Last Updated on 6 months by Shaikh Mainul Islam
পোস্টটি যারা পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই অনলাইনে আয় করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করে আসছেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা আয় করা যায় জেনেই পোস্টটি পড়তে আসছেন। তাই আজকের পোষ্টে জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
গুগল এডসেন্স এবং ফিলিয়েট এই দুইটি জিনিস যদি কেউ আয়ত্ত করে কাজে নিয়মিত হতে পারে তাহলে তার মান্থলি লাখ কিংবা কোটি টাকা আয় করা একদম সহজ। এজন্য আপনাকে সম্পূর্ণ বিষয়ে আগে জানতে হবে। বুঝতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়ে।
আজকের পোষ্টে আমরা জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করতে হয়, এইফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি লাগে। এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কত টাকা দরকার এবং কি কি স্কিল থাকা লাগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
প্রথমেই বলে রাখি আজকের পোস্টটি এফিলিয়েট সম্পর্কে জানতে চাওয়া বিগেনারদের জন্য। আপনি যদি এফিলিয়েট সম্পর্কে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এই পোস্টটি আপনি স্কিপ করতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে আজকের মূল বিষয় সম্পর্কে জেনে নাওয়া যাক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি । how to affiliate marketing
এফিলিয়েত অর্থ হচ্ছে অধিভুক্ত। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে, অনলাইনের মাধ্যমে অন্যের যেকোনো প্রোডাক্ট যা অনলাইনে বিক্রি যোগ্য সেই প্রোডাক্টের প্রমোশন করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়া।
আরও সহজভাবে বললে, মনে করেন দেশের কিংবা বিদেশের যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান যারা তাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে আপনি আপনার ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে আপনার অডিয়েন্সের কাছে ওই কোম্পানির একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানালেন।
এবার ওই কোম্পানিতে এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে রেজিস্টার করে এফিলিয়েট লিংক আপনার অদিয়েন্স এর কাছে পৌঁছে দিলেন আপনার ব্লগ কিংবা কন্টেন্ট এর মাধ্যমে।
আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে কেউ ওই পণ্য কিনলে কোম্পানি শর্ত অনুযায়ী লাভের একটি নির্দিষ্ট অংশ আপনাকে প্রদান করবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় ?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করার জন্য আপনার হয় একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে, এবং সেখানে প্রচ্র পরিমাণ ভিজিটর অথবা অডিয়েন্স থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় । কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়
এক কথায় আপনার এমন একটিপ্লাটফর্মে থাকতে হবে যেখানে প্রফেশনাল ভাবে আপনার কন্টেন্ট অনেক মানুষ দেখে।
এবার আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে যখন প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর কিংবা অডিয়েন্স নিয়মিত থাকবে তখন বিভিন্ন অনলাইন শপ ওয়েবসাইট যারা এফিলিয়েট পার্টনার দিয়ে থাকে তাদের কাছে আবেদন করত হবে।
ধরুন আপনি দেশের একটি অনলাইন শপ এর এফিলিয়েট পার্টনার হবেন।
তাদের ওয়েবসাইট দেওয়া নিয়ম অনুজাইস সকল তথ্য দিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
কোম্পানিটি আপনার আবেদন দেখে এফিলিয়েট পার্টনার নিয়োগে যদি তাদের শর্ত পূরণ হয় এবং আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলটি ভালো মানের কন্টেন্ট থাকে তাহলে তারা আপনাকে তাদের এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে গ্রহণ করবে।
আপনাকে এফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে গ্রহণ করার পর এখানে আপনি একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।
ড্যাশবোর্ডে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী তাদের সকল প্রোডাক্টের প্রমোশন লিংক থাকবে।
সেই লিংকগুলো আপনার কন্টেন্টে এড করে দিতে হবে।
এবং সেই লিংক থেকে যদি কেউ প্রবেশ করে কোনও প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্টের লভ্যাংশের একটি অংশ পাবেন।
আপনার অংশ পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছুই করতে হবে না। আপনার একাউন্টে টাকা প্রবেশের জন্য সকল কাজ কোম্পানিটি নিজেিই করবে।
আশা করছি খবু সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবো।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করতে হয় ?
