চোখ উঠলে করনীয় । চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?

Last Updated on 12 months by Shaikh Mainul Islam

চোখ ওঠা রোগটির সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। যাকে ডাক্তারি ভাষায় কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। চোখ ওঠা সম্পর্কে কিছু বিষয়ে জানলেই ঘরে বসে এটি প্রতিকার কিংবা এড়িয়ে চলা সম্ভব। আর তাই আজকের পোষ্টে আমরা চোখ উঠলে করনীয় সম্পর্কে জানবো।চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?

আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই পোস্টটি এখন লিখছি। এখন আমার দুই চোখই কনজাংটিভাইটিস দ্বারা আক্রান্ত।এছাড়া আমার পরিবারের ৪ জন সদস্যের চোখ কনজাংটিভাইটিস দ্বারা আক্রান্ত। আমি যখন চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হই তখন আমি জানতে চেষ্টা করি, চোখ ওঠা কেন হয়? কি কি সতর্কতা অবলম্বন করলে চোখ ওঠা থেকে মুক্ত থাকা যাবে? চোখ উঠলে করণীয় কি? চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?

গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। তাই আজকে আমরা জানবো, চোখ ওঠা কি? চোখ উঠলে কি কি করা যাবে কি কি করা যাবে না, চোখ না ওঠার জন্য করণীয়, চোখ উঠলে করনীয় এবং প্রাথমিক অবস্থায় চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত।

চোখ ওঠা কি । কেন চোখ উঠে?

চোখের সাদা অংশ প্রচণ্ড লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে ওঠে,  চোখে ব্যথা, চোখ খসখস করে মনে হওয়া এবং চোখের মধ্যে কাটা ফুটছে এমন সমস্যা দেখা দিলে তাকে চোখ ওঠা বলা হয়ে থাকে। চোখ ওঠাকে ডাক্তারি ভাষায় কনজাংটিভাইটিস বলে। মূলত চোখের আবরনে প্রদাহ হয়ে থাকে।

গরমে এবং বর্ষার সময়ে অতিরিক্ত চোখ ওঠা সমস্যা দেখা হওয়ার প্রবনতা বেশি থাকে।

চোখ ওঠে প্রধানত ভাইরাস জনিত কারণে। এটি এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ তাই একজনের হলে খুব দ্রুত পরিবারের সবার মধ্যে ছরিয়ে পরে। এছাড়াও অতিরিক্ত এলার্জি জনিত সমস্যার কারণেও চোখ ওঠে।

মূলত তিন কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়ে থাকেঃ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং এলার্জি।

তবে ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার কারণে একজনের হলে আশপাশের সবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চোখ উঠলে কিভাবে বুঝবেন ? কিভাবে বুঝবেন আপনার চোখ উঠছে

চোখ ওঠার অন্যতম কারণ অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন করা। চোখ ওঠা রোগে চোখ প্রচণ্ড লাল হয়ে যায়। এমনটি হয় চোখের কনজাংটিভাইটিস রক্তনালীগুলো প্রদাহর কারণে ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ খুব বেড়ে যাওয়ার কারণে। ঘুম থেকে উঠলে চোখ আঠা আঠা লাগে এবং চোখ খুলতে কষ্ট হয়।

সবসময় মনে হয় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে। চোখে চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করতে থাকে। আলোর দিকে তাকালে মারাত্মক অস্বস্তি লাগে। সব কিছু ঘোলা ঘোলা দেখা যায়। চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে। চোখের কোনায় ময়লা (ক্যাতর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া সহ এই ধরনের সমস্যা চোখ ওঠার প্রধান প্রধান লক্ষণ।

চোখ উঠলে করণীয় কি । শিশুদের চোখ উঠলে করনীয়

চোখ উঠলে মনে হয় চোখের মধ্যে কিছু আছে কিংবা কাটা ফোটার মতো কাটা ফুটছে। এমনকি বাধাগ্রস্থ হয় স্বাভাবিক জীবনযাপন। তাই আমাদের জানতে হবে চোখ উঠলে করনীয় কি। চলুন জেনে নেওয়া যাক চোখ উঠলে করনীয় কি করতে হবে বা করণীয় কি।

১) সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি বার হাত ধুতে (পরিষ্কার) করতে হবে।

২) গোসল ব্যতিত চোখ একদমই ভেজা রাখা যাবে না। কোনো কারণে ভেজা থাকলে মসৃণ টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে।

৩) এক টিস্যু একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহার শেষে নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে।

৪) চোখ উঠলে ধুলাবালু, ধোঁয়া এবং নিজের অজান্তেই হাতের স্পর্শ থেকে এবং আলোর অসস্তি থেকে  রক্ষা করতে চশমা ব্যবহার করুন।

ভাইরাস জনিত হোক, এলার্জি হোক কিংবা ছোঁয়াচে  ভাবে চোখ ওঠা রোগ হোক চোখ উঠলে অসহ্য যন্ত্রনা হয়। 

৫) যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ (পোষ্টের শেষ অংশে আলোচনা করা হয়েছে) ব্যবহারের আগে চোখ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এছাড়াও পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। ধুলাবালি, ময়লা থেকে দূরে থাকতে হবে। চোখের অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সাধারণত কিছুদিনের মধ্যে চোখ ওঠা ভালো হয়ে যায়।

চোখ উঠলে কি কি করা যাবে না?

চোখ উঠলে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য চোখ ওঠা ব্যক্তিকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে মেনে চলতে হবে। একজন চোখ ওঠা রোগীর কি কি করা যাবে না তা অনেকেরই অজানা।

জেনে নেওয়া যাক চোখ উঠলে করনীয় কি বা কি কি করা যাবে না সে বিষয়ে বিস্তারিত।

১) চোখ ওঠা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য প্রসাধনী এবং কাপড়চোপড় অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।

একই রকম অন্য কারোর জামা কাপর বা নিত্য ব্যবহার্য জিনিস আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যবহার করবে না।

২) হাত বা কাপর দিয়ে চোখ রগড়ানো বা ঘসা যাবে না। অন্যের ব্যবহার করা চোখের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না।

৩) অন্যের চোখ উঠলে তার ড্রপ কেউ ব্যবহার করলে তারও চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।

৪) অতিরিক্ত এলার্জি জনিত কারণে চোখ উঠলে আক্রান্ত ব্যক্তির যেসব খাবারে এলার্জি সেই সব খাবার খাওয়া বন্ধ রাখে হব।

একই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এলার্জির অসুধ খেতে হবে।

৫) এর বাহিরে কোনো সমস্যা হলে অতি সত্যর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস থেকে রক্ষা পেতে করণীয় কি?

কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা একটি মারাত্মক অসহ্যনীয় রোগ। এতে ডাক্তার দেখানোর খুব একটা দরকার না হলেও  দুটি চোখই চোখ ওঠায় আক্রান্ত হলে কষ্টের বুঝি শেষ নেই।বিশেষ করে যখন মনে হয় চোখের মধ্যে কিছু আছে কিংবা ভিতরে কাটা ফুটছে।

এবং সকালে ঘুম থেকে অথার পরে চোখ আঁটকে যাওয়া। চোখ খুলতে কষ্ট হওয়া।

চোখ খুলতে না পারার কারণ, চোখের মধ্যে অতিরিক্ত ময়লা (যা ক্যাতর নামে পরিচিত) চোখের পাতাকে চোখের সাথে টেনে ধরে।

এক কোথায় এর থেকে যন্ত্রণাময় রোগ খুব কমই আছে। তবে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রেখে চললে এই রোগ থেকে অনেকটা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে থেকে আয় করুন খুব সহজে

অবশ্য এটি ছোঁয়াচে রোগ বলে আশপাশের কেউ আকান্ত হলে সেফ থাকা একটু কঠিন।

তবুও যতটুকু সম্ভব সেফ থাকা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক চোখ ওঠা থেকে রক্ষা পেতে করণীয় কি?

