Last Updated on 1 year by Shaikh Mainul Islam
প্রিয় পাঠক, স্বাগত আমাদের অনলাইন ইনকাম ক্যাটাগরির আজকের পোস্ট “ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ” এই ব্লগে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করবেন বা শুরু করছেন বা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চাচ্ছেন তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য।
দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করেও যখন যুবক যুবতীরা চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে ঘুরছেন ঠিক সেই সময়ে যেন ফ্রিল্যান্সিং দেশের যুবক যুবতিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন । কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
কারণ, এখন এমন হাজারো তরুণ তরুণী আছে যারা ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার যা বাংলাদেশী তাকায় লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। এবং এটি করছে তারা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।
তাই, আজকের পোষ্টে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানবো।
জানবো, ফ্রিল্যান্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে, ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশী টাকা আয় করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিস্তারিত।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী না হন তবুও আপনাকে পোস্টটি একবার পড়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
এরপরে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন কি না। চলুন তাহলে আজকের মূল পোষ্টে চলে যাওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং কি । ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে ?
ফ্রিল্যান্সিং শব্দের আভিধানিক অর্থ মুক্ত পেশা। অর্থাৎ আপনার খুশি মতো সময়ে আপনি ঘরে বসে নির্দিষ্ট একটি কাজ করলেন।
অনলাইনের কল্যাণে এখন দেশের লাখ লাখ যুবক ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করছে।
অনলাইনে বেশ কিছু মার্কেট প্লেস আছে। এই মার্কেট প্লেসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেন অনলাইনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় । গুগল এডসেন্স একাউন্ট
আর এই কাজগুলি করে দেন এইসব ফ্রিল্যান্সার রা। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা টাকা পেয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকায় একজন ফ্রিল্যান্সার যেকোনো এক বা একাধিক বিষয়ে আগ্রহ অনুযায়ী স্কিল অর্জন করেই ঘরে বসে একটি ল্যাপটপ/ কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের বায়ারের (যিনি মার্কেট প্লেসে কাজ দেন) কাজ করে দিতে পারেন।
আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে, একটি মার্কেট প্লেসে কেউ একটি কাজ পেলো, সেই কাজটি করে দেওয়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট একটি টাকা ঐ কাজের চার্জ বা বেতন হিসেবে তাকে দেওয়া হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কিছু কারণ আছে।
যেসব কারণে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং কে সবাই পেশা হিসেবে নিচ্ছে এবং এই কাজটি এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেসব কারণ হচ্ছেঃ
- ঘরে বসে নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজ করা যায়।
- বেশী কাজে বেশী টাকা।
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের টাকার হিসাব করা হয় ডলারে। আর এক ডলার সমান বাংলাদেশী ১০০ টাকার বেশী। এর ফলে অনেক বেশী টাকা আয় করা যায় বাংলাদেশী টাকায়।
- চাকরির মতো সকাল থেকে সন্ধ্যা হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় না।
- সারাক্ষণ পরিবারের সাথে থাকা যায়। জীবনকে উদযাপন করা যায়।
- আরও অনেক কারণ আছে, যার জন্য বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
দেশে চাকরির বাজার যত ছোট হয়ে আসছে যুবক যুবতীরা তত বেশী অনলাইনের দিকে এগিয়ে এসে কোনও একটি কাজের স্কিল অর্জন করে ঢুকে পরছে ফ্রিল্যান্সিং এর মতো মহান পেশায়।
দেশে বসেই নিয়ে আসছে হাজার হাজার বৈদেশিক ডলার। এতক্ষণে নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে তা বুঝতে পারছেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ । ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার
প্রিয় পাঠক, অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে জানতে চান যে, ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে।