এটা সত্য যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাখ লাখ ডলার আয় করা সম্ভব।
এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আনলিমিটেড আয় করা সম্ভব। তবে সেই পর্যায়ের এফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার জন্য কম পরিশ্রম করতে হয় না।
আমার দেখা এমন অনেক ব্যকজতি আছে যারা শুরু করার আগেই থেমে গেছে।
এর অন্যতম কারণ আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে কন্টেন্ট দিলেন।
কিন্তু প্রথমে আপনাকে আপনার কন্টেন্টের জন্য প্রচুর ভিজিটর অর্জন করতে হবে প্রতিনিয়ত।
এফিলিয়েট করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথমদিকে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট দিয়ে নিয়মিত প্রচুর ভিজিটর আনতে অনেক সময়ের দরকার।
আপনি যদি প্রোপার এসইও পারেন এবং কন্টেন্ট ইউনিক করতে পারেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আবেদন করার স্থানে পৌছাতে ৪ থেকে ৬ মাস বা তার বেশি সময় প্রয়োজন হবে।
এরপর যখন প্রচুর ভিজিটর আসবে আবেদন কোম্পানিটি গ্রহণ করে নিবে তখণ ভিজিটররা আপনার দেওয়া প্রমোশন লিংক থেকে প্রোডাক্ট কিনতে শুরু করবে।
আর তখনই কেবল আপনার রেভিনিউ পানার একাউন্টে এড হতে থাকবে।
দেখেন, ব্লগিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য সবার আগে আপনার প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে।
থাকতে হবে প্রচুর রিসার্চ করা মানসিকতা।
কি কন্টেন্ট এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত ?
এখন যুগ চলছে অনলাইন কেনাকাটায়। আর এটি চলছে সারা বিশ্বব্যাপী। এখন দেশেও শত শত প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সার্ভিস প্রমশনের জন্য এফিলিয়েট প্রাত্নার নিয়ে থাকে।
তবে, দেশীয় কোম্পানির জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে বংলায় আপনার কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।
কিন্তু এতে আপনি একজন ইন্টারন্যাশনাল মানের এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেণ না। এবং লাখ লাখ ডলার আয় করতে পারবেন না।
Read More: Bangladeshi Affiliate Marketing Site
তবে আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল মানের কন্টেন্ট ক্রিয়েত করতে পারেন তাহলে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।
এর অন্যতম কারণ, ইন্টারন্যাশনাল এফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনাকে ডলার পেমেন্টেন্ট দেয় ।
আর স্বাভাবিক ভাবেই এক ডলার সমান বাংলাদেশি ১০০ টাকা।
বিদেশী এফিলিয়েট প্রোগ্রাম করে অনেক এফিলিয়েট মার্কেটাররা লাখ দলারের উপরে আয় করছে।
এর অন্যতম কারণ বিদেশে পরচুর পরিমাণ অনলাইনে কেনাকাটা হয়। যা বাংলাদেশে হয় না।
এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিগুলো সবসময় এফিলিয়েট মার্কেটারদের বেশ ভালো পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। তবে এজন্য আপনার ইংরেজিতে শতভাগ স্কিল থাকতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য দেশি বিদেশী কিছু সাইট
প্রিয় ভিজিটর, এওতক্ষনে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিয়াবে শুরু করবো সে সম্পর্কে জেনেছেন।
এখন সেরা কছু দেশি বিদেশী কোম্পানির নাম জেনে নেওয়া যাক যাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রামারদের অনেক ভালো পরিমাণের টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সেরা কিছু বিদেশী ওয়েবসাইট হচ্ছেঃ eBay, Etsy, Amazon Associates ইত্যাদি।
ইন্টারন্যাশাল ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট হচ্ছেঃ GoDaddy, WP Engine, FlyWheel, Kinsta ইত্যাদি।
এছাড়া ফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য দেশি কিছু সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছেঃ দ্বারাজ, 10 minue school, BDSHOP, SOHOJ AFFILITES, SHOPNOBARI ইত্যাদি।
affiliate marketing নিয়ে কিছ গুরুত্বপূর্ণ কথা
দেখেন, আপনাকে সবকিছুর জন্য যেমন ধৈর্য এবং একাগ্রতা নিয়ে কাজ করতে হয় ঠিক তেমন এখানেও আপনাকে একই ভাবে এখানেও সময় দিতে হবে।
ধৈর্য ধরতে ইয়হবে। তবেই আপনি ভালকিছু করতে পারবেন।
আর এর সবকিছু অরার জন্য দরকার স্কিল স্কিল এবং স্কিল। স্কিল ছাড়া কিছুই সম্ভব না।
প্রতিদিন নতুন নতুন কম্পিটিটর আসছে। তাই আপনাকে সঠিক স্কিল শিখে লেগে থাকতে হবে। তবেই আপনি পারবেন।
এফিলিয়েট সংক্রান্ত সর্বশেষ
আজকের পোষ্টে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো সে সম্পর্কে জেনেছি।
আশা করছি এই বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে সঠিক তথ্য জানাতে পেরেছি।
এরপরে আরও কিছু জানার থাকলে গুগল এবং ইউতিউবের শরণাপন্ন হতে পারেন।
এছাড়া এই বিষয়ে এখানে আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে জানান।
আমাদের সকল আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। চোখ রাখুন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ Dainikkantha এ।
Nice article man. Thanks.
thank u so much dear visitor.