চোখ ওঠা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে

১) সবসময় চোখের যত্ন নিতে হবে।

২) অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন অগোছালো, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা যাবে না।

৩) ধুলাবালি, অতিরিক্ত রোদ কিংবা দীর্ঘক্ষণ এমন কিছু দেখা যাতে চোখে প্রেসার পরে এমন কাজের সময়ে চশমা ব্যবহার করা।

৪) গোসল ছাড়াও সারাদিনে কয়েকবার পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করে চোখে পানির ঝাঁপটা দিয়ে পরিষ্কার করা। (চোখ উঠলে গোসল ব্যতীত পানি দেওয়া যাবে না)।

৫) চোখে ময়লা হাত না দেওয়া।

আরও পড়ুনঃ পান খাওয়ার উপকারিতে ও অপকারিতা

৬) অতিরিক্ত এলার্জি থাকলে এলার্জির ঔষধ সেবন করা। এবং এলার্জি হয় এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করা।

৭) চোখ ওঠায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না যাওয়া। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।

৮) চোখ ওঠা ব্যক্তির ব্যবহার্য কোনো জিনিস ব্যবহার না করা।

৯)  যার তার বিছানা না শোয়া, এবং নিজের বিছানা কিংবা নিজের বেডরুমে সবাইকে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

এছাড়া আপনি যদি চোখ ওঠা রোগে ২ সপ্তাহের বেশি আক্রান্ত থাকেন তাহলে অতি শিগগিরি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

এবার জেনে নেওয়া যাক প্রাথমিক অবস্থায় চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?

চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?

চোখ ওঠা খুব বড় রকমের কোনো রোগ নয়। চোখ উঠলে প্রাথমিক অবস্থায় ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয় না। এটি সাধারণত সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে আপনাআপনি সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যায়। তবে জ্বালা যন্ত্রণা এবং অসহ্যনীয় কষ্ট থাকে চোখ ওঠার পরপর ২ থেকে ৪ দিন।

আরও পড়ুনঃ বেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

তবে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা রোগ সম্পূর্ণ না কমলে বুঝতে হবে আপনার চোখ ওঠা রোগ দ্বিতীয় ধাপে চলে গিয়েছে। তখন আর দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

তবে প্রাথমিক অবস্থায় যদি আপনি একটি ড্রপ ব্যবহার করেন তাহলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোনো দরকার হবে না।

চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সকল চিকিৎসক পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, চোখ ওঠার প্রাথমিক অবস্থায় ছয় ঘণ্টা পর পর দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে।

আরও পরুঃ স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত সতর্কতা

এর কারণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা কমানোর উপায়

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায় এতে কোনো সমস্যা হবে নাহ। এছাড়া চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কারণ নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার চোখ ওঠার কারণ এলার্জি নাকি ভাইরাস।

চোখ উঠলে কি দোয়া পড়তে হয়? । চোখ উঠলে যে দোয়া পড়বেন

হ্যাঁ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় গ্রহন্থ আল কোরআনে আছে সকল রোগের সকল সমস্যার সমাধান। যেখানে সুরা ক্বফ এর ২২ নাম্বার আয়াতে চোখ ওঠা কিংবা যেকোনো কারণে চোখের ব্যাথা অনুভব হলে যে দোয়া পড়তে হয় সেটি দেওয়া আছে।

                                                                    لَقَدْ كُنتَ  فِي  غَفْلَةٍ مِّنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ

বাংলা উচ্চারণঃ লাক্বদ কুংনতা ফি গফলাতিম মিন হাজা ফাকা শাফনা আংনকা গিত্বাআকা ফাবাচারুকাল ইয়াওমা হাদিদ। (সুরা ক্বফ – আয়াত ২২)

আরও পড়ুনঃ কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা

যে ব্যক্তির প্রত্যেক নামাজ শেষে সুরা ক্বফ এর এই আয়াতটি ৩ বার পাঠ করবে তার চোখের সকল ব্যাথা খুব তারাতারি দূর হয়ে যাবে।

শুধু চোখ উঠলেই না বরং যেকোনো রোগ থেকে মুক্তির জন্য আরও একটি দোয়া পাঠ করা যেতে পারে।

                                                 َاللّهمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِيْ اللَّهمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِيْ  اللَّهمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا  إلهَ إلَّا أنْت

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ-ফি-নি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফি-নি ফি সা-ম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফি-নি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।

দোয়ার অর্থঃ হে মহান আল্লাহ তায়ালা, আমার দেহ আপনি সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ তায়ালা, আমাকে আপনি সুস্থ রাখুন, সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ তায়ালা আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টি শক্তিতে। আপনি ছাড়া আমার আর কোনো উপাস্য নাই।

নোটঃ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বড়রা দোয়াটি পড়ে বাচ্চাদের চোখে ফু দিয়ে দিলে ফল মিলবে ইনশা আল্লাহ্‌।

চোখ উঠলে করনীয় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর । FAQS

চোখ উঠলে কি ড্রপ দিতে হয়?

উত্তরঃ চোখ উঠলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।চক্ষু চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে,

ভাইরাস জনিত সমস্যার কারণে চক্ষু উঠলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করলেই চোখ দ্রুত সেরে ওঠে।

শিশুদের চোখ উঠলে করনীয় কি? । চোখ উঠলে চোখের ড্রপ দেওয়া ভালো নাকি দেওয়া উচিত না?

উত্তরঃ চোখ উঠলে প্রাঠমিক অবস্থায় কিছু ব্যবহার না করলেও সমস্যা নেই। তবে চোখ ওঠা সেরে উঠতে বেশি সময় লাগে এবং বেশি জ্বালাপোড়া করলে  অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ড্রপ ব্যবহার করা যায়। এতে চোখের বা শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে ২৮ দিনের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চোখে যেকোনো ড্রপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি?

উত্তরঃ বাচ্চাদের চোখ উঠলে প্রাথমিক ভাবে উপরর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। এরপরে না কমলে শিগগিরি চক্ষু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ বাচ্চাদের চাইলেই যেকোনো ড্রপ ব্যবহার করা যায় না। কারণ এতে ভালোর পরিবর্তে খারাপই বেশি হয়।

চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা কি?

উত্তরঃ চোখ উঠলে সাধারণত ঘরোয়া চিকিৎসাতেই ঠিক হয়ে যায়। ঘরোয়া চিকিৎসার অন্যতম হচ্ছে বার বার চোখে পানি লাগানো যাবে না।

অনেকে মনে করে চোখে পানির ঝাঁপটা দিলে ঠিক হয়ে যাবে বা ভালো লাগবে।

কিন্তু অতিরিক্ত পানির ঝাঁপটা দিলে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়।

চোখ উঠলে কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?

উত্তরঃ চোখ উঠে ব্যক্তির দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হয়ে দীর্ঘক্ষণ থাকলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এছাড়া ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

চোখ ওঠা নিয়ে বিবিসির একটি প্রতিবেদন দেখুন বাংলাতে। দেখতে এখানে ক্লিক করুনঃ চোখ ওঠার নিয়ে বিস্তারিত এক ভিডিওতে দেখুন।

চোখ উঠলে করনীয় সম্পর্কে সর্বশেষ

আজকের পোষ্টে আমরা জেনেছি চোখ উঠলে করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

জেনেছি চোখ উঠলে কোন দোয়া পড়তে হয়। জেনেছি বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি সে বিষয়ে বিস্তারিত।

এছাড়া আজকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জেনেছি তা হচ্ছে, চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন তার নাম।

আশা করছি চোখ উঠা বা কনজাংটিভিটি সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য জানাতে পেরেছি।

চোখ ওঠা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এটি মারাত্মক রকম একটি ছোঁয়াচয়ে রোগ। তাই একজনের হলে মুহূর্তেই ছরিয়ে পরে।

সাবধানতা অবলম্বন এবং কিছু বিষয়ে মেনে চললে চোখ ওঠা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আশা করছি চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

চোখ ওঠা নিয়ে আর কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর দিবো।

আমাদের সকল বিষয়ের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ DK POST এ।

3 thoughts on “চোখ উঠলে করনীয় । চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন?”

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.