“ফ্রিল্যান্সিং শিখুন, স্মার্ট জীবন গড়ুন”
চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের প্রকারভেদ সম্পর্কে।
নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কত প্রকার তা। এর কারণ, মোটামুটি লাখ খানেকের বেশী কাজ আছে ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে।
এত এত কাজ যে একজন মানুষের দ্বারা এত কাজ জানা একপ্রকার অসম্ভব।
অতি পরিচিত এবং মোটামুটি কম পরিশ্রমে ভালো টাকা আয় করার মতো হাজারো কাজ আছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে কাজের জনপ্রিয়তা যত বেশী ঐ কাজ মার্কেট প্লেসে পাওয়া তত কঠিন।
কারণ, দেখুন যে কাজটি শেখা সহজ এবং টাকাও আয় করা যায় সেই কাজটি প্রায় সবাই শিখছে।
এই কাজটি সবাই শেখার ফলে এই কাজের জন্য এই সবগুলো মানুষ মার্কেট প্লেসে যাবে। তবে এটা একদমই চিন্তার কারণ না বললেই চলে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2023 । ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সকল তথ্য
অন্যদিকে একটু হার্ড বা কঠিন কাজগুলো তুলনামুলক কম মানুষ করে থাকে। এবং এদের কম কাজ করে টাকা বেশী।
অনেক সময় দেখা যায় যে, একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে শেষ করতে পারে না।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে অতি পরিচিত অন্যতম কিছু কাজ হচ্ছেঃ
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
- ডিজিটাল মার্কেটিং।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন।
- প্রোগ্রামিং।
- ব্লগ বা আর্টিকেল রাইটিং।
- এসইও।
- ডেটা এন্ট্রি।
- টাইপিং (ছবি দেখে কিংবা অডিও শুনে টাইপ করে দেওয়া)।
- ভার্চুলাল এসিস্ট্যান্ট সহ হাজারো কাজ।
উপরের কাজগুলির প্রত্যেকটি কাজ খুবই জনপ্রিয় এবং অনেকে এই কাজগুলি করে ৫ থেকে ১০ লাখ বা তারও বেশী টাকা আয় করছে প্রতি মাসে। তবে প্রথমে আপনাকে টাকা আয়ের চিন্তা করলে হবে না।
এই কাজগুলি ছারাও হাজার হাজার কাজ আছে যা আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে করতে পারেন।
আর এই সব কাজ করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে খুব ভালো ভাবে কাজ শিখে স্কিল অর্জন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে
ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে অবশ্যই জানতে হবে যে, একটি নির্দিষ্ট স্কিল অর্জন শেষে মার্কেট প্লেসে একাউন্ট খুলে কাজের নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করতে হবে।
এবং ঐ কাজের সাথে সম্পর্কিত সবগুলি ছোট খাটো কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে শিখে নিতে হবে।
এর কারণ, একজন বায়ার শুধু মাত্র একটি কাজ খুব কম দেয়। ধরেন, আপনাকে একটি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ দিলো।
কিন্তু আপনি এসইও পারেন না। তাহলে আপনি কাজটি হারাবেন। কারণ, কন্টেন্ট প্রকাশের পর গুগলে বা কোথাও টা র্যাঙ্ক হয় এসইও এর মাধ্যমে।
আরও পড়ুনঃ ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ? ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
তাই আপনাকে মেইন একটি কাজ শিখে পরবর্তীতে সবগুলো কাজ যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব শিখে নিতে হবে।
আশা করছি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কত প্রকার এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এবং ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
আমাদের আজকের পোষ্টের মূল বিষয় ছিলও ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এ সেই বিষয়।
কিন্তু এতক্ষণ আমরা যা জেনেছি একজন নতুন কেউ যে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন এমন কারোর জন্য এই বিষয়গুলো জানা অনেক জরুরি।
এবার চলুন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেখুন, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই খুব ভালো একটি বিষয়কে বেছে নিতে হবে কাজ করার জন্য।
এবং সেই বিষয়ে স্কিল অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি, ঐ কাজের সাথে সম্পর্কিত আরও বেশ কিছু কাজ শিখতে হবে। এজন্য আপনাকে কাজ শুরু করে পাশাপাশি কাজ শেখা চলমান হবে। মনে রাখবেন শেখার কোনও শেষ নেই।
এই কাজ শেখাকেই মূলত অনেকে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বলে জানতে চেয়ে থাকেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার কোনও বিষয় নয়, ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি কোন কাজটি করবেন সেই কাজটি এবং সেই কাজের সাথে সম্পৃক্ত কাজগুলি শিখতে হবে।
এজন্য প্রথমে আপনি ইউটিউব এবং গুগলে সার্চ করে কোন কাজটি আপনার খুব পছন্দ হবে সেই কাজটি করার জন্য নিজেকে স্থির করুন।
এবার সেই কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস আপনার আছে কি না দেখুন।
যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং এর জন্য খুব ভালো মানের ডিভাইসের দরকার হয়। ডিভাইস নিশ্চিত করুন।
এখন আপনি, প্রথমে ইউটিউবে ফ্রি ভিডিও দেখে দেখে কাজটি শিখুন। এক্ষেত্রে আপনি শতভাগ শিখতে পারবেন না।
কিন্তু তবুও যদি আর্থিক সমস্যা থাকে এভাবে শিখুন। পাশাপাশি ফেসবুকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপ আছে যেখানে বিভিন্ন সেবা পাওয়া যায় পোস্ট করে। সেখনে যুক্ত থাকুন।
ইউটিউব দেখে কাজ সম্পর্কে মোটামুটি পুরোটা আয়ত্ত করার পর একটি কোর্স কেনার চেষ্টা করুন। তবে কিছু কাজ আছে যার জন্য কোনও কোর্সের প্রয়জন হয় না।
যেমন, কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি। এর শতভাগ আপনি ইউটিউব থেকে দেখে দেখে এবং নিজে রিসার্চ করে শিখতে পারবেন।
আপনি যদি প্রোগ্রামিং বা কোডিং সম্পর্কিত কোনও কাজ শিখেন তাহলে ভিডিও দেখে শিখলেও একটি কোর্স করতে হবে। তবে, কোর্স করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কোর্স মেন্টর দেখে কোর্স কিনবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিশেষ কিছু বিষয়
ফ্রিল্যান্সিং শেখার মূল বিষয় হচ্ছে, নিজের শেখার এবং জানার আগ্রহ থাকতে হবে। তাহলে নিজের অজানতে আপনি নিজেই শেখার জন্য যেসব মাধ্যম দরকার তা বের করে নিবেন।
এই বিষয়ে ইউটিউবে বা গুগলে হাজারো ব্লগ বা ভিডিও পাবেন।
বেশ কয়েকজন ভালো কোর্স করিয়ে থাকে।
এদের মধ্যে, Mohammad Zahidur Rahman, জাহিদ সবুর, ঝংকার মাহবুব এদের কোর্স গুলো অসম্ভব সুন্দর।
এবং এদের কমিউনিটি অনেক বড়। যেকোনো সমস্যায় তাদের গ্রুপগুলোতে পোস্ট করলেই সমাধান পাওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক, ফ্রিল্যান্সিং থেকে অনেক বেশী টাকা আয় করা যায় এই বিষয়ে অনেকে জানেন।
কিন্তু, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো শেখা থেকে শুরু করে মার্কেট প্লেসে কাজ পাওয়া শুরু হওয়া পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে কতগুলো পথ পেড়োতে হয় তা জানেন না।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং এই কাজ এর জন্য কিছু গুনাবলি আপনার মধ্যে থাকা অবশ্যই উচিত সেসব বিসয়গুলি হচ্ছেঃ
- ধারাবাহিকতা। কাজ শেখা এবং কাজ করার ধারবাহিকতা রাখতে হবে।
- কাজ শেখার জন্য সময় দেওয়া। অন্তত ছয় থেকে ১ বছর পর্যন্ত কাজ ভেদে লাগতে পারে।
- কাজ শেকার মধ্যেই টাকা ইনকামের চিন্তা না করা।
- ধৈর্য ধরে প্রতিদিন সময় দেওয়া।
- হতাশ না হয়ে নিয়মিত কাজ শিখতে থাকা।
আপনার হাতে যদি ৬ মাস থেকে ১ বছর যময় না থাকে কাজ শেখার জন্য তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্ভব না।
তাই আপনাকে অবশ্যই মিনিমাম একটি সময় হতে পারে তা২ মাস কিংবা ৬ মাস কিংবা ১ বছর।
এই সময়টুকু দেওয়ার মতো সময় আপনার দিতেই হবে।
কারণ কাজ না না শিখলে কাজ পারবেন না। আর কাজ করে দিতে না পারলে নিশ্চয়ই কেউ ই আপনাকে টাকা দিবে না।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে যা দরকার । ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে সম্পৃক্ত যেকোনো মানসম্মত কাজ করার কিংবা শেখার জন্য অনেকগুলি বিষয় অত্যন্ত দরকার। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2023 এই বিষয়ে জানার পরে এগুলিও জানা আবশ্যক।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা করার জন্য কি কি দরকার।
- ধৈর্য।
- ধারাবাহিকতা।
- ব্যাসিক ল্যাপটপ/কম্পিউটার ব্যবহার জানা।
- ব্যাসিক ইংরেজি। কাজ করার সময়ে ইংরেজিতে বলা এবং লিখতে পারা।
- শেখার প্রবল ইচ্ছা।
- রিসার্চ করার মানসিকতা।
- দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস। ( আসতে আসতে হয়ে যাবে)।
- কাজ অনুযায়ী যতটা সম্ভব ভালো মানের ল্যাপটপ/ কম্পিউটার।
- ভালো কোয়ালিটির ইন্টারনেট সংযোগ।
- কাজ করার মতো আলো বাতাস পূর্ণ ভালো একটি রুম বা ঘর।
- কাজ করার জন্য ভালো মানের একটি চেয়ার টেবিল। চেয়ার অত্যন্ত দরকার।(ব্যাক পেইন না হয় সেজন্য)
- পরিবারের মোটামুটি কম বেশী সাপোর্ট। (ঐচ্ছিক)।
আরও পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স একাউন্ট নিরাপদ রাখতে করনীয় । Google Adsense Account
দেখুন, যেকোনো বিষয়ের মতো ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টি এমন যে, শেখার প্রবল ইচ্ছা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
আপনার যদি শেখার প্রবল আগ্রহ বা লক্ষ্য থাকে আপনি শিখবেন- ই তাহলে আপনি নিশ্চয়ই পারবেন।
