৎসা করার টাকা আপনার নাই। ঠিক তখনই আপনি স্বাস্থ্য বীমা বা Health Insurance থেকে আপনার চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ টাকা পাবেন।
এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন স্বাস্থ্য বীমা বা Health Insurance কেন করবেন বা কেন করা দরকার।
সাধারণ বীমা কেন করা হয়
এই বীমার নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ বীমার আওতাভুক্ত সকল বীমায় সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন একজন সাধারণ বীমা ভোগকারী। সাধারণ বীমা বা General Insurance কে Non-life Insurance বলা হয়।
স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance), দুর্ঘটনা বীমা (Accidental Insurance), ভ্রমণ বীমা (Travel Insurance), ঘরের ইন্সুরেন্স (Building insurance), অগ্নি বীমা (Fire Insurance), সম্পত্তি বীমা (Property Insurance) সহ অন্য যেকোনো বীমার জন্য সাধারণ বীমা বা General Insurance করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ লাইফ ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমার সুবিধা সমূহ
বীমার প্রিমিয়াম বলতে কি বোঝায়
যে টাকা আপনি আপনার বীমায় রাখবেন সেই টাকার রাশি বা পরিমাণকেই বীমার প্রিমিয়াম বলা হয়। অর্থাৎ, বীমা করার পর মাসিক বা বাৎসরিক যেভাবেই বীমা কোম্পানিকে টাকা দিবেন সেই টাকার পরিমাণকেই বীমার প্রিমিয়াম বলে।
যে বীমায় যত বেশি প্রিমিয়াম, সেই বীমায় তত বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল ব্যাংকিং কি ? সুবিধা অসুবিধা সমূহ
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বীমা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া গেল। জানা গেল জীবন বীমা কি কত প[রকার এবং কি কি।
জীবন বীমা কি আজকের এই পোষ্টে এবার জীবন বীমা কি সংক্রান্ত অধিক জিজ্ঞেসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
জীবন বীমা সম্পর্কিত FAQS
আসল বীমা দুই প্রকার। ১) জীবন বীমা। ২) সাধারণ বীমা।
সাধারণত ছয় ধরনের বীমা থাকে। উপরের পোস্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন।
দেশে সরকারি বীমা কোম্পানি আছে মোট দুইটি। এই দুইতিতে শতভাগ নিরাপদে বীমা করতে পারেন।
সরকারি দুইটি বীমা প্রতিষ্ঠানের নাম, ১) জীবন বীমা কর্পোরেশন। ২) সাধারণ বীমা কর্পোরেশন।
অবশ্যই উচিত। বিপদ কারোর বলে কয়ে আসে না। সুতরাং, জান-মালের ক্ষতি পুরনে বীমার কোনো বিকল্প নেই। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লেই বুঝতে পারবেন বীমা আসলেই উচিত কি না।
জীবন বীমা কি এসম্পর্কিত সর্বশেষ
আজকের পোষ্টে আমরা জীবন বীমা কি কত প্রকার ও কি কি এসম্পরকে জানতে পেরেছি। জানতে পেরেছি একটি বীমা একজন মানুষের জন্য কতটা জরুরি।
জানতে পেরেছি জীবন বীমা আসলে কিভাবে মানুষের সাহায্য করে।
এমনকি মৃত্যুর পরেও পরিবারকে সাহায্য করে আর্থিকভাবে।
আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর এই বিষয়ে আর কোনও অজানা কিছু থাকবেনা। এরপরে কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানান।
আমাদের প্রতিনিধি খুব তারাতারি আপনার কমেন্টের উত্তর দিবেন।
নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল পেতে আমাদের অয়েবসসাইত ভিজিট করুন।
15 thoughts on “জীবন বীমা কি । বীমা কত প্রকার ও কি কি”