Last Updated on 12 months by Shaikh Mainul Islam
প্রিয় পাঠক, স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের আজকের পোস্ট “কোরবানি কাদের উপর ফরজ এবং কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে” এ। এই পোষ্টটি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কোরবানি দেওয়া একান্ত জরুরি তবে ফরজ নয়। কারণ, কোরবানি কোনো ফরজ ইবাদত না বরং কোরবানি একটি ওয়াজিব ইবাদত।
আজকের পোষ্টে আমরা জানবো কোরবানি কাদের উপর ফরজ তথা কাদের উপর কোরবানি করা জরুরি বা আবশ্যক, এবং কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে, কোরবানি কদেওয়ার জন্য যথেস্ত টাকা থাকার পরেও কার কার কোরবানি না দিলে পাপ হবে না এবং ঋণ গ্রস্ত থাকলে কোরবানি দিলে তা হবে কি না এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।
কোরবানি কাদের উপর ফরজ/ ওয়াজিব
প্রথমেই বলে রাখছি কোরবানি কোনো ফরজ ইবাদত নয়। নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হলে তার উপরে কোরবানি করা ওয়াজিব হিসেবে বিবেচিত হয়।
এবার তাহলে চলুন কোরবানি কাদের উপর ওয়াজিব রবং কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি করা আবশ্যক।
কোরবানির নিসাব হচ্ছে জাকাতের নিসাব পরিমাণ।
অর্থাৎ জাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে জাকাত দেওয়ার আবশ্যকতা আছে সেই একি পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায়।
সেই হিসাবে ৫৯৫ গ্রাম বা ৫২.৫ ভরি রুপার বাজার মূল্য যত টাকা ঠিক সেই পরিমাণ সম্পদ বা নগদ টাকার মালিক হলে সেই ব্যক্তির উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির দোয়া । কোরবানি সম্পর্কে হাদিস
এখন ৫৯৫ গ্রাম রুপার বর্তমান বাজার কত তা আপনি আপনার নিকটস্থ বাজার থেকে জেনে নিতে পারবেন।
তবে সাধারণত এই দাম ৬০ থেকে ৬৫ হাজারের কাছাকাছি হবে। তবে সঠিক ভাবে জেনে নিন।
তবে, কোরবানি ফরজ কোনো ইবাদত নয় তাই কোন ব্যক্তির সম্পদ থাকার পরেও যদি কোনো বিশেষ কারণে কোরবানি না করলে অসুবিধা নেই। এটি দেশ এবং বিদেশের বিশেষ আলেমদের মতামত।
আরও পড়ুনঃ আকিকা দেওয়ার নিয়ম । আকিকা সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে নিন
জিলহজ মাসের দশ তারিখ আল্লাহর নিকট কোরবানি করার চেয়ে আর কোন উত্তম ইবাদত হতে পারে না, তাই সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করা ওয়াজিব।
আশা করছি ইতিমধ্যে আমরা কোরবানি কাদের উপর ফরজ বা ওয়াজিব তা জেনেছি।
আরও সহজ ভাবে বললে বলা যায় যে, কোরবানির দিন মুসাফির না এবং নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক তাদের সকলের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে?
পরিবার বা ব্যক্তির প্রয়োজনের অতিরিক্ত যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তথা ৫২.৫ ভরি রুপার সমান মূল্য টাকা বা সম্পদ যদি আপনার থাকে তাহলেই আপনার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
বিশেষ করে কোরবানির দিন নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে কোরবানি করা একান্ত জরুরি। আশা করছি বুঝতে পারছেন।
এবার কার উপর বা কে কে কোরবানি দিবেন না দিবেন এ সংক্রান্ত অধিক জিজ্ঞেসিত কিছু প্রশ্ন উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
কোরবানি নিয়ে প্রশ্ন উত্তর
প্রঃ ব্যাংকে ঋণ থাকলে কোরবানি করতে হবে?
= ব্যাংক ঋণ থাকার পরেও যদি হাতে নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে অবশ্যই কোরবানি করা ওয়াজিব এবং কোরবানি দেওয়া উচিত।
তবে, কোরবানির দিন যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ হাতে না থাকে তাহলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব না।
প্রঃ কোরবানি কি ফরজ ইবাদত?
= না। কোরবানি নিসাব সম্পদ অনুযায়ী ওয়াজিব ইবাদত।
প্রঃ নাবালেক সন্তানের জন্য কি বাবা মায়ের পক্ষ থেকে কোরবানি করতে হবে?
= না। তবে বাবা মা চাইলে তাদের নাবালেক সন্তানদের নামে নিজেরা কোরবানি করতে পারবেন।
এছাড়াও কোরবানি সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন উত্তর জানতে আমাদের কোরবানি নিয়ে প্রশ্ন উত্তর পোষ্টটি পড়ুন।
কোরবানি সম্পর্কিত সকল প্রশ্ন উত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
কোরবানি কাদের উপর ফরজ নিয়ে সর্বশেষ
প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টে আমরা কোরবানি কাদের উপর ফরজ এবং কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে তা জানতে পেরেছি।
আশ করছি, এই বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। এরপরেও আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।
এছাড়াও কোরবানি এবং ইসলাম সম্পর্কিত আমাদের অন্যান্য সকল পোস্ট পড়তে ইসলাম ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।
নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
4 thoughts on “কোরবানি কাদের উপর ফরজ । কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে”