উদ্যোক্তার গুনাবলি কি কি হওয়া উচিত

বর্তমান সময়ে মানুষের চিন্তা ধারা অনেকটা বদলাতে শুরু করেছে। মানুষ চাকরীর পিছনে না ছুটে নিজে উদ্যোক্তা হতে শুরু করেছে। উচ্চশিক্ষিত হলেই যে চাকরী করতে হবে বিষয়টা একদমই এমনটা না। এটা প্রমান হতে ধুরু করছে আমাদের দেশেও। অনেকেই নিজেকে উদ্যোক্তা করার জন্য জানতে চান উদ্যোক্তার গুনাবলি কি কি হওয়া উচিত।

আগামীর দিনগুলোতে উদ্যোক্তারা প্রতিনিধিত্ব করবে গোঁটা বিশ্ব। ইতিমধ্যে যদি আপনি খোঁজ রাখবেন কিভাবে গোঁটা বিশ্ব কিভাবে চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উদ্যোক্তারা। বড় বড় গুরপ অব কোম্পানির মালিকেরা একদিন ছোট করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন। মনে রাখতে হবে একদিনে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। দরকার অসাধারণ কিছু গুনাবলির। 

আজকে আমরা জানবো, উদ্যোক্তার গুনাবলি সমূহ কি কি, জানবো উদ্যোক্তা মানে কি, উদ্যোক্তা কাকে বলে, উদ্যোক্তা হতে হলে কি করবেন, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র কি, উদ্যোক্তার গুনাবলি কি হওয়া উচিত, নিজেকে কিভাবে উদ্যোক্তা বানানো যায়, উদ্যোক্তা কাকে বলে, নারী উদ্যোক্তা কি এবং কাদের নারী উদ্যোক্তা বলা হয়।

উদ্যোক্তা কাকে বলে

কোনও ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থান বা কাজের কথা চিন্তা করে চাকরী বা কারো অধিনে না থেকে নিজ থেকে কোনো ব্যবসা বা পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের কর্মসংস্থান সহ অন্য মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করার মতো বড় কিছু করে ফেলে তখন সেটাকে উদ্যোক্তা বলা হয়।

আরও সহজ ভাবে বললে, কোনো ব্যক্তি পড়াশোনা করছে, বা সংসারের হাল বহন করছে। সে চাইলেই উদ্যোক্তা হয়ে যেতে পারে। আবার উচ্চশিক্ষিত হয়ে চাকরী ই করতে হবে এমন আশা না করে  ভালো কোনো ব্যবসা বা আইডিয়া দিয়ে নিজেকে নতুন রুপে সৃষ্টি করা যায়।

উদ্যোক্তা কাউকে কেউ তৈরি করে দিতে পারে না। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকেই নিজে তৈরি হতে হয়।

আজকে আমরা জানবো উদ্যোক্তার গুনাবলি সম্পর্কে।

উদ্যোক্তার গুনাবলি সম্পর্কে Management System International (MSI)-এর গবেষক David Mc. Lelland -র নেতৃতে এক দল গবেষক বিশ্বব্যাপী ব্যাপক গবেষনায় জানতে পেরেছে যে মোট ১০ টি প্রধান বৈশিষ্ট কোন ব্যক্তিকে সফল উদ্যোক্তা হতে সর্বাধিক সহায়তা করে থাকে।

একজন উদ্যোক্তার যে গুনাবলি থাকা থাকা উচিত

কি সেই ১০ টি গুনাবলি যা একজন পারফেক্ট উদ্যোক্তা হতেসর্বাধিক সাহায্য করে থাকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সফল উদ্যোক্তা হতে উদ্যোক্তার গুনাবলি সম্পর্কে।

১) সুযোগ সন্ধানঃ ব্যবসায়ীক কাজে যখন সৎ উপায়ে অর্জন করার মতো কিছু সুযোগ আসবে অবশ্যই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ  ভাবে আর্থিক সংস্থান, যন্ত্রপাতি, জমি, কর্মসংস্থান বা অন্যান্য সাহায্য লাভের জন্য লক্ষ্যনীয় সুযোগ গুলি ব্যবহার করার গুন থাকতে হবে।

২) অধ্যবসায় করা: যে কোন বাঁধা দূর করা অথবা যে কোন চ্যালেঞ্জ শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে বার বার পদক্ষেপ নেয়া।

লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কোনো বিকল্প পথ সন্ধান করে হলেও লক্ষ্য অনুযায়ী জায়গায় পৌঁছানো।

৩) নিজ কাজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা: গ্রাহকদের জন্য কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে উদ্ভুত সমস্যাবলীর সকল দায়িত্ব নেয়া।

শ্রমিকদের সাথে কাজে লেগে থাকা এবং তাদের মাধ্যমে কাজগুলি করিয়ে নেয়া যাতে গ্রাহকগণ আপনার দেওয়া সার্ভিসে সর্বদা সন্তুুষ্ট থাকেন।

৪) গুনগতমান ও দক্ষতার চাহিদা পূরণ করাঃ উন্নত, দ্রুত ও সস্তায় পন্য সরবরাহের জন্য পথ খুজে বের করা উচিত।

অতীতের সকল উৎকর্ষতাকে হার মানিয়ে নতুন এবং সবচাইতে ভালো ক্রেতা যে রকম চায় সেই রকম ভাবে পন্য তৈরীর চেষ্টা থাকতে হবে।

৫) ঝুঁকি গ্রহন করতে পাড়াঃ ঝুঁকি গ্রহন করার মনোভাব অবশ্যই একজন উদ্যোক্তার মধ্যে থাকতে হবে।

একজন সফল উদ্যোক্তার নিজের মত অনুযায়ী সহনীয় বা পরিমিত ঝুঁকি গ্রহন করতে জানতে হবে।

৬) তথ্য অনুসন্ধান করতে পারাঃ ব্যক্তিগতভাবে গ্রাহক, সরবরাহকারী ও প্রতিযোগী সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান করার মতো মানসিক সামর্থ্য রাখা।

তথ্য সংগ্রহের জন্য নিজের এবং ব্যবসায়িক বিভিন্ন ব্যক্তি বা নেটওয়ার্ক কাজে লাগানোর উপায় আসতে আসতে তৈরি করতে পাড়া। 

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা কমানোর উপায়

উদ্যোক্তা হতে করণীয়

৭) লক্ষ্য নির্ধারন করতে পারাঃ সিদ্ধান্ত হীনতা এড়িয়ে চলতে পাড়া।

ও দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারন  করতে পারা ।

একজন সফল উদ্যোক্তা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে স্বল্প স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা করে থাকে।

৮) সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিচালনা করার সামর্থ্য রাখাঃ একজন উদ্যোক্তা তার লক্ষে পৌছানোর জন্য বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা করা এবং ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়িত করারজন্ন সুস্থ পরিকল্পনা পরিচালনা করতে পারে।

বড় কোন কাজকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কাজটি করে থাকে।

এতে ভুল কম হয়, কাজটি সুন্দর হয়। খুব অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।

৯) উদ্বুদ্ধকরণ এবং সম্পর্কস্থাপন করতে পরাঃ  অন্যকে অনুপ্রাণিত বা প্রভাবিত করতে সঠিক কৌশল ঠিক করে প্রয়োগ করতে পারতে হবে একজন উদ্যোক্তার গুনাবলি এটি।

নিজের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত যোগসূত্রসমূহ ব্যবহার করার কৌশল জানতে হবে।

কম পড়াশোনা করেও ভালো ফলাফলের কার্যকরী উপায়

১০) আত্মবিশ্বাস রাখাঃ নিজের ক্ষমতা ও যাবতীয় গুনাবলীর উপর শক্ত বিশ্বাস রাখতে জানতে হবে।

কোন কঠিন কাজ বা চ্যালেন্জ মোকাবিলা করার জন্য নিজের ক্ষমতার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারতে হবে।

আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান উপরের এই ১০ টি বিষয় অবশ্যই আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে।

উদ্যোক্তা হতে যেকোনো বিষয়ে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য।

আমাদের লেখা বিভিন্ন বিষয়ের ব্লগগুলি পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের

Facebook Page – DK POST  ।  Facebook Group – DK POST  ।  Telegram Channel  – DK POST

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.