আশা করছি বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সে সম্পর্কে।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত FAQS
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে আমাদের যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ নির্ধারণ করে ঐ কাজের উপর স্কিল অর্জন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তার একটি পরিপূর্ণ গাইড লাইন এই পোষ্টে দেওয়া আছে।
Freelancing কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম থাকতে হবে শেখার এবং রিসার্চ করার প্রবল ইচ্ছা। থাকতে হবে ধৈর্য।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এই পোস্ট থেকে জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিসের প্রয়োজন হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এক টাকাও লাগে না। আবার লাগে। কারণ আপনি কোন বিষয়ে শিখবেন তার উপরে নির্ভর করে।
বর্তমানে ইউটিউব এবং গুগলে সব ধরনের বিষয়ের ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। যেখান থেকে আপনি সব বিষয়ে প্রায় শতভভাগ শিখতে পারেন।
তবে, কিছু কাজ শেখার জন্য আপনাকে কোর্স করতে হতে পারে।
যেমন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইত্যাদি। এক্ষেত্রে কোর্স মেন্টর হিসেবে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লেগে থাকে।
তবে, সঠিকভাবে সার্চ করতে জানলে সবই ফ্রিতে শেখা যায়। অন্যান্য প্রায় সকল কাজ ফ্রিতে ইউটিউব দেখে শিখতে পারবেন।
দেখুন, আপনি কোনও একটি বিষয় শিখতে আপনার কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনি প্রতিদিন ঐ বিষয়টি শিখতে কতটুকু সময় দেন।
তবে এখানে ওয়েব ডিজাইন শেখার কথা হচ্ছে যে,
আপনি যদি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা কাজ শেখা এবং প্রত্তেকদিন কাজ শেখার শেষে ১ থেকে ২ ঘণ্টা প্রাকটিস করেন তাহলে মোটামুটি ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন।
কিন্তু, অনেকের এর থেকে কম আবার এক বছর পর্যন্ত লেগে যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এ যে কাজে বেশি টাকা
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সব কাজে টাকা আছে। আপনি কাজটি কতটা ভালো ভাবে করতে পারেন, কতটা মনোযোগ দিয়ে রিসার্চ করে করতে পারেন তার উপর টাকা আয় নির্ভর করবে।
দেশে এই মুহূর্তে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করছে শত-শত ফ্রিল্যান্সার।
আপনি নির্দিষ্ট ভাবে যে কাজটি করেন না কেন সেই কাজটি থেকেই আপনি হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। তবে আগে কাজ শিখতে হবে খুব ভালো ভাবে।
আপনি যদি একটি কাজ খুব ভালো ভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনি ঐ কাজটি করতে পারবেন অন্য দশ জনের থেকে দক্ষতার সাথে।
দেখুন ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টরে লাখ লাখ মানুষ কাজ করে। কিনুত সফল হয়ে সামনে এসে বলার মতো লোক খুবই কম। তাই স্কিল বাড়ান। হোক তা যেকোনো বিষয়ে। টাকা আপনাআপনি আসবেই।
এতক্ষণে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব উত্তর পেয়েছেন নিশ্চয়ই।
প্রশ্নঃ একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত?
= বাংলাদেশী এমন ফ্রিল্যান্সার আছে যে মাসে তার ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানি থেকে কোটি টাকা আয় করে। এবং ব্যক্তিগত ভাবে ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করার মতো ফ্রিল্যান্সার আছে।
তবে এর সংখ্যাটা খুবই কম। স্বাভাবিক ভাবে কয়েক লাখ টাকা আয় করে থাকেন একজন ফ্রিল্যান্সার।
ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে তাদের কাজের উপর। আর কাজের জন্য দরকার কাজ করতে পারা।
তাই, একভাব সময় দিয়ে কাজ শিখুন। অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হবেন, ইনশাআল্লাহ।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো । সর্বশেষ
প্রিয় পাঠক, আমদের আজকের পোস্ট “ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমুহ” থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় বিষয়ে জেনেছি।
আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত এমন সকল তথ্য জানতে পেরেছেন যা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে এবং নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জানা অত্যন্ত জরুরি।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত আরও কিছু জানার চান তাহলে আমাদের Online income category ভিজিট করুন।
নিয়মিত আমাদের সকল পোস্ট পড়তে Dainik kantha করুন। সর্বশেষ আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।